জিয়াউল কবীর……………………………………………………
রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার তেরখাদিয়া উত্তরপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে স্বর্ণ চুরির ঘটনায় মামলা রুজুর দেড় ঘন্টার মধ্যে চোরাই স্বর্ণ উদ্ধারসহ ২ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে আরএমপি’র রাজপাড়া থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত যুবক সিয়াম (১৮) ও মাহাবুবুর রহমান জনি (৩৫)। সিয়াম রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার তেরখাদিয়া উত্তরপাড়ার মো: ইমদাদুল হকের ছেলে ও জনি একই থানার বসুয়া গ্রামের মো: মনির উদ্দিনের ছেলে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার তেরখাদিয়া গ্রামের মো: তাইবুর রহমানের স্ত্রী গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ সকাল সাড়ে ১০ টায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। তিনি আহত স্ত্রীকে ঐদিন তার শ্বশুর বাড়িতে রেখে আসেন। স্ত্রীর জন্য ঔষধ কিনতে রাত ৯টায় তার বাসায় তালা দিয়ে লক্ষীপুর যান। সেখান থেকে ঔষধ কিনে তার স্ত্রীকে দিয়ে ২১ সেপ্টেম্বর (২০ সেপ্টেম্বর দিবাগত) রাত সাড়ে ১২ টায় বাসায় এসে দেখেন তার ঘরের দরজা খোলা ও বাসার জিনিসপত্র এলোমেলো এবং আলমারিও খোলা রয়েছে। ঐ সময় তিনি লক্ষ্য করেন আলমারি থেকে প্রায় ৭ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণ ও রূপার অলংকার এবং নগদ আড়াই লক্ষ টাকা চুরি হয়েছে। তাইবুর রহমান এ বিষয়ে রাজপাড়ায় থানা একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
উক্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আরএমপি বোয়ালিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিভূতি ভূষন বানার্জীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হাফিজুল ইসলামের দিক নির্দেশনায় রাজপাড়া থানা পুলিশের একটি টিম চোরাই মালামাল উদ্ধারসহ আসামি গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। পরবর্তীতে রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ বদিউজ্জামান, এসআই কাজল কুমার নন্দী, তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো: রাজিবুল করিম ও তাঁর টিম আজ ১২ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১২ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে রাজপাড়া থানার তেরখাদিয়া এলাকা থেকে সিয়ামকে গ্রেফতার করে। তার দেওয়া তথ্যমতে অপর আসামি জনিকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
এসময় তাদের কাছ থেকে ৩ ভরি ৬ আনা স্বর্ণ ও ৫ ভরি ৩ আনা রূপার অলংকারাদী উদ্ধার হয়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। টাকাসহ অন্যান্য মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হচ্ছে।#