1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৪ অপরাহ্ন

রাজশাহীর বাঘার বাউসা গ্রামে পরকীয়ায় ধরা খেয়ে যুবকের দু’ দফায় ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৫ মে, ২০২৩
  • ৯৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

# বিশেষ প্রতিনিধি…………………………………………………..

রাজশাহীর বাঘায় শাহিন আলম নামের ২৫ বছর বয়সের এক যুবকের পনের হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গৃহবধুর ঘরে ফূর্তির সময় হাতে নাতে ধরা খেয়ে তাকে ওই জরিমানা গুনতে হয়েছে। রোববার(১৪ মে’২৩) বিকেলে উপজেলার বাউসা ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ তুফান,ইউপি সদস্য সাকিম উদ্দীন,অধ্যক্ষ রেজাউল করিম,গ্রাম প্রধান আশরাফ আলীসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত শালিস বৈঠকে ওই যুবকের ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার(১৩ মে’২৩) রাতে ঘটনাটি ঘটে উপজেলার বাউসা পূর্বপাড়া গ্রামে। শাহিন আলম ওই গ্রামের বাসিন্দা।

 

জানা যায়, গৃহবধুর স্বামী এলাকার বাইরে ধান কাটতে যাওয়ার সুবাদে শনিবার রাতে গৃহবধুর ঘরে গিয়ে ফূর্তি করছিলেন শাহিন আলম। দু’জনের ফূর্তির সময় প্রতিবেশিরা টের পেয়ে গৃহবধুর শ্বাশুড়িকে জানায়। গৃহবধুর শ্বাশুড়ি রিনী বেওয়া দরজার শিকল তুলে দিয়ে তাদের দু’জনকে ঘরে আবদ্ধ করে রাখে। গ্রাম পুলিশের দফাদার আব্দুল মমিন দু’জনকে হেফাজতে রেখে পাহারা দেন। রোববার সকালে তাদের পুলিশে দেওয়া হয়। পরে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে গিয়ে শালিস বৈঠকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানার রায় প্রদান করা হয়। আপাতত স্বামীর বাড়িতেই থাকছে গৃহবধু। দুই বছর আগেও ওই গৃহবধুর সাথে অনৈতিক ঘটনার অভিযোগে ৩০ হাজার জরিমানা দিয়েছেন শাহিন আলম।

 

শালিসি ওই রায়ের সত্যতা স্বীকার করে শাহিন আলম জানান, জরিমানার ১৫ হাজার টাকা বর্তমান চেয়ারম্যানের নিকট জমা দিয়েছেন আর আগের ৩০ হাজার টাকা সাবেক চেয়ারম্যানের নিকট জমা দিয়েছিলেন। তবে বিষয়টিকে ষড়যস্ত্র বলে দাবি করেছেন শাহিন আলম। গৃহবধু ও ইউপি সদস্য সাকিম উদ্দীন শালিসে জরিমানার কথা নিশ্চিত করে বলেন ,গৃহবধুর স্বামীর সাথে আলাপ করে বিষয়টি সমাঝোতা করা হয়েছে।।

 

সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শফিক জানান, তার সময়ে একই ধরনের বিষয় নিয়ে ৩০ হাজার টাকা জরিমনা করা হয়েছিল। বর্তমান চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ তুফান জরিমানার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন,ওসি সাহেবের নির্দেশনায় শালিস বেঠকে সমাঝোতা করেছেন।

 

অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল ইসলাম বলেন,গৃহবধু মামলা করতে রাজি না হওয়ায় স্থানীয়ভাবে সমাঝোতার জন্য চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। শালিসে সমাঝোতার বিষয়টি জানলেও জরিমানার বিষয়টি জানেন না বলে জানান ওসি।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট