1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
৫ দফা দাবিতে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি শিক্ষক কর্মকর্তাদের চাঁপাইনবাবগঞ্জে র‍্যাব-৫ এর অভিযানে একাধিক মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার বাঘায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে পুড়লো চার  বাড়ি,ক্ষতি ১৫ লক্ষাধিক টাকা গোদাগাড়ীতে থানা পুলিশের অভিযানে ৩০০ গ্রাম হেরোইনসহ দুই মাদককারবারি গ্রেফতার শ্যামনগরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ বাঘায় মত বিনিমিয় সভায় চলনবিলের ঐতিহ্য রক্ষায়- ঝুঁকি ও বিকল্প পরিকল্পনায় রবীন্দ্র বিশ্ব বিদ্যালয় নির্মাণের দাবি বাঘায় টাইফয়েড টিকাদান ওরিয়েন্টেশন সভা, প্রায় ৪৭ হাজার শিশুকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে নাটোরে ডিবি পুলিশের অভিযানে মদ ও ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার তানোরে গেটকা প্রকল্পের উদ্যোগে নেতৃত্ব উন্নয়ন, জেন্ডার অন্তর্ভুক্তি ও জলবায়ু ন্যায়বিচার বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়কে ‌‘জুলাই প্রজন্মের বিজয়’ বললেন নবনির্বাচিত ভিপি সাদিক কায়েম ‎

ডুমুরিয়ার ডক্টর শামসুল করিম বাকার কলেজে নানা দূর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের নামে মোটা অঙ্কের উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৮৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

# খান আরিফুজ্জামান(নয়ন),ডুমুরিয়া(খুলনা)ঃ খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার উত্তরে অবস্থিত ধামালিয়া ইউনিয়নের ডক্টর শামসুল করিম(এস কে বাকার) কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আবদুল হালিম ও পরিচালনা পরিষদের সাবেক সভাপতি হরিদাস মন্ডলের দীর্ঘদিনের নানা অনিয়ম দূর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের উৎকোচ গ্রহণে ব্যবস্থা ও ন্যায্য অধিকার ফিরে পেতে ভূক্তভোগী অভিযোগকারী শাহপুর গ্রামের বাসিন্দা তানভীর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত দরখাস্থের মাধ্যমের অভিযোগ করেছেন।

একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলার উত্তরে ডক্টর শামসুল করিম বাকার কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আবদুল হালিম ও কলেজের পরিচালনা পরিষদের সাবেক সভাপতি হরিদাস মন্ডল উভয়ই মিলে অনেক শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার উৎকোচ গ্রহণ করেছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,বাকার কলেজ কর্তৃপক্ষ পরিচ্ছন্নতা কর্মী সহ বেশ কয়েকটি পদে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেন। সে অনুযায়ী লিখিত অভিযোগকারী তানভীর পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে আবেদন করে। গত ৩/১০/২০২২ তারিখে কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আবদুল হালিম স্বাক্ষরিত একটা ইন্টারভিউ কার্ড পেয়ে পরীক্ষায় যোগদান করে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে গত ১৯/১০/২০২২ তারিখে কলেজের পরিচালনা পরিষদের সাবেক সভাপতি হরিদাস মন্ডল স্বাক্ষরিত স্বারক নাম্বার # স্নাতক.নি/৩৮/২২ এ একটি নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে ২০/১০/২২ তারিখে পরিচ্ছন্নতা কর্মি পদে কলেজে যোগদান করেন অভিযোগকারী তানভীর। তবে যোগদানের পূর্বে ঘটে এক রাজ্য জয়ের কাহিনী তানভীরকে উক্ত পদে যোগদান করতে দিতে হবে মোটা অঙ্কের উৎকোচ না হলে হারাতে হবে চাকুরী নামের সোনার হরিণটি। মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আবদুল হালিম ও পরিচালনা পরিষদের সাবেক সভাপতি হরিদাস মন্ডল। এমন পরিস্থিতিতে তানভীরের দিনমজুর স্বপ্নচারী বাবা ছেলের চাকুরী পেতে নিজের শেষ সম্বল বসতভিটার অর্ধেক জমি বিক্রি করে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা তুলে দেন তাদের নিকট।টাকা লেনদেনের সময় স্থানীয় বাসিন্দা মেহেদী হাসান বিল্লাল, মিজানুর রহমান সরদার, আবদুস সবুর গাজী উপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

অভিযোগকারী তানভীর প্রতিবেদকে বলেন, কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল হালিম ও সাবেক সভাপতি হরিদাস মন্ডল মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আমার সাথে প্রতারণা করেছে উনারা আমাকে বলেছিলো স্নাতক শ্রেণীর পাঠদানের অনুমোদন রয়েছে সেটা তো দূরের কথা এমপিও ভুক্তও হয়নি।আমি কলেজে যোগদানের তারিখ হতে দেড় বছর বিনা বেতনে কাজ করছি। আমার পরিবার স্বচ্ছল না থাকায় আমি বিনা বেতনে ঐ কলেজে আমার দায়িত্ব পালন করতে ইচ্ছুক নই। আমি আমার ন্যায্য অধিকার ও কলেজের সীমাহীন দূর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্যে রোধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিবার লিখিত অভিযোগে করেছি নিশ্চয়ই ইউএনও স্যার তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

অভিযোগের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল হালিম বলেন,সে অভিযোগ করেছে ইউএনও স্যার ডাকলে যাবো অভিযোগ পত্রে অনেকেই অনেক কিছু বলে বা ইউএনও অফিস থেকে চিঠি দিলে স্বাক্ষাতে কথা বলবো টাকা দিয়ে আমরা কাউকে চাকুরী দেইনা বা টাকা নেই না। তবে কলেজের স্নাতক শ্রেণীর অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

পরিচালনা পরিষদের সাবেক সভাপতি হরিদাস মন্ডল বলেন,আমি কোন টাকা নেইনী আর নেইনা। আমি কারো কাছ থেকে কোন টাকা নেইনী, ওরা মিথ্যাচার করছে।কর্তৃপক্ষ ডাকলে আমরা সেখানে কথা বলবো প্রমাণ সাপেক্ষে। তবে তানভীর এখন কলেজে আসছেনা। তবে সে ইউনএনও বরাবর যে লিখিত অভিযোগ করেছে এটা সত্য নয়। একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল-আমিন বলেন,তদন্ত করে অনিয়ম ধরা পড়লে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট