# এস এম সামসুজ্জোহা মামুন………………………………………..
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার বিএনপির দুই গ্রæপের মাঝে প্রায় তিন মাস থেকে চরম উত্তেজনা বিরাজ করলেও বাগমারা থানার পুলিশ কোন বড় ধরণরে পদক্ষেপ না নেওয়ায় হঠাৎ করেই বাগমারার আইন শৃঙ্খলার অবনতী, তাহেরপুর এলাকাসীর মাঝে চরম আতংকো বিরাজ করছে। বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভায় আইন শৃঙ্খলার অবনতী, তাহেরপুর এলাকাসীর মাঝে চরম আতংকো বিরাজ করছে।
তাহেরপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আ. ন. ম. সামছুর রহমান মিন্টু গ্রæপের সাথে রাজশাহী জেলা যুবদলের সদস্য রুস্তম আলীর গ্রæপের প্রায় তিন মাস আগে রামরামা জলপই তলা মনিরের বাড়িতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। ঔ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল বিকাল থেকে আবারো দুই গ্রæপের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে রুস্তম গ্রæপের ছেলেরা মিন্টু গ্রæপের তানাপাড়ার এক ছেলেকে মারপিট করলে উভয় গ্রæপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। মাগরিব এর পর থেকে তাহেরপুর পৌরসভার ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে ধাওয়া পালটা ধাওয়া শুরু হয়। মিন্টু গ্রæপের ছেলেরা রুস্তমের ছেলে তাহেরপুর বাজারে আসলে হরিতলা মড়ে তাকে লাঠিসোটা দিয়ে মারপিট করে আহত করে। এই ঘটনার খবর রুস্তম গ্রæপের ছেলেরা জানতে পারলে তারা ২নং ওয়ার্ডের বাবুল কশাইকে লাঠিশটা দিয়ে মারধর করে এবং প্রাণ নাশের হুমকি দেয়, তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর পুলিশ তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে। এই খবর মিন্টু গ্রæপের ছেলেরা জানতে পারলে গতকাল রাত ১২টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলতে থাকে।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এ ঘটনাকে কেন্দ্রকরে তাহেরপুর পৌরসভার ২ ও ৩ নং ওয়াডের্র এলাকার মানুষের মাঝে চরম আতংকো বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে তাহেরপুরের সচেতন মহল সহ ভুক্তভুগিরা দ্রæত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পদক্ষেপ কামোনা করছেন।
এ বিষয়ে সাবেক মেয়র আ. ন. ম. সামছুর রহমান মিন্টুর সাথে কথা বলে তিনি বলেন, আমার কারো সাথে কারো কোন শত্রæতা নেই, যত যা করার রুস্তম ও তার দলবল করছে।
এ ব্যাপারে তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ বলেন, আমরা মাঠে আছি, ভয়ের কোন কারণ নইে আমরা কাজ করছি। এ ব্যাপারে র্যাব ৫ অধিনায়কের সাথে বার বার মোবাইলে যোগযোগ করা হলেও তিনি ফোন না ধরায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন এই ব্যাপারে বাগমারা থানার ওসির সঙ্গে কথা বলে জরুরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ^াস দেন। এ ব্যাপারে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সাথে মোবাইলে যোগযোগ করা হলেও তিনি ফোন না ধরায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে রাজশাহী রেঞ্জর ডিআইজির সাথে মোবাইলে যোগযোগ করা হলে তিনি বিস্তারিত না শুনেই মোবাইল কেটে দেন, এর পর প্রায় ২ঘন্টা পর এই প্রতিবেদকের কাছে বিস্তারিত জানতে চান।#