1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:

মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েও বাঁচতে পারলেন না সবার প্রিয় আ’লীগ নেতা বাবুল, এলাকায় শোকের ছায়া

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪
  • ৫০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি: গত ২২ জুন, রাজশাহীর বাঘায় আ’লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন বাঘা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল। মূমুর্ষ অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (২৬ জুন) বিকেলে মারা যান(ইন্নালিল্লাহি…….রাজিউন)। বিকেল সাড়ে ৪টায় তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তার মৃত্যুর সংবাদে আওয়ামীলগের রাজনৈতিক অঙ্গন সহ পুরো উপজেলায় শোকের ছায়া নেমে আসে। শোকে স্তব্ধ হয়ে যান পরিবার ও স্বজনরা।পারবিারিক সুত্রে জানা গেছে, তার স্ত্রী সহ ২ ছেলে রয়েছে। তিনি বাঘা পৌর সভার গাওপাড়া গ্রামের মরহুম আমির হোসেন আমুর ছেলে।

জানা যায়,ছাত্রজীবন থেকে আ’লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন আশরাফুল ইসলাম বাবুল। ২০২২ সালের ২১ মার্চ ও ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বাঘা উপজেলা শাখার অনুষ্ঠিত সম্মেলনে উপজেলা আ’লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন বাবুল ইসলাম। এর আগে দীর্ঘ কয়েক বছর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি শিক্ষকতা করতেন। ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশ নিয়েছিলেন। সামাজিক কর্মকান্ডে তার পদারচনা ছিল উন্নয়নমূখী। তার রাজনীতি ছিল বর্তমান এমপির পক্ষে।

বাঘা মডলে উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী জানান, ২০১১ সালে সহকারি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন আশরাফুল ইসলাম বাবুল। রামেক হাসপাতাল আইসিইউ ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল গণমাধ্যম কর্মীদেও মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মাথায় গুরুতর জখম হয়েছিল বাবুলের। এ জন্য প্রচুর রক্তক্ষরণও হয়েছিল। ঘটনার পর রামেক হাসপাতালে আনার পর জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপরই তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল। তবে মাথার যেখানে জখম ছিল সেখানে ইনফেকশন হয়ে গিয়েছিল। তাই শেষ পর্যন্ত তাকে আর সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয়নি। আজ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

জানা যায়, গত শনিবার( ২২ জুন’২৪) একই দিনে মানববন্ধন,বিক্ষোভ-সমাবেশের আয়োজন করে সংঘর্ষে জড়ান আ’লীগের দু’পক্ষ। তারা দেশীয় অস্ত্রসহ চাপাতি ও পাইপ, ইটপাটকেল নিয়ে বাঘা উপজেলা চত্বর এলাকায় সংঘর্ষে জড়ান। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। আহত হন অন্তত অর্ধশতাধিক। তাদের মধ্যে বাবুলের অবস্থা ছিল আশংকাজনক।

বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের দিন আশরাফুল ইসলাম বাবুলকে কুপিয়ে ফেলে রাখা হয়েছিল। একজন সাংবাদিক ও পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন বলে খবর পেয়েছেন।

ওসি জানান,নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া মারামারির ঘটনায় যে মামলাটি হয়েছিল, সেই মামলাটিই এখন হত্যা মামলায় রূপ নেবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট