# পঞ্চগড় থেকে এম নুরুজ্জামান হক …………………..
পঞ্চগড়ের সদর উপজেলার চাকলা হাটের একটি কাঁচা রাস্তার কারণে দুই গ্রামের মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। সড়ক উন্নয়ন না হওয়ায় শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ মুখ থুবড়ে পড়েছে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন। পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলা হাট ইউনিয়নের পেটু পাড়া গ্রামের চিত্র এমন।
এই রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন দুই গ্রামের হাজার হাজার মানুষের চলাচল। গ্রামের মানুষের উৎপাদিত কৃষিপণ্য হাটবাজারে নিয়ে যেতে হয় এ রাস্তা দিয়ে। তাই রাস্তাটি পাকাকরণে এলাকাবাসী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
স্থানীয়রা জানায়, বর্ষা মৌসুমে এ রাস্তার করুণ অবস্থা দেখার কেউ নেই। আশপাশের কাঁচা রাস্তাগুলো পাকাকরণ হলেও স্বাধীনতার ৫০ বছরেও পূর্ণাঙ্গভাবে এ রাস্তাটি পাকা করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। নির্বাচনের সময় চেয়ারম্যান ইস্তেহার দিলেও এসব বিষয় এ মাথা ঘামান না কেউ। নির্বাচিত হওয়ার পর পাকা করা তো দূরের কথা মেরামত করারও কোনো উদ্যোগ নেন না।
এই রাস্তা দিয়েই দুই গ্রামের হাজার হাজার মানুষের চলাচল। পেটু পাড়া ও নেকী গ্রামের চলাচলের একমাত্র এই রাস্তাটি কাঁচা ও কর্দমাক্ত। ফলে যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হাঁটাই দুষ্কর। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, চাকলা থেকে পেটু ও নেকী পাড়ার কাঁচা রাস্তা শুষ্ক মৌসুমে ধুলাবালি আর বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলেই একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। বৃষ্টির ফোটা পড়ার পরই কাঁদাপানিতে একাকার হয়ে যায়। কাঁদায় চলতে গিয়ে অনেকেই পড়ে গিয়ে গন্তব্যে যাওয়ার আগেই বাড়িতে ফিরে আসতে বাধ্য হন।
পেটু গ্রামের কলেজ এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাএ ছাএীরা বলেন, বৃষ্টি হলে কাঁচা রাস্তায় কাদাপানি জমে থাকে। তখন ভ্যান ও অটোরিকশা চলতে পারে না। এমনকি হেঁটে চলাচলও কঠিন হয়ে পড়ে। যার কারণে বন্ধ হয়ে যায় অনেকের পড়াশোনা। উপজেলার চাকলা হাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এখন পর্যন্ত এটি দেখতে আসেননি , গ্রাম দুটির যোগাযোগের সমস্যা দীর্ঘদিনের। ইউনিয়ন পরিষদের ছোট প্রকল্প দিয়ে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব কিন্তু সংশ্লিষ্ট কারো সাড়া না পেয়ে হতাশ এলাকাবাসী।#