অনুসন্ধানী প্রতিবেদন………………………………………………………….
বিনোদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাবির উদ্দিনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে অভিযোগ করা আবেদনটি আমলে নেওযার পর তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছেন ।
দুর্নীতি তদন্তে গত ২৭ আগস্ট চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ কামরুল ইসলাম এবং দু-সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ।
যার ধারাবাহিকতায় তদন্ত দল ইতিমধ্যেই সরেজমিনে বিনোদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এসে প্রধান শিক্ষক সাবির উদ্দিনের দূর্নীতির আমলনামার বিষয়ে অনুসন্ধান করেছেন । তদন্তকালে শিক্ষকসহ স্থানীয়দের সাথে কথা বলে অভিযোগ গুলোর বিষয়ে খোঁজ খবর নেবার সময় প্রধান শিক্ষক সাবির উদ্দিন জনগনের তোপের মুখে পড়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রধান শিক্ষক সাবির উদ্দিনের বিরুদ্ধে পাহাড় সম দুর্নীতির অভিযোগের পর সরজমিনে গিয়ে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্যপেয়েছে অনুসন্ধান দল ।
জানাগেছে ১৯৫৫ সালে ঐতিহ্যবাহী বিনোদপুর উচ্চ বিদ্যালয়টি ৩৯ বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল । ২০১০ সালে সাবির উদ্দিন কে বিদ্যালয়ের তৎকালীন অ্যাডহক কমিটি প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন। তিনি তার আগে বিনোদপুর মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। বিদ্যালয়টির রয়েছে বিপুল পরিমাণ সম্পদ যা অর্থ আয়ের উৎস।
প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গেছে , প্রতিষ্ঠানটির বরেন্দ্র অঞ্চলে প্রায় ২৪ বিঘা ধানি জমি, ৩টি আমবাগান এবং বিদ্যালয়ের জমির ওপর নির্মিত পাকা দোকান ঘর ১২০টি, কাঠের ৫০টি দোকান ঘর রয়েছে। যেগুলো থেকে বছরে আয় হয় লাখ লাখ টাকা।
সাবির উদ্দিনের যোগদান পুর্বে প্রতিষ্ঠানের বিশাল অর্থ জমা ছিল । কিন্তু আজ বিপুল পরিমাণ অর্থের কোন হুদিস নেই । পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকরা হিসাব চাইলেও হিসাব দিতেও নারাজ এই আলোচিত শিক্ষা প্রধান মোঃ সাবির উদ্দিন।
শিবগঞ্জ উপজেলার যেকয়টি উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে , তাঁরমধ্যে অন্যতম একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিনোদপুর উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১৯ জন শিক্ষক ও ৩ জন কর্মচারী নিয়োজিত রয়েছেন। শিক্ষার্থীর পরিমাণ আনুমানিক প্রায় দেড় হাজার । ছাত্র ছাত্রীদের ভাল ফলাফলের জন্য জেলাতে প্রশংসিত। বিদ্যালয়টি এর আগে সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হলেও বর্তমান প্রধান শিক্ষক সাবির উদ্দিন যোগ দেয়ার পর থেকেই শুরু হয় আর্থিক অনিয়ম ও সরকারি নির্দেশনা অবজ্ঞা করার মত কাহিনী এমনটাই অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী ও প্রতিষ্ঠানের এ্যাডহক কমিটির সদস্যরা।
এদিকে সাবির উদ্দিনের বিভিন্ন দূর্নীতির অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধান দল যখন মাঠে, তখন জানতে পারে, সম্প্রতি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক মো: জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে উল্টো ঘুষের অভিযোগ তুলেছেন এই আলোচিত প্রধান শিক্ষক সাবির উদ্দিন ।
প্রধান শিক্ষকের এমন অভিযোগের খবর যখন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে নতুন করে আলোচনার জন্ম দেয় । নতুন করে তোপের মুখে পড়ে এ প্রধান শিক্ষক সাবির উদ্দিন। অনুসন্ধান কালে সেই অভিযোগের বিষয়টি আমলে নিয়েও সত্যতা খুঁজেছি -চেষ্টা করেছি কি কারনে এমন অভিযোগ করেছেন প্রধান শিক্ষক।
নৈপথ্যের কাহিনী খুঁজেছে অনুসন্ধান দল যেখানে উদ্ধার করা হয় এমন অভিযোগের সাথে জড়িত রয়েছে দুই মাষ্টার মাইন্ড আলোচিত ও সমালোচিত তেলকুপি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান আ: মান্নান এবং বিনোদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান সাবির উদ্দিন ।
বিভিন্ন সময়ে বিনোদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাবির উদ্দিনের দূর্নীতির বিস্তর পাওয়া গেলে ওই এলাকাতে আমলনামার তথ্য উপাথ্য জানতে যায় অনুসন্ধানদল।
।
অনুসন্ধানকালে অনুসন্ধান দল জানতে পারে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক মো. জিয়াউল হকের গ্রামের বাড়ি এই বিনোদপুরে । ছিলেন বিনোদপুর উচ্চ বিদ্যাশয়ের ছাত্র ।
এলাকাতে বাড়ী হওয়ার ফলে সঙ্গত কারণেই বিনোদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাবির উদ্দিনের বিভিন্ন দূর্নীতির তথ্য নখদর্পনে ছিল পরিদর্শক জিয়াউল হকের । একটি সুত্র দাবী করেছেন বিভিন্ন সময়ে এলাকাবাসী মৌখিক ভাবে বিদ্যালয় পরিদর্শক কে সাবির উদ্দিনের দূর্নীতির অভিযোগ করলেও আইনগত দৃষ্টিতে লিখিত অভিযোগ না থাকাই কিছু করার ছিল-না । এরই এক পর্যায়ে এলাকাবাসী ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষকের দূর্নীতির অভিযোগ তুলে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেন। সেই আবেদনটির তদন্ত করছে শিক্ষাবোর্ডের শক্তিশালী গঠিত কমিটি।
এদিকে প্রধান শিক্ষক তাঁহার কৃত কর্মকে জায়েজ করতে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ছিল অন্যতম মাধ্যম। সর্বশেষ ৪র্থ দফা এ্যাডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে প্রধান শিক্ষকের পছন্দের প্রার্থী কে টানা চতুর্থ দফাতে সভাপতি করতে শিক্ষাবোর্ডে আবেদন করেছিলেন।
শিক্ষাবোর্ডের সুত্রে জানাগেছে, সর্বশেষ এ্যাডহক কমিটি দেওয়া হয়েছিল বিধিমোতাবেক ম্যানেজিং কমিটি গঠন করবেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক এ্যাডহক কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও নিয়মিত কমিটি করেননি।। সেই সাথে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষোদ শিক্ষকরাও দূর্নীতির অভিযোগ তোলে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবর দরখাস্ত দিয়েছেন। প্রধান শিক্ষক যেহেতু নিয়মিত কমিটি করেননি বিধায় বিদ্যালয়টির বিষয়ে তদন্ত পূর্বক সিদান্ত গ্রহন করবে শিক্ষাবোর্ড ।
উল্লেখ্য বিনোদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সর্বশেষ এ্যাডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন মো?: সামিম রেজা। কিন্তু প্রধান শিক্ষকের পছন্দের প্রার্থী ছিলেন জনৈক জাহাঙ্গীর আলম যিনি পরপর তৃতীয় দফায় সভাপতি ছিলেন এবং ৪র্থ দফাতেও তার নাম ছিল। তবে শিক্ষা বোর্ড শিক্ষিত ও জনগনের দাবীর প্রেক্ষিতে মো: সামিম রেজা কে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছিলেন ।
