# লিয়াকত হোসেন, রাজশাহী………………………………………………………….
রাজশাহী বাগমারা উপজেলায় এমপি বিরোধী প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করার অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার টিন ও সেলাই মেশিন জোর করে ফেরত নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর এ অভিযোগ উঠেছে বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রিড়া সম্পাদক আশিকুর রহমান সজলের বিরুদ্ধে। তিনি বাগমারা উপজেলার মচমইল এলাকার প্রয়াত চেয়ারম্যান গোলাম রাব্বানীর ছেলে ও প্রসিদ্ধ পিচ কমিটির সেক্রেটারি কাবিল উদ্দিনের নাতি।
তার দাদা ১৯৭২ সালে জেলও খেটেছেন। এমন জঘন্য ঘৃণিত কান্ড ঘটিছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী বাগমারা উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের মৃত সানিকুল্লার ছেলে শিরাজ।
ভুক্তভোগী সিরাজ বলেন, আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত আমার মত পার্থক্য থাকতেই পারে। আমি এমপি এনামুলের বিরোধী প্রোগ্রামে অংশ করেছি বলে অভিযোগ তুলে গালিগালাজ করে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার টিন ও সেলাই মেশিন ফেরত নিয়ে যায় এমপি এনামুলের অনুসারী আশিকুর রহমান সজল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের জামাত-বিএনপির অনুপ্রবেশ এই আশিকুর রহমান সজলের পরিবারের হাত ধরেই ঘটিয়েছেন এমপি এনামুল হক বলে অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আশিকুর রহমান সজল বলেন, আমি রাগে শিরাজকে বলেছিলাম টিন ও সেলাই মেশিন ফেরত দিতে। টিন আমার বাসার বারান্দায় পড়ে আছে আর সেলাই মেশিন কোথায় আছে আমি বলতে পারবো না।
এ বিষয়ে এমপি এনামুল হক বলেন, আমার বিরোধিতা তো অনেকে করছে আমি আপনার মাধ্যমে শুনেছি তার পরে সজলের সাথে কথা বলে জানতে পেরে পিআইওকে বলে দিয়েছি তাকে যেন ফেরত দেয় ও সিরাজ না নিলে পিআইও অফিসে জমা রাখতে।
এনামুলের অনুসারী আশিকুর রহমান সজল যে কাজটি করেছেন তা রীতিমত অন্যায় এবং ক্ষমতার অপব্যবহার। বাগমারার এমপি এনামুলের উচিত ছিল সজলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া। কিন্তু তিনি তা করেননি। দলের লোক বলে সাধারণ দৃষ্টিতে দেছেন। বাগমারাবানি এমপি এনামুলের পক্ষপাতমূলক আচরণ কখনও আশা করেনি।#