শাহীন আলম লিটন, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি !!!
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনায় গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত এবং লাঞ্ছিত হয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। মাজারের ভক্ত-অনুসারীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। অবস্থা বেগতিক হওয়ায় শেষ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা না করেই সেখান থেকে চলে আসতে বাধ্য হন তারা।
রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরের দিকে ভেড়ামারার সাতবাড়ীয়া বিত্তিপাড়া এলাকায় ঘোড়াশাহ বাবার মাজারে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভেড়ামারা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনায় ঘোড়াশাহ মাজারে যান। অভিযান টিমে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। তারা অভিযান শুরু করতে গেলে সেখানে বাধা দেন মাজারে উপস্থিত ভক্ত-অনুসারীরা। এসময় তারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার হোসেন ও অভিযান টিমের সদস্যদের লাঞ্ছিত করেন। পরে তোপের মুখে পড়ে অভিযান পরিচালনা না করেই তারা ফিরে আসতে বাধ্য হন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন, ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন এসিল্যান্ডসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। মাজারের লোকজনদের বাধার মুখে ফিরে আসেন তারা। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনের লোকজন দেখেই উষ্মা প্রকাশ করেন জটাধারী লাল পোশাকের কিছু উচ্ছৃঙ্খল ভক্ত-আশেকান। প্রশাসন কাজ শুরুর আগেই তারা আক্রমণাত্মক আচরণ শুরু করেন। বাধার মুখে শেষ পর্যন্ত অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আগেই প্রশাসনের লোকজন ফিরে আসেন। এসময়ও তাদের পিছু পিছু ধাওয়া করেন সেখানকার লোকজন।
ঘটনার শিকার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনোয়ার হোসেন বলেন, মাজারে মাদকবিরোধী অভিযানে গেলে মাজারের লোকজন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। যে কারণে অভিযান পরিচালনা করতে না পেরে আমরা ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, কারা এই উচ্ছৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন তদন্ত সাপেক্ষে তা বলা যাবে। আপাতত এ বিষয়ে আর কিছু বলা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. তৌফিকুর রহমান বলেন, ‘আমিও শুনেছি সেখানে এ ঘটনা ঘটেছে। এসিল্যান্ড সেখানে গিয়েছিলেন। ওই জায়গায় গাঁজা সেবনের অভিযোগ ছিল। এ ঘটনায় আমরা রেগুলার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।#