বিশেষ প্রতিনিধি ……………………………………………………………………..
রাজশাহীর মোহনপুরে লিজকৃত বিল থেকে নৌকা প্রার্থীরা সমর্থকরা ৫০ মণ মাছ লুট করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করে ভূক্তভোগী মোহনপুরের মেলান্দি গ্রামের বাসিন্দা ও মাছচাষী অনিল কুমার হালদার।
সংবাদ সম্মেলন করে অনিল কুমার হালদার অভিযোগ করেন, তিনিসহ ২০ জন জেলে উপজেলার বিলমাইল শুটকি বিলের ৩৭ একর জায়গা লিজ নিয়ে মাছ চাষ করতেন। তারা বছরের পর বছর ধরে ওই বিল লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছেন। প্রতি বছর তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর থেকে বিলটি লিজ নেন। এবারও তারা লিজ নিয়ে মাছ ছাড়েন। কিন্তু বর্তমান এমপি আয়েনকে সমর্থন করার কারণে নৌকার প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদের লোকজন শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ওই বিল থেকে জোর করে অন্তত ৫০ মণ মাছ লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে অনিল কুমার ৯৯৯ নম্বরে পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে ফোন করার পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
এ নিয়ে অনিল কুমার মোহনপুর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।তাতে তিনি উল্লেখ করেছেন বিলের মাছ লুটের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন ওই এলাকার আওয়ামী লীগকর্মী মাসুদ, মুনতাজ, জিৎ, জালাল ও শহিদুলসহ অজ্ঞাত ৫০-৫৫ জন। তারা অন্তত ৫০ মণ মাছ লুট করে নিয়ে গেছে।
অনিল বলেন, স্থানীয় ঘাসিগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বকুল হোসেনের নেতৃত্বে মাছ লুটের আগের দিন শুক্রবার রাতে আসাদের সমর্থকরা গোপন বৈঠক করে। ওই বৈঠকেই তারা আমাদের লিজকৃত বিল থেকে মাছ লুটের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু তার আগে তারা আমার নিকট থেকে চাঁদা চেয়ে আসছিল এবং ভয়ভীতি দেখাচ্ছিল। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা শনিবার গিয়ে বিলের মাছ লুট করে নিয়ে আসে।
জানতে চাইলে মোহনপুর থানারি ওসি হরিদাশ মণ্ডল বলেন, মাছ লুটের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। কিন্তু তার আগেই অভিযুক্তরা পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছেন অনিল কুমার। বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে মাছলুটের ঘটনার বিষয়টি জানা নাই বলে দাবি করেছেন রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ। তিনি বলেন, কে বা কারা ঘটিয়েছে সেটি তো আমি বলতে পারব না। এমনও হতে পারে, এলাকার সাধারণ মানুষ বিলে মাছ ধরেছে।#