# শাওন আমিন, নিজস্ব প্রতিবেদক, ঠাকুরগাঁও……………………………………….
ঠাকুরগাঁও জেলা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অর্থ আদায়ের অভিযোগ কর্তব্যরত চিকিৎসকসার্জন ডাঃ মানিক বিরুদ্ধে।
সরজমিনের তথ্য সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসা সেবা নিতে যাওয়া সাধারণ মানুষ ৩ টাকা টিকিট কেটে গেলে সেন্টার সার্জন ডাঃ মানিকে কাছে বিভিন্ন রোগের কথা বলে ভয়-ভীতি দেখিয়ে হাজার টাকা আদায় করেন নিজ চেম্বারে।
এ বিষয়ে, চিকিৎসা নিতে যাওয়া এক ব্যক্তি মোছাঃ দেলোয়ারা বেগম বলেন, আমি তিন টাকা টিকিট কেটে আমরা দাঁতের সমস্যা দেখাতে যায় সার্জন ডাঃ মানিক কাছে । উনি তাৎক্ষণিক আমার দাঁত দেখেন ও পরিষ্কার করেন তারপর আমার হাতে একটি কার্ড ধরিয়ে দেন। আমি বলি স্যার এটি কিসের কার্ড, উনি আমাকে বলেন আজ বিকাল তিনটার মধ্যে রানীশংকৈল উপজেলায় চলে আসবেন, আমি তখন রানীশংকৈল চলে যায় সেখানেই আমার দাঁত পরিষ্কার করেন ও আরো কিছু কাজ করেন পরে উনি আমার কাছে টাকা চাই ২০০০ হাজার। আমি তখন অবাক হয়ে উনাকে বললাম স্যার আমি তো তিন টাকা টিকিট কেটে সরকারি চিকিৎসা নিতে এসেছিলাম। উনি তখন আমাকে বললেন সরকারি হাসপিটালে কোন ভালো চিকিৎসা পাওয়া যায় না পার্সোনালি চেম্পার ছাড়া। তখন আমি মহিলা মানুষ আমার সাথে যা ছিল ৭৬০ টাকা দিয়ে আমি আসি বাকি টাকা আমি পরে হাসপাতালে দিতে চাই।
চিকিৎসা নিতে আসা আর এক ব্যক্তি মাজেদুল ইসলাম ৩ টাকা টিকিট কেটে সেন্টার সার্জারি ডক্টর মানিক এর কাছে যান। তাৎক্ষণিক তিনার দাঁত দেখে হাতে একটি কার্ড ধরিয়ে দেয় ২০টাকা। বিকালে উনার চ্যাম্পায় আসতে বলেন এবং বলেন সাথে টাকা নিয়ে আসবেন ৩৫০০ টাকা। সেই ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন আমি তিন টাকা দিয়ে ফ্রি ট্রিটমেন্ট করতে আসে আমি ৩৫০০ টাকা কোথায় পাবো আমরা তো গরিব অসহায় মানুষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এরকম আরো অনেক ভুক্তভোগী জানিয়েছেন দীর্ঘদিন থেকে এই ডাঃ মানিক হসপিটাল কে চেম্বার বানিয়ে আমাদের মতো অসহায় খেটে খাওয়া নিরীহ মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এই অভিযোগ পেয়ে সংবাদ ডক্টর মানিক এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের অসদাচারণ করেন এবং আপনাদের করণীয় যা আছে আপনারা করতে পারেন। সার্জন ডাঃ মানিক এর এহেন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এলাকাবাসী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে।#