# নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলাধীন মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভৌতবিজ্ঞানের সহকারী শিক্ষক মোঃ রিপন ইসলামের বিরুদ্ধে ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ও বিভিন্ন অপকর্মের কথা তুলে ধরে ছাত্র জনতা ও এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাচোল চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি জনাব নীলুফা সরকার এর কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
দশম শ্রেণীতে এত শিক্ষার্থী থাকা সত্ত্বেও কেন একজন ছাত্রীর সাথে রিপন স্যারের এমন সম্পর্ক হবে। স্যার তাকে পোশাক আশাক বোরখা কলম মগ উপহার দেয়।স্কুল থেকে ঘুরতে গেলে তার হাত ধরে ছবি তুলে শুধু তাকেই নিয়ে ঘুরাঘুরি করে এবং বাইকে করে পার্কেও ঘুরতে যায়। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে ক্লাসে তো আরো হতদরিদ্র পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা আছে তাদের কেন উপহার দেয় না? ঘুরতে নিয়ে যায় না? টাকা ছাড়াই প্রাইভেট পড়াই না?
সাংবাদিকদের সামনে ভিডিও বক্তব্যে রিপন মাস্টারের এমন হাজারো অভিযোগ তুলে ধরে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা। স্কুল শিক্ষার্থীরা আরো বলেন একজন শিক্ষক হচ্ছে দ্বিতীয় বাবা-মা অর্থাৎ অভিভাবকের মত। স্কুল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর অনেক শিক্ষক ছিলেন এবং বর্তমানেও আছে কই তাদের বিরুদ্ধে তো ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয়নি। এলাকাবাসি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
লিখিত অভিযোগ স্থানীয় ছাত্র জনতা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত রিপন মাস্টার বিবাহিত বাড়ি তানোর থানা তার স্ত্রী ও সন্তান আছে। স্কুলে যোগদানের পর তিন বছর পেরিয়ে গেলেও পরিবার ছাড়াই থাকেন ভাড়া করা বাসাবাড়িতে। প্রাইভেট পড়ার ফাঁকেই গড়ে তোলে ছাত্রীদের সাথে রঙ্গলিলা ও প্রেমের সম্পর্ক। অভিযোগ আছে মাস্টারের এমন নোংরা আচরণ এর জন্য একাধিক জায়গায় প্রাইভেট পড়া ও বাসা বদল করার। প্রায় মাস খানেক আগে রিপন মাস্টারের সাথে ছাত্রীর অনৈতিক সম্পর্কের ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন সহ বিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র জনতার সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তিও হয়।
এই ঘটনার পর দুশ্চরিত্র লম্পট মাস্টার একটি মাধ্যমে রফাদফা করার প্রস্তাব পাঠায় পরে রফাদফায় রাজি না হলে তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে ভয়-ভীতি ও হুমকি ধামকি প্রদান করে বলেন তোমরা জানো আমার ভাই একজন ইএনও আমি তোমাদের উপর মানহানির মামলা করবো। তথ্য অনুসন্ধানে এই প্রতিবেদক, প্রেমিক ভৌমরা রিপন মাস্টার ও ছাত্রীর বিস্তারিত প্রেম কাহিনীর একটি অডিও ক্লিপ হাতে পাই। অভিযুক্ত ছাত্রী দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তারই এক ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর প্রায় ৬ মিনিটের ঐ ফোন আলাপকালে তার জনৈক এক বন্ধুকে খুব আফসোস করে বলে, যাক শেষমেশ তাদের (আমার বান্ধবী ও স্যারের) বিয়ের স্বাক্ষী হয়ে থাকবো।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রিপন মাস্টারের কাছে ভিডিও বক্তব্য নিতে গেলে দাম্ভিকতার সাথে সাংবাদিকদের বলেন আপনাদের মুখেই প্রথম শুনলাম।
প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নেপাল চন্দ্র মাহাতো বলেন আমারা স্কুল কর্তৃপক্ষ খোঁজ খবর নিবো সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলুফা সরকার এর কাছে জানতে চাইলে বলেন বিষয়টি সম্পর্কে জেনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নাচোল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ আব্দুল মান্নান বলেন এ বিষয়ে শুনিনি অভিযোগ হলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#