যেখান থেকে বিদ্যালয় পরিদর্শক জিয়াউল হকের উপর প্রধান শিক্ষক সাবির উদ্দিন নাখশ ছিলেন। সাথে এই প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগ হয়েছিলেন তেলকুপি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঃ মান্নান ও যার বিরুদ্ধে রয়েছে ব্যপক দূর্নীতি ও বিধি মোতাবেক কমিটি না করার। যার বিরুদ্ধে ও রয়েছে শিক্ষা বোর্ডে দূর্নীতির আমল নামার দরখাস্ত ।
বিদ্যালয় পরিদর্শকের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগটি খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যপক ভাবে আলোচনা সৃষ্টি হয়েছিল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে প্রতিবাদের ঝড় । প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে সব শ্রেনীর মানুষ কে । বিদ্যালয় পরিদর্শকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ যেন কেউ মেনে নিতে পারছেননা। বিধায় এলাকাতে বেশ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল যা আজও বিদ্যমান । প্রধান শিক্ষকের এমন অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ করে সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন পোষ্ট দেখা গিয়েছে। -যা রীতিমত ভাইরাল হয়।
ওই সব পোষ্ট গুলোতে প্রায় শতভাগ চলে যাই জিয়াউল হকের পক্ষে । যেখানে বলা হয়েছিল আদর্শিক ও বীর মুক্তি যোদ্ধার কৃতি সন্তান – কখনোই দুর্নীতি করতে পারেননা। এমনকি প্রধান শিক্ষক সাবির উদ্দিন যে বিষয়ে জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ করে তা কমিটির অনুমোদনের সাথে যায়না। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ ও উদ্যেশ্য প্রণোদিত। ক্ষোদ প্রধান শিক্ষক সাবির উদ্দিনের সহকর্মী শিক্ষকরাও বলেছেন সম্পুর্ন অসত্য ও মিথ্যা অভিযোগ। আমরা বিদ্যালয় পরিদর্শকের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগের বিরোধীতা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এদিকে সামাজিক মাধ্যমে যখন চলছে প্রতিবাদের ঝড় পক্ষান্তরে প্রধান শিক্ষক সাবির উদ্দিন কে দুর্নীতিবাজ অ্যাখা দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন স্ট্যাটাস । প্রতিবাদ গুলোতে বলা হয় নিজের অপরাধ ঢাকতেই উল্টো অভিযোগ করেছেন প্রধান শিক্ষক সাবির উদ্দিন। এক-কথায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক সাবির উদ্দিনের জ্ঞানহীন কান্ডকে ধুয়ে দেয়া হয়।
পরিদর্শকের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির অভিযোগ বিষয়ে জনপ্রতিনিধিরাও ধিক্কার জানিয়েছেন সাবির উদ্দিনের এমন কাণ্ডের জন্য । স্থানীয়দের বক্তব্যসহ , শিক্ষদের কাছে গিয়েও নিরুপন করতে চেয়েছে অনুসন্ধান দল- কি কারনে দুর্নীতির অভিযোগ এই কর্মকর্তার উপর। অনুসন্ধান দল কে স্থানীয়রা জানাই ,রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক মো: জিয়াউল হক এই বিনোদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন । গ্রামের বাড়ি এই বিনোদপুর এলাকাতেই । তিনি একজন প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান । ছোট ভাই বাংলাদেশ পুলিশের একজন এএসপি। একটি বোন করেন শিক্ষকতা ।
