1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৫০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
শিবগঞ্জে বন্যা দুর্গত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও নবোদ অর্থ বিতরণ গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যা ও দেশব্যাপী সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে তানোরে মানববন্ধন অপরাধঃ বদরগঞ্জে জোরপূর্ব জমি দখলের চেষ্টা, প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ রাণীশংকৈলে কৃষকদের মাঝে ২ কোটি টাকা মূল্যের কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ র‌্যাব-৫ কর্তৃক চারঘাটে স্কুলছাত্রী অপহরণের মূলহোতা গ্রেফতার, ভিকটিম উদ্ধার পুঠিয়ায় ইউএনও এ. কে. এম. নূর হোসেন নির্ঝরের উদ্যোগে আধুনিক টয়লেট নির্মাণ  সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিবু দাশের উদ্যোগে পুঠিয়ায় জলাবদ্ধতা নিরসন দলের হয়ে জনগনের কল্যাণে রাজনীতি করি : চাঁদ রাজশাহী বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান তারেক রহমানের  ধোবাউড়ায় বাকপ্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ; গ্রেপ্তার ১

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে স্বামী সন্তান রেখে পরকীয়া প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৬ জুন, ২০২২
  • ২৩৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

কুড়িগ্রাম ভূরুঙ্গামারী প্রতিনিধি …………………………..

 

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে প্রেমিক বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি। উপজেলার তিলাই ইউনিয়ন এ ঘটনা ঘটেছে।

 

স্থানীয় ও চেয়ারম্যান সূত্রে জানা গেছে তিলাই ইউনিয়নের পশ্চিমছাট গোপালপুর গ্রামের নূর মোহাম্মদ (কাচু) দেওয়ানির ছেলে মোঃ লিটন মিয়া(৩৫) ভুরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়ন এর ৯ নং ওয়ার্ডের মোজাম্মেল হোসেন মোজাম এর মেয়ে মৌসুমি খাতুন এর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে প্রায় ১৪ বছর আগে বিবাহ সম্পূর্ণ হয়।এই সংসার জীবনে দুটি বাচ্চাও রয়েছে ছেলে ৮ ও মেয়ের বয়স ৫ বছর। এমতবস্থায় মৌসুমী খাতুন একই ইউনিয়নের পাসের গ্রাম দক্ষিন ছাট গোপালপুর গ্রামের জহির উদ্দিন ( স্বর্নকার) এর ছোট ছেলে আতিকুল ইসলাম (১৯) সাথে পরিচয় হয়।

 

মৌসুমী খাতুন তার বাচ্চাকে স্কুলে নেওয়া দেওয়ার যাতায়াতের সময় আতিকুলের সাথে পরিচয় থেকে বন্ধুত্ত তারপর একটা সময় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সম্পর্কের জের ধরে মৌসুমী খাতুন তার স্বামী ও দুই সন্তানকে রেখে গত ১৮ জুন শনিবার প্রেমিক আতিকুলের হাত ধরে ঢাকা পালিয়ে যায়। এমতাবস্থায় ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান অভিযোগ দিলে চেয়ারম্যান বলেন আমি ওই দুইজনকে বাড়িতে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতেছি। পরে চেয়ারম্যান এই দুই প্রেমিক প্রেমিকার পরিবারের ও প্রশসনের সহযোগিতার মাধ্যমে ঢাকা থেকে ২১ জুন মঙ্গলবার চেয়ারম্যানের বাড়িতে নিয়ে আসে।

 

পরে চেয়ারম্যান তিন পক্ষকে ডেকে মীমাংসা হওয়ার প্রস্তাব দেয়। এ সময় মৌসুমীর স্বামীর পক্ষ বলেন আমরা এই বউকে নিবো না।প্রেমিক আতিকুল বলেন আমি বিয়ে করবো না আমাকে জোর করে নিয়ে গেছে ঢাকায়। এর পর কোনো সমঝোতায় না আসলে মৌসুমী খাতুন এর স্বামীর দেওয়া স্বর্ণ অলংকার ও ৩৫ হাজার টাকা মৌসুমীর কাছ থেকে উদ্ধার করে স্বামী লিটন ও শশুরের কাছে হস্তান্তর করেন চেয়ারম্যান। পরে ওই রাতে সমঝোতায় না আসলে ও রাত গভীর হওয়াতে চেয়ারম্যান প্রেমিক আতিকুলকে আতিকুলের বড় ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করে বলেন এ বিষয়ে নিয়ে আগামীকাল বসবো সে পর্যন্ত আপনার ছোট ভাই আপনার কাছে রেখে দিলাম আপনি আপনার বাসায় নিয়ে যান এবং মৌসুমী খাতুন আমার জিম্মায় আমার বাসায় থাকবে।চেয়ারম্যানের কথার উপর ভিত্তি করে যার যার মত সবাই সেই রাতে চলে যায়।

