1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
তানোরে আলুর বীজ নিয়ে মহা সিন্ডিকেট দিশেহারা চাষীরা! খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়  বাগমারার হাটগাঙ্গোপাড়া মডেল প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি গঠন বাংলাদেশ জার্নালিস্ট প্রটেক্ট কমিটির সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য অ্যাডভোকেসি কর্মশালা  সিংড়ায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত বটিয়াঘাটা প্রেস ক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন কম্পিউটার কী বোর্ডের মাধ্যমে রাজশাহীতে পাহাড়িয়াদের মাতৃভাষার লিখন পঠন কার্যক্রম উদ্বোধন সিংড়ায় মাদরাসা দারুস সুন্নাহ বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ সি ইউ সি সংগঠনের সামাজিক কর্মকান্ডে অবদান রাখায়  রোটারিয়ান ইফতেখার আলী বাবুকে সংবর্ধনা ডুমুরিয়ায় শওকত মোল্যা স্মৃতি উন্মুক্ত পাঠাগারের আয়োজনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতি  অনুষ্ঠান 

দুর্গাপুরে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ২৬ বছর ধরে দুই পদে চাকুরী করার অভিযোগ

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০২৪
  • ১৬৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

# নাজিম হাসান……………………………………………………………………………

রাজশাহীর দুর্গাপুর সরকারী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস-সহকারী থেকে অবৈধ পন্থায় প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়া একই ব্যাক্তি ২৬ বছর যাবৎ একই প্রতিষ্ঠানে দুই পদে চাকুরী করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে একাধিকবার বিভিন্ন সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশের পর ঘটনা তদন্তে প্রমান মিললেও অজ্ঞাত কারণে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। একারণে ৯বছর পূর্ব নিয়োগ পাওয়ার পরও চাকুরী এমপিও ভ‚ক্ত না হওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে অত্যান্ত কষ্টে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী এরশাদ আলী। তবে গত ১২ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের ও  শিক্ষামন্ত্রী ও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক বরাবরে অনূলিপি প্রদান করেছেন ভ‚ক্তভোগী দুর্গাপুর সরকারী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী এরশাদ আলী।

অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, রাজশাহীর দুর্গাপুর সদরে অবস্থিত দুর্গাপুর সরকারী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রভাবশালী সাহেদ আলী ২৬ বছর একাই দুই পদে চাকুরী করছেন। সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর সদরে অবস্থিত পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক প্রভাবশালী সাহেদ আলী প্রথমে অফিস সহকারী পদে ১৯৯২ সালের ১ আগষ্ট যোগদান করেন। এরপর নিয়ম ভেঙ্গে ১৯৯৭ সালের ৫ আগষ্ট সহকারী শিক্ষক পদে (কৃষি) যোগদান করেন। কিন্তু সহকারী শিক্ষক পদে থাকা কালীন সময়ে তিনি আগের পদে ইস্তাফা না দিয়ে সহকারী শিক্ষক পদে ৬ মাস বেতন উত্তোলন করেছেন। এরপর পুণরায় নিয়ম ভেঙ্গে ২০১১ সালের ৭ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। অফিস সহকারী পদে ইস্তফা না দেওয়ায় ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ে নিন্মমান অফিস সহকারী কাম- কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ পাওয়া এরশাদ আলীর চাকুরী এমপিও ভূক্ত হয়নি। দীর্ঘ ৯ বছর যাবৎ চাকুরী এমপিও ভূক্ত না হওযায় বেতন-ভাতা না পেয়ে অত্যান্ত মানবেতর জীবন-যাপন করছেন ভূক্তভোগী এরশাদ আলী।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহেদ আলী সোনালী ব্যাংক দুর্গাপুর শাখার ৩৮৮০ হিসাব নম্বরে দুই পদের অনুকূলে জমাকৃত বেতন ভাতা ২৬ বছর ধরে উত্তোলন করে যাচ্ছেন। এছাড়াও দূর্নীতি ও অনিয়ম করে বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ, নিজের মেয়ের বাল্য বিয়েতে বাধ না সাঁধতে ও ভ্রাম্যমান আদালতের দেয়া নিজের সাঁজা মওকুফ করতে ভুয়া সচিব পরিচয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ফোনে হুমকী সহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

