# নুরনবি হাসান, নিয়ামতপুর, নওগাঁ থেকে……………………………….
নওগাঁর নিয়ামতপুরে সাপের কামড়ে প্রাণ গেল ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী তাসকেয়া তৃষার।তৃষারের মৃত্যুতে ডাক্তারের অবহেলা রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা।
তৃষাকে বিষাক্ত সাপ (চিতি বড়া) কামড় দিলে পরিবারের সদস্যরা মরা সাপসহ তৃষাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। দায়িত্বরত চিকিৎসক অ্যান্টিভেনম রয়েছে বলে জানালেও শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার পর জানাই অ্যান্টিভেনাম নেই। পরে শিশুটিকে রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়ার পথে শিশুটির মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাসকেয়া তৃষা উপজেলার পাঁড়ইল ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের তফিকুল ইসলামের মেয়ে।
পরিবারের অভিযোগ, রবিবার (২০ আগস্ট) রাতে বারান্দায় বাবা-মার সাথে শুয়েছিলেন তৃষা। রাত ১ টার দিকে সাপে কামড় দিলে কান্নাকাটি শুরু করে তৃষা। বাবা-মা ঘুম থেকে উঠে দেখে একটি বড় (চিতাবড়া) সাপ বিছানায়। পরিবারের সদস্যরা মিলে মারেন সাপটিকে। মরা সাপসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ লিংকন তাদের অভয় দেন। দুই ঘন্টা ভর্তি রাখা অবস্থায় কোন চিকিৎসা না দেওয়ায় তৃষার অবস্থা আশংকাজনক হলে ডাক্তার ভ্যাকসিন(অ্যান্টিভেনম) জন্য তোড়জোড় শুরু করেন। বাইরে থেকে ঘুরে এসে ডাক্তার বলেন অ্যান্টভেনম মেডিকেলে না থাকায় রাজশাহী মেডিকেল নেওয়ার পরামর্শ দেন। রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় তৃষার।
তৃষার চাচা শরিফুল ইসলাম বলেন, ডাক্তারের অবহেলার কারণে তৃষার মৃত্যু হয়েছে। অ্যান্টভেনম নেই জানালে প্রথমেই আমরা তৃষাকে রাজশাহী মেডিকেলে নিতে পারতাম। দুই ঘন্টা ভর্তি রেখে বিলম্ব করার কারণেই তৃষার মৃত্যু হয়েছে।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ লিংকন বলেন, তারা সাপসহ রোগী আনলেও প্রাথমিক লক্ষ্মণে সেটি বুঝতে সমস্যা হচ্ছিল। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেখানে অ্যান্টিভেনম রাখা হয় সেখানে গিয়ে দেখি অ্যান্টিভেনম নেই। অ্যান্টিভেনম খুঁজে না পাওয়ায় রাজশাহী মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়।#