বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় এক ইউনিয়নে চোরের উপদ্রব বেড়েছে। গত তিন মাসে বাউসা ইউনিয়নে বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অনন্ত ১০টি চুরির ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (২৭ জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের দিঘা দাবিয়াতলা গ্রামে রানা এন্টারপ্রাইজ(পাট ও আম ব্যবসায়ী এর গোডাউন)’র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ও বাউসা ভেড়ালীপাড়া গ্রামে আকবর আলীর বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এই চুরির ১০দিন আগে ইউনিয়নটির অমরপুর গ্রামে আরেকটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। রানা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বধিকারী সোহেল রানা বলেন, শুক্রবার (২৭ জুন) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে ট্রাকে আম লোড করে পাওনাদারদের দেওয়ার পর প্রায় ৫০ টাকা ক্যাশ বাক্সে রেখে বাড়িতে যান। শনিবার সকালে এসে দেখেন গোডাউনের ও অফিসের তালা ভাঙা। ক্যাশবাক্সে রাখা টাকাগুলোও তালা ভেঙে নিয়ে গেছে।
এছাড়াও গোডাউনের ভেতরে রাখা ৫০ হাজার টাকা দামের একটি ভুটভুটি চুরি করে নিয়ে গেছে। একইদিন রাতে বাউসা ভেড়ালীপাড়া গ্রামের আকবর আলীর বাড়ির ফাঁকা বাড়ির টয়লেটের ছাদ দিয়ে চোরেরা বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে কক্ষের তালা ভেঙে মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে। এদিন রাতে আকবর আলী পরিবার নিয়ে ঢাকায় ছেলের বাসায় ছিলেন। যার ফলে চুরি যাওয়া মালামালের হিসাব পাওয়া যায়নি।
১০দিন আগে (১৭ জুন) বাউসা ইউনিয়নের অমরপুর গ্রামের শিক্ষক মকলেছুর রহমানের ফাঁকা বাড়ির জানালার গ্রিল কেটে চোরেরা ভেতরে প্রবেশ করে নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার, দলিলপত্র ও ব্যাংকের চেকবইসহ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। অসুস্থতার কারণে চিকিৎসা নিতে মকলেছুর রহমান ঢাকায় ছেলের বাসায় গিয়েছিলেন। খবর পেয়ে মকলেছুর রহমানের ছেলে,মেয়ে ও জামাতা এসে বাড়িতে রেখে যাওয়া মালামাল চুরির বিষয়টি জানতে পারেন।
স্থানীয়দের তথ্য মতে, গত তিন মাসে বাউসা ইউনিয়নে বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় ১০টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে চোর আতঙ্কে রয়েছেন ইউনিয়নটির লোকজন। একাধিক চুরির ঘটনা ঘটলেও চুরি সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশের দাবি চুরির সাথে জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাঘা থানার পরিদর্শক ( তদন্ত)সুপ্রভাত মন্ডল বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে চুরির সাথে জড়িতদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#