পারাবারিক স্বচ্ছলতার বালাই নেই । ছোটবেলা থেকেই সবার সাথে মিশুক ছিলেন । ছিলেন প্রচন্ড ধরনের একটা মেধাবী ছাত্র । এলাকার মানুষ বর্তমান বিদ্যালয় পরিদর্শক কে নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখেছিলেন যা হয়ত আজ পুরন ও করেছেন । বিধায় এলাকার মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ও একজন আদর্শবান ছেলে হিসাবে এলাকাবাসীর কাছে সমাধৃত।
এমন তথ্য দিয়েছেন বিনোদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকগনসহ ওই এলাকার সাধারন মানুষ।
অন্যদিকে বিনোদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান সাবির উদ্দিনের বিরুদ্ধে রয়েছে দুর্নীতির বিস্তার অভিযোগ। এলাকাবাসী বিভিন্ন সময়ে এ শিক্ষা প্রধানের বিরুদ্ধে ।
বিধায়, এলাকাবাসী সুনির্দিষ্ট ভাবে লিখিত আকারে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছিলেন। আর -পরিদর্শক জিয়াউল হকের গ্রামের বাড়ি হওয়াতে প্রধান শিক্ষকের বিভিন্ন অপরাধ ও দুর্নীতির তথ্য গুলো জানতেন । প্রধান শিক্ষক সাবির উদ্দিন অভিযোগের বিষয়টি জেনে গেলে অগ্রীম ভাবনাতে নিয়ে ফেলেন এবার হয়তোবা তিনি রক্ষা নাও পেতে পারেন। প্রধান শিক্ষক জানতেন এর আগে পছন্দের প্রার্থী কে সভাপতি করতে পারেননি আবার ও দূর্নীতির অভিযোগ শিক্ষাবোর্ডে আবেদন রয়েছে । যাতে করে প্রধান শিক্ষক পরিদর্শক জিয়াউল হক কে সব মিলিয়ে এই আলোচিত প্রধান শিক্ষক দুশছেন ।
বিধায় নিজের স্বার্থে বিদ্যালয় পরিদর্শক জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ করে বসেন । এছাড়াও এ্যাডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে যাকে পেয়েছিলেন তিনি তাঁর পছন্দের প্রার্থী ছিলেননা বিধায় সদ্য এ্যাডহক কমিটির সভাপতি বিভিন্ন দূর্নীতির আলামত হাত পেয়ে বসে।
মুলত পছন্দের তালিকার সভাপতি না পাওয়ায়, প্রধান শিক্ষকের দূর্নীতির আলামত প্রকাশের হতাশা থেকে বিদ্যালয় পরিদর্শকের বিরুদ্ধে দূর্নীতির মিথ্যা অভিযোগের তীর তুলেছেন । যাতে কোন ব্যবস্থা না নিতে পারেন বিধায় ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন প্রধান শিক্ষক সাবির ।
সাবির উদ্দিন অনুসন্ধান দলকে জিয়াউল হক কিভাবে দূর্নীতি করেছেন – এমন কোন তথ্যই দেখাতে পারেন-নি এই আলোচিত প্রধান শিক্ষক।
দুর্নীতি বিষয়ে অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি মো: জামিল উদ্দীনের মুখোমুখি হয়ে বিস্তারিত় জানবার চেষ্টা করেছি আমরা । এ আওয়ামীলীগ নেতা বলেন সাবির উদ্দিন প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর থেকে নিজের খেয়াল-খুশিমতো স্কুল পরিচালনা করেন। স্কুলের সম্পদ থেকে আয়ের টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে নিজের কাছেই রেখে দেন। প্রকৃত আয় থেকে কম টাকা ব্যাংকে জমা দেন। আর দোকান ঘর বরাদ্দ নিয়ে তো অনিয়মের বালাই নেই। তিনি আরো বলেন এই শিক্ষা প্রধানের দূর্নীতি চরমে উঠেছে। নিজের পকেট ভারী করতেই একের পর এক এ্যাডহক কমিটি করে যাচ্ছেন । নিজের যত অপরাধ ঢাকতে একজন আদর্শবান রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন যার কোন ভিত্তি নেই । ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন এলাকার মানুষ প্রধান শিক্ষকের দূর্নীতি, দায়িত্ব জ্ঞানহীন ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে গেছে । পরিদর্শকের বিরুদ্ধে এ কান্ডটি করেছেন নিজের অপরাধকে ঢাকবার জন্য।
শিক্ষা প্রধানের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থ গ্রহনের দাবী ও জানান এ আওয়ামী লীগ নেতা জামিল ।#