আবুল কালাম আজাদ…………………………………….
রাজশাহীর বাগমারায় রাস্তা সংস্কারের অর্থ দিয়ে পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠেছে বড়বিহানালী ইউপি সদস্য রমজান আলীর বিরুদ্ধে ।
এলাকাবাসী জানান, বড়বিহানালী ইউনিয়নের মন্দিয়াল গ্রামের মোবারক হোসেনের বাড়ি থেকে আবুল হোসেনের বাড়ি পর্যন্ত পুরাতন রাস্তা সংস্কারের জন্য টিআর থেকে এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু ইউপি সদস্য রমজান আলী ওই রাস্তাটি সংস্কার না করে তিনি তার প্রতিবেশী ভাতিজা শফিকুল ইসলামের সাথে ৫০ হাজার টাকার গোপন চুক্তি করে তার পুকুর ভরাট করেন। সরকারী বরাদ্দকৃত টাকার কাজ না করে তিনি আত্মসাত করেন এবং পুকুর ভরাটের জন্য শফিকের কাছ থেকে আরো মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
বুধবার স্বরজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। মন্দিয়াল গ্রামের মোজাম্মেল হক, সেলিম রেজা, আরিফ, মোবারক হোসেন, ফেরদৌস, আলতাফ হোসেন, রাসেল, হাতেম আলীসহ অনেকেই জানান, পুরাতন রাস্তা সংস্কারের জন্য সরকারী টাকা বরাদ্দ থাকলেও তিনি সংস্কার কাজ না করে প্রতিবেশী শফিকের পুকুর ভরাট করেছেন। রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় এলাকাবাসীর চলাচলের ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
সামান্য বৃষ্টি হলে ওই রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ইউপি সদস্যের এমন কর্মকান্ডে হতাশ হয়েছেন এলাকার সাধারন মানুষ। তারা অবিলম্বে রাস্তাটি সংস্কারের মাধ্যমে এলাকার জনগনের চলাচলের পথ সুগম করার দাবী জানান এলাকার সচেতন মানুষ।
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য রমজান আলী। তিন বলেন,রাস্তা বাকাঁ ছিল,জনগনের চলাচলের সুবিধার্থে রাস্তাটি সোজা করার সময় পাশে থাকা পুকুরে মাটি হয়তো কিছু নামতে পারে। এটা স্বাভাবিক। আমার উপর আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন। তবে ইউপি চেয়ারম্যান মাহামুদুর রহমান মিলন বলেন, এলাকাবাসীর সুবিধার্থে রাস্তাটি ওই দিক দিয়ে করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বড়বিহানালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহামুদুর রহমান মিলন বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। কাজও হয়েছে। ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ জানার পর পুকুর মালিকের সাথে কথা বলেছেন। পুকুর মালিক সকল ঘটনা অস্কীবার করায় আমি আর কিছুই করতে পারিনি বলে তিনি জানিয়েছেন।#