1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
সাইটসেভার্স এর সহযোগিতায়,ব্র্যাকের উদ্যোগে দাকোপে উপজেলা পর্যায়ে অবহিতকরণ সভা  কালীগঞ্জে গাজীপুরের নবাগত ডিসির মতবিনিময় আত্রাইয়ে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান উদ্বোধন পত্নীতলায় আশা শিক্ষা কর্মসূচির অভিভাবক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ খুব তাড়াতাড়ি সকল পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হবে: রাজশাহীতে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা রূপসা বর্নমালা শিক্ষালয়ে ফলাফল প্রকাশ ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত তানোরে আমণের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা তানোরে বিদ্যুৎ শাটডাউনে জড়িতরা বহাল তবিয়তে রকমারি সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছেন আত্রাই উপজেলার কৃষকরা

ক্ষমতা অপব্যবহার করে ১৫ বছর ইউনিয়ন বাসীকে জিম্মি করেছেন, চার ভাই হয়েছেন কোটি টাকার মালিক

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৩৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

বরগুনা প্রতিনিধিঃ বিবিচিনির ক্ষমতাধর গাজী পরিবারের চার ভাইয়ের কাছে জিম্মি ছিল ইউনিয়ন বাসী। বেতাগীর বিবিচিনি ইউনিয়নের ৬ নং গড়িয়াবুনিয়া ওয়ার্ডের মধ্যখানে যে বাড়িটির অবস্থান। এলাকা বাসীর কথিত মতে ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠেআসে নামা অপকর্মের করুন কাহিনী।

জানা যায় বিবিচিনি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল কাদের গাজীর প্রথম স্ত্রীর ঘরে ৫ টি ছেলে এর মধ্যে দুইজন ক্ষমতা ধর ও দ্বিতীয় স্ত্রীর ৪ জন ছেলে এর মধ্যেই দুইজন ক্ষমতা ধর মিলে মোট ৪ জন ক্ষমতাধর ছিলেন। তারা হল প্রথম স্ত্রীর মেঝ ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম গাজী ও পঞ্চম ছেলে মোঃ আরিফুর রহমান ফোরকান গাজী। দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে বড় ছেলে মোঃ হারুন আর রশিদ মামুন গাজী, ছোট ছেলে মোঃ কামরুল হাসান জুয়েল গাজী। এদের নিয়ন্ত্রণে চলত বিবিচিনি ইউনিয়নের সকল কর্মকান্ড।

মোঃ আরিফুর ইসলাম গাজীর ছিল না কোন ব্যবসা শুধু রাজনীতি করে কামিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। মোঃ আরিফুর রহমান ফোরকান গাজী ছোট বেলাথেকেই কোন চাকরি বা ব্যবসা না করেও হয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক কিনেছেন ঢাকায় ফ্লাট, চলেন রাজকীয় এস্টাইলে ঢাকায় এখন যে ফ্লাটে থাকেন তার প্রতি মাসের যার ভাড়া ২৮ হাজার টাকা। হারুন আর রশিদ মামুন গাজী যুব উন্নয়নে মাত্র ২২ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করে কিনেছেন বরিশালে জমি ও ১২ হাজার টাকা দিয়ে বরিশালে থাকেন ফ্লাট বাসা ভাড়া নিয়ে। জুয়েল গাজী সুদের কারবারি করে ব্যাংকে জমিয়েছেন প্রায় অর্ধ কোটি টাকা। তাদের এই চার ভাই এর কন্ট্রোলে ছিল বিবিচিনি ইউনিয়নের নিয়োগ বাণিজ্য, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা কমিটি, বাজার কমিটি, শালিসি, জমিদখল এসকল কাজ তারা করতেন অর্থের বিনিময়ে।

বেতাগী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম এম এ মান্নান মৃধার প্রথম স্ত্রী মৃত্যুর পরে তিনি দ্বিতীয় বিবাহ করেন বিবিচিনি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুল কাদের গাজীর মেয়েকে সেই সুবাদেই তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্তহন। এর পর থেকেই আর ফিরে তাকাতে হয় নি পিছনদিকে। মান্নান মৃধার সাথে বিয়ের পরেই বিবিচিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কন্ট্রোল চলে যায় গাজী পরিবারের হাতে। সেই সুবাদে ১৯৮৫ সালে বিবিচিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বানিয়েছেন সালোক মোঃ রফিকুল ইসলাম গাজীকে। ক্ষমতা অপব্যবহার করে অর্থের বিনিময়ে এমন কোন অপকর্ম নেই যা তারা করেননি।

