1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
বাঘায় নারী ফুটবল দলের প্রীতি ম্যাচে হাজারো দর্শক পরমাণু বোমা ইরানের হাতের নাগালে অর্থনৈতিক শুমারি’২৪ উপলক্ষে বাঘা উপজেলা শুমারি স্থায়ী কমিটির সভা  বাংলাদেশকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার দিচ্ছে রাশিয়া সেনাকুঞ্জে পৌঁছেছেন বেগম খালেদা জিয়া কিভে আমেরিকার দূতাবাস আপাতত বন্ধ! ইউক্রেনে রুশ বিমান হামলার আশঙ্কা  দুর্গাপুরে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্মরণে স্মরণসভা রাসিকের রাজস্ব কর্মকর্তা মনজুরুল আলমের  বিদায় সংবর্ধনা রাসিকের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত ১০টি চার্জার রিক্সা আটক নওগাঁ জেলা পুলিশ কর্তৃক চাঞ্চল্যকর “সুমন” হত্যাকাণ্ডের জড়িত প্রধান আসামী বুলবুল গ্রেফতার 

উপ-সম্পাদকীয়: ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা: সেদিন কি বলেছিল আন্তর্জাতিক মহল

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০২৩
  • ১৭৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

জিয়া রাজ……………………………………………………………….

ঢাকায় আওয়ামী লীগের একটি সমাবেশে তখনকার বিএনপি জামায়ত জোট সরকারের মদদে গ্রেনেড হামলা চালাই ইসলামী জঙ্গিগোষ্ঠি হুজি। এতে ২৪ জন নিহত ও ৩০০ জন আহত হয়। হত্যাচেষ্টা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পান শেখ হাসিনা। ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে আদালত বলেন ” রাষ্ট্রীয় যন্ত্রের সহায়তায় ঐ হামলার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ কে নেতৃত্ব শূন্য করার চেষ্টা হয়েছিল। তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, আব্দুস সালাম পিন্টু সহ ১৯ জনের মৃত্যুদন্ড ও বিএনপির ভাইস চেয়ারপার্সন তারেক রহমান,হারিস চৌধুরী সহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ঘোষণা করেন আদালত।

১৯ বছর আগের ঐ ভয়াবহ সহিংসতার পর দেশে বিদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল। বিশ্ব নেতারা তীব্র নিন্দা জানিয়েছিলো। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত বা ইউরোপীয় সবাই দফায় দফায় এ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছিলো। যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ এর হামলার পর তখন এমনিতেই বিশ্ব সন্ত্রাস নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং যুক্তরাষ্ট্র ও সমমনা দল গুলো এক বিষয়ে কাজ করছিলো এমন এক পরিস্থিতিতে বোমা হমলা উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছিলো পশ্চিমা বিশ্বক কে। ২১ আগষ্ট বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে শেখ হাসিনার সমাবেশে হামলার খবর মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। বিবিসি সহ আন্তর্জাতিক গনমাধ্যম গুলো কয়েক ঘন্টা পরই খবর টি ব্যপকভাবে প্রচার করতে থাকে।

খবর প্রচারের পরই প্রতিক্রিয়া আসতে থাকে সারা বিশ্ব থেকে। ঢাকা তখন থমথমে পরিস্থিতি,হামলার কয়েক ঘন্টার মধ্যে সেদিন রাতে শেখ হাসিনা কে ফোন করেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। এর পর বিবৃতি দেয় জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়শকা ফিদার। সেই রাতের পর কয়েক দিন বিভিন্ন দেশ, সংস্থা,ও মানবাধিকার সংগঠন থেকে ধারাবাহিকভাবে বিবৃতি আসতে থাকে। কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলিন পাওয়েল সহ বিশ্বনেতাদের অনেকেই ঘটনার পরদিন ২২ আগষ্ট শেখ হাসিনার সাথে ফোনে কথা বলেন তখনকার তুরষ্কের প্রধানমন্ত্রী নেক মেতিন এরবাকেন। ভারতের কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, ভারতের লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা এল কে আদভানী এবং যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিনা রোকা। আরও বিবৃতি দেন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ভারতীয় হাইকমিশনার। সেই সাথে তারা গ্রেনেড হামলার সাথে জড়িত সকল কে আইনের আওতায় আনার দাবি করে চাপ সৃষ্টি করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কাছে।

বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র বলেছিলো “এ ধরনের ঘৃণ্য রাজনৈতিক সন্ত্রাসেরতীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বিরোধী দলের (আওয়ামী লীগ) নেতৃত্ব শূন্য করার এমন কমান্ডো স্টাইল হামলা সফল হলে এটি গনতন্ত্র ও বংলাদেশের ভবিষ্যৎ কে ক্ষতিগ্রস্থ করতো। বিশ্বের সকল রাষ্ট্র এই হামলাকে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার একটি চেষ্টা হিসাবে আখ্যায়িত করে এতে বেগম খালেদা জিয়ার সরকারের ওপর চাপ তৈরী করেন। এছাড়া ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত কূটনীতিকরা একটি যৌথ বিবৃতি দিয়ে তৎকালীর সরকার কে ঘটনা তদন্ত করে দায়ীদের বিচারের আওয়তায় আনার আহ্বান জানান। একই সাথে তারা শেখ হাসিনার নিরাপত্তা নিশ্চিত কারারও আহ্বান করেছেন।

আমেরিকার রাষ্ট্রদূত হ্যারি কে টমাস, ভারতীয় হাইকমিশনার বিনা সিক্রী সেদিন ঢাকায় আলাদা ভাবে শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাত করে তাকে সমবেদনা জানান ও পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুস শেখ হাসিনার ওপর এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এর সঠিক বিচার দাবি করেছিলো। ঐ দিকে যুক্তরাজ্য সহ আরও কয়েকটি দেশ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের বিচার দাবি করেন। ঢাকায় ব্রিটিস হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাত করেন। এছাড়া নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালির রাষ্ট্রদূতরাও শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাত করে এবং নিজ নিজ দেশের সরকার প্রধানের কাছে বার্তা পৌছে দেয়। ঐ দিনই শ্রীলংকার রাষ্ট্রদূত ছাড়াও পাকিস্তানের সিনেটর ইকবাল হায়দার শেখ হাসিনার সাথে সারা করেন। ২৪ আগষ্ট তখনকার জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনান ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। ২৫ আগষ্ট ঢাকায় বিদেশি দূতাবাস গুলো আবার বিবৃত দিয়ে ঘটনার তদন্তে বেগম খালেদা জিয়া সরকারের ভূমিকায় অনন্তোস প্রকাশ করে যা ব্যপক ভাবে আলোচিত হয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মধ্যে ২৫ আগষ্ট কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেল ডন ম্যাককলিন শেখ হাসিনার সাথে ফোনে কথা বলেন এবং স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নেন। একই দিন জাপান ও অষ্ট্রেলিয়াও বিনৃতি দেয়।

অষ্ট্রেলিয়া সরকার বলেন–এই ঘৃণ্য হামলার ঘটনার কোন যুক্তি থাকতে পারে না। সেই সাথে জড়িতদের আইনের আওয়তায় এনে কঠিক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ঘটনার তদন্তে সেই সময়ের খালেদা জিয়া সরকারের পদক্ষেপ সমালোচনা তৈরী করলে ২৬ আগষ্ট ঢাকায় কূটনীতিক কোরের ডীন শাহতা জারাবের নেতৃত্বে শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাত করেন এবং ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন। বিশেষ করে ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতরা হামলার ঘটনার সুষ্ট ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত তদন্তের আহবান জানাচ্ছিলেন বার বার। তাদের এধরণের আহবান থেকে বোঝায় যায় সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ তদন্ত নিয়ে তখন তাদের মধ্যেও আশংকা ছিলো।

২১ শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলার ১৯ বছর পর এখনও সেই দুঃসহ জীবন যাপন করছে আওয়ামী লীগের বহু নেতা কর্মী। শরীরে শত শত স্পিন্ডারের যন্ত্রণা এখনও ঘুমাতে দেয় না তাদের। স্বাধীনতার স্ব-পক্ষের দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনে করে এখনো বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র সক্রিয় রয়েছে। মৌলবাদী উগ্র ধর্মান্ধ একটি চক্র এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে। আওয়ামী লীগ এর নেতা কর্মী বলছে বাংলাদেশ থেকে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রকে বিতাড়িত করতে আরও লড়াই চালিয়ে যেতে হবে আমাদের।

আওয়ামীলীগের যে সমস্ত নেতা কর্মী গ্রেনেড হামলার স্বীকার হয়ে এখনও পঙ্গু জীবন যাবন করছে তাদের সকলের দাবি ২১ আগষ্টের হামলার সাথে জড়িত সকল খুনিকে পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক না কেন খুজে বের করে এনে আদালতের রায় কার্যকর করতে হবে তবেই ২১ আগষ্টে নিহত সকলের আত্মা শান্তি পাবে।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট