বিশেষ প্রতিনিধি…………………………………………………..
রাজশাহীর বাঘায় পদ্মা নদীতে ডুবে সিয়াম হোসেন সজিব (১০) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার খায়েরহাট গ্রামের সুজন আলীর ছেলে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) উপজেলার পদ্মা নদীর মুশিদপুর খেয়াহাট এলাকায় গোসলে নেমে এই ঘটনা ঘটে। শিশুর স্বজনরা জানায়, দুপুরের দিকে একই গ্রামের সজল হোসেন (৮) ও লামিন আহমেদকে (৭) নিয়ে মুশিদপুর খেয়াহাট এলাকার পদ্মা নদীতে গোসল করতে যায় সিয়াম হোসেন সজিব। তারা ৩জন নদীতে নামার পর পানিতে তলিয়ে যায়। এর মধ্যে সিয়াম হোসেন সজিব মারা যায়। ভাগ্যেক্রমে সজল ও লামিন বেঁেচ যায়।
মুশিদপুর গ্রামের হাফিজুর রহমান জানান, বেঁচে যাওয়া সজল ও লামিন এর চিৎকারে সেসহ এলাকার লোকজন এগিয়ে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নেন। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক সিয়াম হোসেন সজিবকে মৃত ঘোষণা করে।
বাঘা পৌরসভার মুশিদপুর মহল্লার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবু জাহিদ বলেন, মৃত্যুও বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সজল ও লামিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকে ভর্তি রয়েছে। বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান,পদ্মানদীতে গোসল করতে গিয়ে মুশিদপুর খেয়াঘাট এলাকার পদ্মায় ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে । মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা যায়, এই ঘটনার আগে গত ১৪ এপ্রিল চকরাজাপুর ইউনিয়নের চৌমাদিয়ার মানিকের চরের পদ্মা নদীর ঘাটে গোসলে নেমে ঝিলিক ও জান্নাতী খাতুন নামের দুই শিশু নিখোঁজ হয়। জান্নাতীর লাশ উদ্ধার হলেও ঝিলিকের লাশ ৬ দিনেও পাওয়া যায়নি। জান্নাতী খাতুন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বাংলা বাজার চর এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম মন্ডলের মেয়ে এবং ঝিলিক চুয়াডাঙ্গার জয়দেবপুরের পাটঘাট গ্রামের মনির উদ্দিনের মেয়ে। তারা পরস্পর খালাতো বোন। তারা চৌমাদিয়ার মানিকের চরের আবদুল মান্নানের মেয়ের বিয়েতে এসেছিল। #