২০০১ সালের পর থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে তাদের আধিপত্যের কিছুটা ঘাটতি হলেও আবার পূনরায় ২০০৮ সালের পারে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে মান্নান মৃধার ছেলে এবিএম গোলাম কবির বেতাগী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই বিবিচিনি শুরু হয় গাজী পরিবারের নৈরাজ্যে। ২০১৩ সালে বেতাগী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে এবিএম গোলাম কবির সভাপতি ও মাকসুদুর রহমান ফোরকান কে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি দেওয়া হয় সেই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন বিবিচিনি গাজী পরিবারের মোঃ আরিফুর রহমান ফোরকান গাজী। আর সেই থেকেই বিবিচিনির সকল নিয়ন্ত্রণ চলাতেন তিনি ফোরকান গাজী।

নিয়োগ বাণিজ্য, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা কমিটি, বাজার কমিটি,শালিসি, জমিদখল এসকল কাজ অর্থের বিনিময়ে করতে তিনি। এবার কাদের গাজীর দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরের ছোট ছেলে মোঃ জুয়েল গাজী একসময় রানিপুর বাজারে গিয়ে একটি চা খেতে পারতেন না। যা খেতে হত মানুষকে ধরে। কিন্তু ২০০৯ সালে বরগুনা জেলায় ন্যাশনাল সার্ভিস নামে একটি প্রোজেক্টে চালু করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তাকে তার বড়ভাই মোঃ হারুন আর রশিদ মামুন গাজী জুয়েল গাজীকে SSC জাল সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে দিয়ে তাকে (জুয়েল গাজীকে) দেয় সেই ন্যাশনাল সার্ভিসে চাকরি। নামে মাত্র কিছুদিন চাকরি করলেই তা আর ঠিক মত করেননি জুয়েল গাজী। দুইবছর পরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিয়মিত হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে এককালীন ২ লক্ষ টাকা উঠিয়ে রানিপুর বাজারে শুরু করেন সুদের ব্যবসা। এর পর থেকে আর তাকেও তাকাতে হয়নি পিছনে ফিরে। রমরমা চালাচ্ছেন সেই সুদের ব্যবসা। তার বছর খানেক পড়েই বিবিচিনি ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বানানো হয় তাকে। সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরেই বেপরওয়া হয়ে উঠেন জুয়েল গাজী। করেন একের পর এক অপকর্ম। আর করবেই না বা কেন তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, তার মামাতো ভাই বেতাগী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মাকসুদুর রহমান ফোরকান, বোনের ছেলে এবিএম গোলাম কবির উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র।

এলাকাবাসির তথ্য মতে যানা যায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান কে ব্যবহার করে তিনি বিবিচিনিতে যা ইচ্ছে তাই করেছেন গত ৫ বছর। জুয়েল গাজী গত ৫ বছরের কিছু চিত্র তুলে ধরা হল। ২০২১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৬নং ওয়ার্ড থেকে মেম্বারি নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন তিনি সেটা তাকে তার ভাই ফোরকান গাজী করতে না দিয়ে মোঃ ইউসুফ আকন কে মেম্বার বানানো জন্য নিয়েছেন টাকা। তাই টাকার জন্য আপন ভাইকে মেম্বারি নির্বাচন করতে দেওয়া হয় নি। শুরু হয় ইউসুফ আকন এর সাথে ঝামেলা, নির্বাচনের আগেই গড়িয়াবুনিয়া দরকার শরীরের মাহফিলে মধ্যেই ইউসুফ কে বেধর পেটান জুয়েল গাজী। নির্বাচন চলা কালে সাবেক মেম্বার সালমান এইচ রাসেল কে মেম্বার বানিয়ে দিবেন বলে জুয়েল গাজী তার থেকে নিয়েছেন টাকা। ইউসুফ আকন কে দিচ্ছেন হুমকি ধামকি।

নির্বাচনের ইউসুফ আকন জয় ভাল করার পর থেকে তাকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে করতেছেন হয়রানি এমনকি রানিপুর বাজারে বসেও পিটিয়েছেন মেম্বার মোঃ ইউসুফ আকন কে। যা ততকালীন একাদিক জাতীয়, স্থানীয় ও অনলাইন পত্রিকায় নিউজ হয়েছিল। ইউসুফ আকন মামলা করতে চাইলে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান ইউসুফকে তার পরিষদে ডেকে দিয়েছেন হুমকি বলেছে তুই যদি জুয়েল এর নামে মামলা কর তাহলে তোর আর মেম্বারি করা লাগবে না আমি কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান বিষয়টি মাথায় রাখবি। তবে জুয়েল কিছু দিন ঘাঢাকা দিয়ে থাকার পরে আবার শুরু করেন জুয়েল এর সেই আগের অপকর্ম।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট