# মোছাঃ শাহরিন সুলতানা সুমা, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি …………………………….
গাইবান্ধার সুন্দরগঞজে শান্তিরামে বিবাদী শাকিব মিয়ার দাপটে এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। বাদী মুন্নি আক্তার কে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ায় বিবাদীগণের বিরুদ্ধে সুন্দরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মোছাঃ মুন্নি আক্তার (২২), পিতাঃ মোঃ মহাসিন মিয়া, সাং-মধ্য শান্তিরাম, থানাঃ সুন্দরগঞ্জ, জেলাঃ গাইবান্ধা, তিনি একজন সাংবাদিক। তিনি থানায় এই মর্মে অভিযোগ করছেনে যে, বিবাদী- ১। মোঃ শাকিব মিয়া (২৫), ২। মোঃ শাহিন মিয়া (২৭), উভয়ের পিতাঃ মোঃ যুবরাজ মিয়া, ৩। মোঃ যুবরাজ মিয়া (৬০), পিতাঃ মৃত-জরমাল মিয়া, ৪। মোছাঃ শাহিনুর বেগম (৫২), স্বামীঃ মোঃ যুবরাজ মিয়া, ৫। মোছাঃ নুরশাহী বেগম (৪০), স্বামীঃ মোঃ মনজু মিয়া, ৬। মোঃ মনজু মিয়া (৫০), পিতাঃ অজ্ঞাত, ৭। মোঃ মোতালেব হোসেন (৬৫), পিতাঃ মৃত-আখের আলী, সকলের সাং- মধ্য শান্তিরাম, ৮। মোঃ মিঠু মিয়া (৫৫), ইউপি সদস্য, ৩নং ওয়ার্ড, ১০ নং শান্তিরাম ইউপি, ৯। মোঃ শহিদুল ইসলাম খোকন, চেয়ারম্যান, ১০নং শান্তিরাম ইউপি, সর্বথানাঃ সুন্দরগঞ্জ, জেলাঃ গাইবান্ধা । আসামীরা সকলইে তাকে মামলা তলে নয়োর জন্য চরম চাপ সুষ্টি করছ।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ১নং বিবাদী আমার স্বামীর বিরুদ্ধে গত ২১/০১/২০২২ ইং তারিখে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ধারা নং- ৯ (১), যার মামলা নং- ১৯ এবং ০৪/১২/২০২২ইং তারিখে যৌতুকের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা জজ কোর্টে আরো একটি মামলা দায়ের করেছে। যার মামলা নং- ৫২২৩। মামলা দুটিতে আমার পক্ষে চার্জসীটের রিপোর্ট প্রদান করা হয়। মামলা দুটি চলমান রয়েছে। ১নং বিবাদী ২-৯নং বিবাদীর সহযোগিতায় আমাকে মামলা দুটি তুলে নিতে ভয় ভীতি প্রর্দশন করছে। আমি মামলা দুটি তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানাইলে বিবাদীগণ ও তাহাদের দাঙ্গাবাজ লোকজন সহ আমাকে বিভিন্ন রকমের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা সহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। আমি সাংবাকিতা কাজে লিপ্ত থাকায় বিবাদীগণের এহেন আচরণে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ শুধু শুধু তদন্ত করছেন কাজের কাজ কিছু হয়নি। বিচারের বাণী কি এভাবে নিভূতে কাঁদবে, মুন্নি আক্তার কি সুষ্ঠ বিচার পাবে না এলাকাবাসী জানতে চায়।
এব্যাপারে মুঠোফোনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক, গাইবান্ধা পুলিশ সুপার, ও ওসি, সুন্দরগঞ্জ জানান অপরাধীর বরিুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ মাত্র পাওয়া খবরে আমাদরে প্রতিনিধি সুমা জানান, সুন্দরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ অভিযোগটি গ্রহণ করে এসআই ইমরান আলীক তদন্ত করার নিদের্শ দিয়েছেন। সে মোতাবেক তদন্তকারী অফিসার আজ ০৪-০৭-২০২৩ইং তারিখে দুপুর ১.৩০টার সময় বাদি বিবাদির বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি তদন্ত করেন। আশা করা হচ্ছে পুলিশ অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।#