ক্যাপশন: ক্ষতিগ্রস্ত পান বরজ
# মমিনুল ইসলাম মুন, বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি……………………………………………..
রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী মোহনপুরের মৌগাছিতে পূর্ববিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসিয়ে বসে আনতে প্রতিপক্ষর পান বরজে আগুন দিয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে। মৌগাছি ইউপির মাখনপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, গত ৯ জুন শুক্রবার দিবাগত রাতে মাখনপুর গ্রামের নাজিমুদ্দিনের নষ্ট পান বরজে কে বা কারা আগুন দিয়েছে। এতে পান বরজ পুড়ে গেছে। পরদিন ১০ জুন শনিবার সকালে নাজিমুদ্দিন বাদি হয়ে রেজাউল করিম ও তার পুত্র সাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে ঘটনার দিন রাত তিনটার দিকে তারা পিতাপুত্র পান বরজে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরস্পরবিরোধী বক্তব্য এবং গ্রামবাসির মাঝে নানা গুঞ্জন ও মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সচেতন মহলের ভাষ্য, তারা যদি রাত তিনটার সময় পান বরজে আগুন দেয় এবং স্থানীয়রা সেটা দেখতে পাই। তাহলে তারা তাদের আটক করলো না কেনো ? বা গ্রামের মানুষকে ডেকে তাদের ধাওয়া করলো না কেনো ? আর রাত তিনটার সময় স্থানীয়রা সেখানে কি করছিল এসব ইত্যাদি বিষয়ে গ্রামবাসির মনে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসি বলেন, ওই পান বরজ অনেকটা মরা ছিল, তাই মরা পান বরজে কারো আগুন দেবার কথা নয়। এটা একটা ষড়যন্ত্র বা প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার কৌশল।
এবিষয়ে জানতে চাইলে পান বরজের মালিক নাজিমুদ্দিন বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত এক সপ্তাহ আগে রেজাউল করিম লোকজন নিয়ে তার পটলের খেত কেটে নষ্ট করে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করায় আমার উপর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে রেজাউল করিম। ওই শত্রুতার জের ধরে শুক্রবার দিবাগত রাত ৩ টায় সময় রেজাউল করিম ও তার ছেলে সাইরুল ইসলামকে পান বরজে আগুন দিয়ে পালিয়ে যেতে দেখেছেন স্থানীয়রা।
এবিষয় মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহা. সেলিম বাদশাহ বলেন, নাজিমুদ্দিন দুইজনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দায়ের পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।#