# নিজস্ব প্রতিবেদক……………………………………….
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নগরীর বিভিন্ন লেক ও পুকুর সংরক্ষণ করা হচ্ছে। লেক ও পুকুর সংরক্ষণের পাশাপাশি সৌন্দর্য্যবর্ধণের কারণে জলাশয় কেন্দ্রগুলো নগরীবাসীর বিনোদনের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত পাচ্ছে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের মেয়াদকালে জলাশয় সংরক্ষণ ও সৌন্দর্য্যবর্ধনের সুফল পাচ্ছেন নগরবাসী।
রাসিকের তথ্যমতে, রাজশাহী নগরীর ২৬ নং ওয়ার্ডে ভদ্রার পদ্মা পারিজাত লেক, ১৫ নং ওয়ার্ডে সপুরায় মঠপুকুর, ২৩ নং ওয়ার্ডে কালীপুকুর সংরক্ষণ ও সৌন্দর্য্যবর্ধন করা হয়েছে। প্রতিটি জলাশয়ের প্রতিরক্ষামূলক সীমানা প্রাচীর নির্মাণসহ সৌন্দর্য্য বর্ধন করে ওয়াকওয়ে বা হাটার জায়গা এবং বসার স্থান করা হয়। এতে বিকেলে প্রাকৃতিক পরিবেশে সাধারণ মানুষরা বিনোদনের জায়গা যেমন পেয়েছে অপরদিকে পরিবেশের ভারসাম্য রাখতে এই জলাশয়গুলো ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। এছাড়াও জলাশয় গুলোর আশেপাশে আগুন লাগলে সেখান থেকে পানি ব্যবহারের সুযোগ থেকে যাচ্ছে। পরিবেশে ও ব্যক্তি মানুষের সম্পত্তি রক্ষায় বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচাতে ভূমিকা রাখবে সংরক্ষণ করা পুকুর ও লেকগুলো।
রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৫ কোটি ২৫ লাখ ৬৪ হাজার টাকা ব্যয়ে নগরীর সপুরা গোরস্থানের ভেতরের পুকুর, দড়িখরবোনা ও পবা নতুনপাড়ার(ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পাশে) জলাশয়ের প্রতিরক্ষামূলক সীমানা প্রাচীর, সৌন্দর্য্যবর্ধক বেঞ্চ ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। একইভাবে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কের বিপরীতে ১নং ওয়ার্ডে গুলজারবাগ নুরুর ঢালান লেক খনন, প্রতিরক্ষা সীমানা প্রাচীর, সৌন্দর্য্য বর্ধক বেঞ্চ ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এই কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ কোটি ২৪ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে ও জলাশয় রক্ষার্থে ২৩ নং ওয়ার্ডে টিকা পাড়া গোরস্থানের জলাশয় খনন ও ৪নং বুলনপুর ঈদগাহের পাশে প্রতিরক্ষা মূলক সীমানা প্রাচীর, সৌন্দর্য্য বর্ধক বেঞ্চ ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ চলছে। এতে ব্যয় হচ্ছে ৬ কোটি ৩৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।
৬নং ওয়ার্ডে বক্ষব্যাধী হাসপাতালের জলাশয় খনন, প্রতিরক্ষা মূলক সীমানা প্রাচীর, সৌন্দর্য্য বর্ধক বেঞ্চ ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ এবং শিশু হাসপাতালের সামনের পুকুর প্রতিরক্ষা মূলক সীমানা প্রাচীর, সৌন্দর্য্য বর্ধন কাজ চলমান রয়েছে। এই দুটি জলায়শ সংরক্ষণ ও সৌন্দর্য্যবর্ধনে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ কোটি ৪৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এছাড়া মাদ্রাসা মাঠ সংলগ্ন পুকুরের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, রাজশাহী শহর দ্রুত বর্ধনশীল শহরে পরিণত হচ্ছে। তাই এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি জরুরি জলাধার সংরক্ষণ ও বনায়ন। এই দুটি বিষয় একে অপরের পরিপূরক। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন সাহেব বিষয়টি বুঝতে পেরে কিছু জলাধার অর্থাৎ পুকুর ও লেক সংস্কার করে সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন, যা নিঃসন্দেহে খুব ভালো উদ্যোগ।
এ ব্যাপারে সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় রাজশাহী মহানগরীর সপুরা মঠপুকুর, ভদ্রা পারিজাত লেক ও কালীপুকুরের উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধন কাজ সুসম্পন্ন হয়েছে। গুলজারবাগ লেক, সপুরা গোরস্থান, দড়িখরবোনা, পবা নতুনপাড়া, টিকাপাড়া গোরস্থান, বুলনপুর ঈদগাহ, টিবি পুকুরের উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধন কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়াও ২২টি জলাশয় সংরক্ষণ, সংস্কার ও সবুজায়নে নতুন প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয়েছে। আমি নির্বাচিত হলে অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করা হবে।#