# চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি…………………………………………….
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বারোঘরিয়া সুইচগেটে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ৪১টি বাড়ি দখল করে সেখানে রামরাজত্ব কায়েম করছেন হিজরা নেত্রী ববিতা। পাশের একটি জায়গায় পাঁকা বাড়ি ও খামার থাকলেও উপহারের ঘর দখল করে বসে আছে হিজরা নেত্রী ববিতা। অথচ আশেপাশেই বাড়ির আবেদন করেও না পেয়ে হতাশায় দিন কাটছে বারোঘরিয়া এলাকার অসহায় দরিদ্র মানুষ। সরকারি দপ্তর ও ইউনিয়ন পরিষদে বারবার ঘুরেও বাড়ি পায়নি তারা।
উল্টোদিকে ৪১টি ঘরে হিজরা সম্প্রদায়ের মাত্র ১৬ টি ঘরে বাসবাস করা হচ্ছে। বাকি ঘরগুলো পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে আছে। বাসবাস না করায় জঙ্গল পরিনত হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরগুলো। এমনকি বসবাস না করায় ঘরের ছাউনি ছাড়ায় খোলা রয়েছে কয়েকটি ঘর। অথচ হিজরা নেত্রী ববিতার নেতৃত্বে এসব ঘরে ছাগল মুরগি লালন পালন করা হচ্ছে বসবাসের ঘরে।
স্থানীয়দের দাবি, বারোঘরিয়া বাজারের পাশেই হিজরা নেত্রী ববিতার রয়েছে পাঁকা ঘর ও বিশাল খামার। সেখানেই তারা বসবাস করছেন দীর্ঘদিন ধরে। এমনকি হাতে গোনা কয়েকজন হিজরা থাকলেও ছেলে মানুষকে হিজরা সাজিয়ে চাঁদাবাজি করার অভিযোগ রয়েছে ববিতার বিরুদ্ধে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সকাল হলেই বিভিন্ন রুটে প্রায় ৩০-৩৫ জন হিজরা বেরিয়ে পরে চাঁদাবাজি করতে। সন্ধ্যায় এসে সব টাকা হাতিয়ে নেয় ববিতা। এভাবেই সে বর্তমানে সম্পদের পাহাড় গড়েছে। চাঁদা না পেলেই মানুষজনকে হয়রানী ও অপদস্ত করার অভিযোগ রয়েছে ববিতার বিরুদ্ধে।
জেলা প্রশাসনকে অসহায়ত্বের দোহায় দিয়ে বাড়িগুলো দখলে নেয় হিজরা নেত্রী ববিতা। এমনকি বহিরাগতদেরকেও বাড়িতে বসবাসের অনুমতি দিয়েছে ববিতা। স্থানীয় বাসিন্দা তরিকুল, ফয়সাল আজম অপু, আলমগীর হোসেন জানান, হিজরা পরিচয়ে ৪১টি বাড়ি বরাদ্দ নিয়ে ১৫-১৬টি বাড়িতে বসবাস করছে। বাকিগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। এমনকি টাকার বিনিময়ে বাইরের লোকজনকে বাড়ি বিক্রির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আমরা চাই, সমাজের অসহায় দরিদ্র খেটে-খাওয়া মানুষদের এসব বাড়ি দেওয়া হোক।
নাসরিন খাতুন নামের এক নারী জানান, আমরা বারবার আবেদন করেও আমরা ঘর পায়নি। অথচ হিজরা ববিতা বাড়ি দখল করে বসে আছে। আমার প্রায় ৫০টি পরিবার বারবার প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ করেও ঘর পায়নি। আমরা চাই, সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তাদেরকে ঘর থেকে বের করা হোক এবং সমাজের অসহায় দরিদ্র খেটে-খাওয়া মানুষকে ঘর প্রদান করা হোক। তসলিমা খাতুন তনু, ডলার ওরফে হাসান জানান, আমরা বাড়ির দাবিতে এর আগে একাধিকবার আবেদন ও মানববন্ধন করেছি। কিন্তু প্রশাসন বাড়ির ব্যবস্থা করেনি। এমনকি হিজরা নেত্রী ববিতার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এবিষয়ে কোন হিজরা সম্প্রদায়ের লোকজন কথা বলতে রাজি হয়নি।
এদিকে, হিজরা নেত্রী ববিতার দু’টি বাড়িতে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সরেজমিনে অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#