 

এদিকে ঘটনার তিন দিন পার হয়ে গেলেও আতিকুলকে তার পরিবার চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে আসতে পারেনি এবং ধোরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যায় আতিকুলের পরিবার। পরে এই ঘটনায় এলাকায় স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করলে ওই ইউনিয়নে ছেলের বড় ভাই আবু বক্কর একটি পালসার ১৫০ সিসি কালো রঙের গাড়ি ধামের হাট বাজারে মৌসুমীর খাতুনের স্বামী লিটনকে নিয়ে ঘুরতে দেখে স্থানীয়রা। পরে স্থানীয় লোকজন সেই গাড়িটিকে আটক করে। আটকের পর আবু বক্করকে বলেন এই ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত গাড়িটি স্থানীয় লোকজনের কাছে থাকবে।

 

গাড়ি আটকানোর উভয় পক্ষে তর্ক বির্তক হলে খবর পেয়ে কামাত আঙ্গারীয়া দাখিল মাদ্রাসা বিএসসি শিক্ষক খোরশিদ নুর আলম ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করে। খোরশিদ নুর আলম এলাকাবাসীকে বলেন গাড়িটি ছেড়ে দেন আমার জিম্মায় আমি আগামীকাল চেয়ারম্যানের সঙ্গে উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে সুষ্ঠু সমাধান করব। পরে এলাকাবাসী গাড়ি ছেড়ে দিলেও পরের দিন থেকে আর তাদের কোনো খোঁজ মিলেনি।

 

গাড়ির ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএসসি বলেন আমার জিম্মায় নিয়ে আমি গাড়ি ছেড়ে দিয়েছি ।পরের দিন সমাধানের জন্য আমি ছেলের বড় ভাই আবু বক্করকে ফোন দিলে আমার ও ফোন রিসিভ করেনি তারা আমাকেও এড়িয়ে চলছে।

 

ঘটনার সত্যতা জানতে চেয়ারম্যান কাছে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন ঘটনা সব সত্যি মেয়েটি আমার বাড়িতে চার দিন ছিল। আমি সমাধানের জন্য আতিকুল ও তার পরিবারকে ডাকলে তাদেরকে পাইনি। পরে মেয়েটি আমার বাসাতেই ফাঁসি দেওয়ার চেষ্টা করে এবং বলে আতিকুল ছাড়া আমি বাঁচবো না ওই আতিকুলকে আমি বিয়ে করবো। পরে আমি মৌসুমির প্রেমিকা আতিকুলের বাসায় পাঠিয়ে দেই। মৌসুমী চেয়ারম্যান এর বাড়ি থেকে শনিবার ২৫ জুন দুপুর ১২ টার দিকে আতিকুলের বাড়িতে ঢুকে পড়ে।

 

মৌসুমী বলেন আমার সংসার নষ্ট করেছে আতিকুল । আমি আতিকুলকে বিয়ে করতে না পারলে আত্মহত্যা করবো। আতিকুলের বড় ভাইয়ের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সে বলেন আমার কাছে বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাবে টাকা চেয়েছে সমাধানের জন্য আমার কাছে আমি দেয়নি। চেয়ারম্যান এ বিষয়টা সমাধান করে দিতে চেয়েছিল কিন্তু চেয়ারম্যান ৪ দিন উনার বাড়িতে মেয়েটিকে রেখে আজ শনিবার দুপুরের দিকে আমার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় এখন মেয়েটি আমাদের বাড়িতেই আছে। আরো বলেন আমার ভাইয়ের যদি কোন দোষ থাকে আইন আছে আইন যেটা করবে সেটাই মাথা পেতে নেব।

 

এ বিষয়ে ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন বিষয়টি জানি যে তারা দুজন ঢাকায় গিয়েছিল পরে চেয়ারম্যান নিয়ে আসছে সমাধান করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু মেয়ে ওই ছেলের বাসায় উঠেছে সেটা জানিনা। এখন শুনলাম দেখি বিষয়টা কি করা যায়।#

এডিট:সান

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট