ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি………………………..
নওগাঁর ধামইরহাটে দিনের বেলায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে মারপিটে ৭ জনকে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। এই ঘটনায় বাধা দেওয়ায় ইসবপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সৌমেনের মাথায় আঘাত করে এবং তার বাম হাত ভেঙ্গে দেয়। স্থানীয়রা জখমীদের ধামইরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেন। ধামইরহাট থানা পুলিশ ও আদিবাসীদের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে দোষীদের শাস্তি দাবী করেছেন।
থানার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ইসবপুর গ্রামের সুশিল চন্দ্র মন্ডলের ছেলে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিদ্যুৎ কুমার মন্ডল ১৬ আগস্ট সকাল ৯ টায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে থাকাকালে জমি-জমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রæতার জের ধরে প্রতিপক্ষ জিয়াউর রহমান ভুট্টু ও তার ছেলে মেহেদী হাসান এবং ফিরোজ গং ব্যবসায়ী বিদুতের দোকানে হামলা চালিয়ে তাকে গুরুত্বর জখম করে। ডাক-চিৎকারে আতœীয় স্বজনরা এগিয়ে আসলে প্রতিপক্ষ সোহাগ, বন্ধন পরিমল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে বিদুতের কুমার মন্ডলের স্ত্রী সাথী রানী হাত, চাচাতো ভাই ইসবপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সৌমেন কুমারের হাত ভেঙ্গে দেয়, এ সময় বাদীর চাচী জোসনা রানী, মা গিতা রানী, বাবা সুশীল চন্দ্র, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের কর্মচারী কনক কুমারসহ মোট ৭ জন আহত হয়।
অভিযুক্ত ১নং আসামী মেহেদী হাসান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কোন মারামারি করিনি, তারাই মারামারি করেছে’ বলে কৌশলে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করেন। অপর বিবাদী ফিরোজ ও জিয়াউর রহমানকে মোবাইলে ফোনে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ হামলা কারীদের মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত বলে দাবী করেন। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ কুমার মন্ডল বাদী হয়ে মঙ্গলবার বিকেলে ধামইরহাট থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
ধামইরহাট থানার ওসি মোজাম্মেল হক কাজী জানান, জমি-জমা সংক্রান্ত একটি মারপিটের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি, তদন্ত করে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।