1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
ডুমুরিয়ায় হুফ্ফজুল কুরআন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত তানোরে আলুর বীজ নিয়ে মহা সিন্ডিকেট দিশেহারা চাষীরা! খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়  বাগমারার হাটগাঙ্গোপাড়া মডেল প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি গঠন বাংলাদেশ জার্নালিস্ট প্রটেক্ট কমিটির সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য অ্যাডভোকেসি কর্মশালা  সিংড়ায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত বটিয়াঘাটা প্রেস ক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন কম্পিউটার কী বোর্ডের মাধ্যমে রাজশাহীতে পাহাড়িয়াদের মাতৃভাষার লিখন পঠন কার্যক্রম উদ্বোধন সিংড়ায় মাদরাসা দারুস সুন্নাহ বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ সি ইউ সি সংগঠনের সামাজিক কর্মকান্ডে অবদান রাখায়  রোটারিয়ান ইফতেখার আলী বাবুকে সংবর্ধনা

রাজশাহীর স্কুলগুলোতে এখনো পৌঁছায়নি ৭০ ভাগ বই

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৮৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক…………………………………..

প্রতিবছরের মতো এবারও আসছে বছরের প্রথমদিনই নতুন পাঠ্যবই। বইগুলো স্কুলের শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা। সে অনুযায়ী চলছে প্রস্তুতি। সেই মাহেন্দ্রক্ষণ আসতে খুব বেশি আর দেরি নেই। হাতেগোনা কয়েকটি দিন বাকি। নতুন বইয়ের  ঘ্রাণ নেওয়ার অপেক্ষায় শিক্ষার্থীরা। নতুন বই হাতে নিয়ে শুঁকে দেখার মজাটাই যেন আলাদা।

 

কিন্তু খানিকটা মন খারাপের খবর হলো- এখনো আশানুরূপ বই স্কুলে স্কুলে পৌঁছায়নি। রাজশাহীতে মাধ্যমিক ও সমান পর্যায়ে বইয়ের চাহিদা ৪৫ লাখ ২১ হাজার। তবে এ পর্যন্ত বই এসেছে মাত্র ৩০ ভাগ। গত বছর বই উৎসবের আগে (ডিসেম্বরের মধ্যে) মাধ্যমিক পর্যায়ে বই এসেছিল চাহিদার অর্ধেক। এবারও পুরোপুরি আসবে কিনা- তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ কাগজের দাম বাড়ায় বই ছাপানোর কাজও পিছিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

 

রাজশাহী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, ২০২৩ সালে মাধ্যমিক পর্যায়ে জেলায় সম্ভাব্য শিক্ষার্থী ধরা হয়েছে মোট তিন লাখ ৩১ হাজার ১৮০ জন। এর মধ্যে মাধ্যমিক অর্থাৎ ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণিতে দুই লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন, মাদ্রাসার দাখিল পর্যায়ের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণিতে ৪০ হাজার ৯৬০ জন, এবতেদায়িতে (প্রথম-পঞ্চম শ্রেণি) ৪৮ হাজার ৮৭০ জন, এসএসসি ভোকেশনালে ১৪ হাজার ৪০ জন এবং ইংরেজি ভার্সনে ৮৪০ জন শিক্ষার্থী।

 

এর বিপরীতে ৪৫ লাখ ২১ হাজার ৪৩টি পাঠ্যবইয়ের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে মাধ্যমিকে (ষষ্ঠ থেকে নবম) ৩২ লাখ ৭০ হাজার ৬৮০, মাদ্রাসায় (ষষ্ঠ থেকে নবম) ছয় লাখ ৩২ হাজার ৯৪৫, এবতেদায়িতে (প্রথম-পঞ্চম শ্রেণি) তিন লাখ ৫৩ হাজার ২৯০, এসএসসি ভোকেশনালে দুই লাখ ৫২ হাজার ৮৪৮ এবং ইংরেজি ভার্সনের জন্য ১১ হাজার ২৮০টি বই চাওয়া হয়েছে।

 

তবে এই বিশাল চাহিদার বিপরীতে শুক্রবার পর্যন্ত মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ বই পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহা. নাসির উদ্দিন। তবে ডিসেম্বরের মধ্যেই শতভাগ বই চলে আসবে বলেও আশা করছেন তিনি।

 

এদিকে, মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ শ্রেণির পাইলটিং শুরু হচ্ছে। এজন্য নতুন সিলেবাসও প্রণয়ন করেছে এনসিটিবি। রাজশাহী মহানগরীর পিএন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গোদাগাড়ী উপজেলার আফজি উচ্চ বিদ্যালয় ও দুর্গাপুর উপজেলার আমগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়কে পাইলটিং প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। নতুন কারিকুলামে প্রাথমিক পর্যায়ে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, ধর্মশিক্ষাসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং শিল্পকলা বিষয় থাকবে।

 

আর মাধ্যমিক স্তরে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞানের পাশাপাশি জীবন ও জীবিকা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ধর্মশিক্ষা এবং শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়েও শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জন করতে হবে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ে শ্রেণিকক্ষে শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে ৬০ ভাগ। আর সামষ্টিক মূল্যায়ন ৪০ ভাগ। এছাড়া জীবন ও জীবিকা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ধর্ম শিক্ষা এবং শিল্প ও সংস্কৃতিতে শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে শতভাগ।

 

শিক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির সবাইকে পড়তে হবে ১০টি বিষয়। দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ওপরই অনুষ্ঠিত হবে এসএসসি পরীক্ষা। তবে নবম ও দশম শ্রেণিতে জীবন ও জীবিকা বিষয়ে বাধ্যতামূলকভাবে প্রত্যেক শিক্ষার্থী কৃষি, সেবা বা শিল্প খাতের একটি অকুপেশনে দক্ষতা অর্জন করবে এবং দশম শ্রেণি শেষে যে কোনো একটি পেশায় কাজ করার মতো পেশাদারি দক্ষতা অর্জন করবে। প্রতিবছরের মতো ২০২৩ সালের পহেলা জানিুয়ারিতেই বই উৎসব হবে। মহানগরীর অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজে এই উৎসবের আয়োজন করা হবে।

 

জানা গেছে, এবার প্রচলিত পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে আসতে ঢালাওভাবে সাজানো হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থা। এর জন্য সম্পূর্ণ নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। পাঠ্যবইয়ের বিষয় নির্বাচনেও এসেছে বেশ পরিবর্তন। প্রত্যেক ধর্মের জন্য আলাদা বই ছাপানো হয়েছে। প্রজনন স্বাস্থ্যের বিষয়ে জানতে অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত আছে আলাদা অধ্যায়। চাপে নয়, বরং আনন্দে শিক্ষার জন্যই নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। নতুন শিক্ষাক্রমে ‘চারুকলা’র নাম দেওয়া হয়েছে ‘শিল্প ও সংস্কৃতি’।

 

এর ফলে এ বিষয়ে শিখন ক্ষেত্র অনেক বাড়বে। আগে যেমন এ বিষয়ে শুধু চারুকলাকে ফোকাস করা হতো, এখন চারুকলার পাশাপাশি নৃত্যকলা, নাট্যকলা, সংগীত ইত্যাদি বিষয় থেকে শিক্ষার্থী জানতে পারবে। ‘জীবন ও জীবিকা’ বইটি পেশাভিত্তিক। নবম ও দশম শ্রেণিতে এ বিষয়ে বাধ্যতামূলকভাবে প্রত্যেক শিক্ষার্থী কৃষি, সেবা বা শিল্প খাতের একটি পেশায় দক্ষতা অর্জন করবে। এতে দশম শ্রেণি শেষে একজন শিক্ষার্থী যে কোনো একটি পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারবে। আগের আইসিটি নামে বইটির বিষয়টির ব্যাপ্তি বাড়িয়ে এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি’।

 

শিক্ষা কর্মকর্তারা আরও জানান, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে মানুষের জীবন-জীবিকার দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। যেখানে প্রচলিত পেশার ৩ ভাগের ২ ভাগ ২০৩০ সালের মধ্যে অবলুপ্ত হয়ে যাবে এবং ৬৫ ভাগ শিক্ষার্থী যারা এখন প্রাথমিক শিক্ষায় আছে তারা কর্মজগতে প্রবেশ করে যে কাজ করবে তা এখনো অজানা।

 

ভবিষ্যতের জীবন ও জীবিকার জন্য প্রচলিত পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করা সম্ভব নয় বরং রূপান্তরযোগ্য দক্ষতা ও যোগ্যতায় শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলাই হচ্ছে লক্ষ্য। নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীদের ক্লাসের চেয়ে কাজকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কাজের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শিখবে। ক্লাসের পড়া ক্লাসেই তৈরি করবে।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট