পাবনা জেলা সংবাদদাতা: পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলায় সরকারী নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে বাৎসরিক প্রায় দেড় কোটিরও অধিক টাকা মাসোহারা গ্রহনের মাধ্যমে পাকশী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ এবিএম মেহেদী মাসুদ, সার্জেন্ট আতিক ও এ এসআই সাজেদুল মিলে ঈশ্বরদীর মহাসড়ক গুলোতে অবাধে চালাচ্ছে নিষিদ্ধ থ্রি-হুইলার।
পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া মোড় থেকে দাশুড়িয়া-পাবনা, দাশুড়িয়া-কুষ্টিয়া এবং দাশুড়িয়া-বনপাড়া মহাসড়কে অবাধে চলছে নিষিদ্ধ ঘোষিত থ্রি-হুইলার। মহাসড়কে চলাচলে নিষিদ্ধ এসব যানবাহনের মধ্যে রয়েছে সবুজ সিএনজি, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা, ভ্যান, কুত্তা গাড়ী, নসিমন, করিমন, আলম সাধু, ভুডভুডি ইত্যাদি যানবাহন । মহাসড়ক জুড়ে অবাধে চলছে এসব যানবাহন। নিষিদ্ধ হওয়া সত্তেও মহাসড়কে যত্রতত্র স্ট্যান্ড বানিয়ে পুলিশের সামনেই দুরপাল্লার যানবাহন চলাচলে তৈরী করছে প্রতিবন্ধকতা।
এসব নিষিদ্ধ ঘোষিত যানবাহনের কারনে প্রায়শই দূর্ঘটনা ঘটে থাকে। তবে নিষিদ্ধ এসব যানবাহনে পুলিশ কর্তৃক আইনানুগ কোন ব্যাবস্থা গ্রহন না করায় ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে জনমনে। সেই সাথে ঈশ্বরদী অঞ্চলের মহাসড়ক ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।
সিএনজি ও অটোরিক্সার লাইন ম্যান সূত্রে জানা যায়, দাশুড়িয়া হতে পাবনা, বনপাড়া এবং কুষ্টিয়া রুটে চলাচলকারী মোট সিএনজির সংখ্যা প্রায় ৯০০, অটো রিক্সার পরিমান ৭৫০, কুত্তা গাড়ী ৪০০, চার্জার ভ্যান ও রিক্সা, ৭০০, নসিমন ৩৪৫, করিমন ২৮০, আলমসাধু ৫০০, ভুডভুডি ১৫০, লেগুনা ১৭৫ টি। আকার ও ধরন ভেদে প্রতিটি গাড়ী থেকে মাসিক ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা আদায় করেন পাকশী হাইওয়ে থানা পুলিশ ও তাদের নিয়োগকৃত সহযোগীরা।
সরেজমিনে দাশুড়িয়া ট্রাফিকমোড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায় যে, দাশুড়িয়া গোল চত্বর এলাকা জুড়ে তিনটি থ্রি-হুইলার স্ট্যান্ড রয়েছে। যেগুলো থেকে দাশুড়িয়া-কুষ্টিয়া, দাশুড়িয়া-পাবনা এবং দাশুড়িয়া-বনপাড়া/নাটোর মহাসড়কে চলাচলের জন্য সিরিয়াল মেইনটেইন করে থাকে। সময় এখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সাধারণ ভুক্তভোগী জনসাধারণ। অচিরেই লাগাম টেনে ধরা উচিৎ।#