আওয়ামী লীগ নেতা প্রধান শিক্ষক সাহেদ আলীর অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে পত্র পত্রিকায় লেখালেখিও হলে তাকে বহিস্কার করা হলেও অদৃশ্য খুটির জোরে এখনও বহাল তবিয়তে স্বপদে চাকুরী করছেন তিনি। বিদ্যালয়ের মাসিক বেতন ভাতা পরিশোধের এমপিও অর্ডার সীট পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাসেও এমপিও সীটে প্রধান শিক্ষক সাহেদ আলী ৫০৪৩২২ নম্বর ইনডেক্স থেকে প্রধান শিক্ষক পদের অনুকুলে বেতন ভাতা হিসেবে ৩৮ হাজার ৮৯০ টাকা এবং অফিস সহকারী পদের ৭৮১০১১ নম্বর ইনডেক্স থেকে বেতন ভাতা হিসেবে ১২হাজার ৪৯০ টাকা সোনালী ব্যাংক দুর্গাপুর শাখার ৩৮৮০ নম্বর হিসাব নম্বরে একই মাসে জমা হয়েছে। তিনি উভয় পদের অনুকুলেই বেতন ভাতা হিসেবে যে টাকা উত্তোলন করেছেন তা একই ব্যাংকের একই নম্বর একাউন্ট থেকে। এভাবে তিনি গত ২৬ বছর ধরে একই কায়দায় বেতন ভাতা উত্তোলন করে চলেছেন।

এবিষয়ে ভূক্তভোগী দুর্গাপুর সরকারী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী এরশাদ আলী বলেন, উপরোক্ত বিষয়ে সরজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য গত ২০২২ সালের ৬মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগের আলোকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে সরজমিনে অভিযোগ তদন্তের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহীদুল হক সরজমিনে তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট ২০২২ সালের ১৭ আগষ্ট প্রতিবেদন দাখিল করলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করে বিষয়টি নিয়ে গড়িমশি শুরু করেন তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানা।

প্রধান শিক্ষক প্রভাবশালী সাহেদ আলীর বিরুদ্ধে এর আগেও অনেকবার তার দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে পত্র পত্রিকায় লেখালেখিও হলে সংশ্লি­ষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে প্রতিবারই তার অনিয়ম দুর্ণীতির প্রমাণ পেলেও অদৃশ্য খুটির জোরে এখনও বহাল তবিয়তে স্বপদে চাকুরী করছেন তিনি। এরপর অফিস সহকারী এরশাদ আলী তার দায়েরকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার তদন্তের আলোকে জরুরীভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আবারো ২০২৩ সালের ২৩ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন করেন। কিন্তু তাতেও কোন ফল হয়নি।

এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক সাহেদ আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি উভয় পদেই বেতন ভাতা অন্তভূক্ত হওয়ার কথা অকপটে স্বীকার করে বলেন, এটা আমার ভুল হয়েছে। এ বিষয়ে ডিজি অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সব জানেন। তবে অফিস সহকারী পদে বেতন ভাতা আসলেও তিনি তা কখনো উত্তলোন করেননি বলে দাবী করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুল হক জানান, বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী এরশাদ আলীর অভিযোগ তদন্তে প্রধান শিক্ষক সাহেদ আলী পূর্বের পদ ইস্তাফা না দিয়ে পরে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ নেন। যা বিধি লঙ্ঘনের সামিল। সাহেদ আলী একই নাম অক্ষরের ভিন্নতা এনে অদ্যাবধি দুইটি পদেই চাকুরী করছেন এবিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে। আমি তদন্ত শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। তিনি দেখভাল করবেন।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট