লিয়াকত হোসেন……………………
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর ইউনিয়নে জামিরায় স্ত্রী সাবানাকে (৪৫) হাঁসুয়ার কোপে পা কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী কাউসার হাজীর বিরুদ্ধে। এনিয়ে তিনি প্রতিপক্ষের নামে বেলপুকুর থানায় মামলাও করেছেন বলে একটি সুত্রে জানা যায়। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জামিরা পশ্চিম পাড়ার নবাব আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম জানান প্রতিপক্ষ এবং তারা নিকট আত্মীয়। আত্মীয় একে অপরের মধ্যে ঝগড়া ফ্যাসাদ হয়। সরজমিনে গিয়ে জাহাঙ্গীর ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, সোমবার বেলা ১২টার দিকে তাঁর দুলাভাই মাছ ব্যবসায়ী সাজুর সাথে বানেশ্বর মাছের আড়তে মাছের ট্রাক রাখাকে কেন্দ্র করে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে অপর মাছ ব্যাবসায়ী পলাশ ও কাউসার এর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
অপর দিকে সাজুর ছেলে বিশাল বায়া মাছের আড়ত থেকে প্রতিদিনের নেয় বাড়ির উদ্দেশে আসলেও তিনি ঘটনার বিষয়ে জানতেন না। কিন্ত বিশাল জামিরা ডিসির মোডে এসে পৌঁছা মাত্র তার খালু কাউসার রাস্তা গতিরোধ করে থামতে বলে তৎক্ষণাৎ। সেখানে আগে থেকে উঁৎপেতে থাকা মুন্তাজ এর ছেলে হাবীব, মোস্তাক ও তার খালু কাউসার মিলে বিশালকে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে। এবং তার কাছে থাকা আড়তের মাছ বিক্রয়ের ৩ লক্ষ আঠারো হাজার টাকা তার কাছে থেকে ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী বিশাল।
এক পর্যায়ে অবস্থা বেগতিক দেখে বিশাল প্রানের ভয়ে সেখান থেকে দৌড়ে বাড়ির দিকে পালিয়ে যায়। সে সময়ে কাউসারগংরা তার পিছু ধাওয়া করলে বিশাল জামিরা দক্ষিণ পাড়া তার নানীর বাড়ী বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
স্থানীয়রা আরো বলেন, ভাগ্নে বিশাল দ্রুত তাদের বাড়িতে প্রবেশ করলে কাউসার গংরা বিশালকে মারপিট করার জন্য হাঁসুয়াসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রাস্তার পাশে অবস্থান নিলে তিনি ও বিশালের আত্মীয় স্বজনও দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে অপর প্রান্তে রাস্তার পাশে এসে দাঁড়ালে উভয়ের মধ্যে কথাকাটি চলতে থাকে। কিন্তু উভয়ের মধ্যে কোন প্রকার সে সময়ে মারপিট হয়নি বলে জানান এলাকাবাসী। এরই মধ্যে কাউসার হাজী বিশালের খালু বিশালকে মারতে গেলে তার খালা সাবানা বাধা দিতে আসলে হাঁসুয়ার আঘাতে স্ত্রী সাবানা দূর্ঘটনাবশত: তার পায়ে আঘাত প্রাপ্ত হন।
এদিকে এ বিষয়ে জানেত চাইলে প্রত্যক্ষদর্শী জসমতসহ উপস্থিত অন্যান্যরা বলেন, কাউসাররা কয়েক ভাই মিলে বিশালকে ডিসি মোড় থেকে মারতে মারতে জামিয়া তার বাড়ী দিকে ধাওয়া দিয়ে নিয়ে আসে। সে সময়ে বিশালের পিছনে কাউসারদের ছুটতে দেখা যায়। এরপর এলাকায় এসে বিশাল তার মামার বাড়িতে প্রবেশ করলে এবং ঘটনা জানালে উভয়ে নিজ নিজ বাড়ির সামনে রাস্তার দুইপার্শে দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে মারপিট করার লক্ষ্যে দাঁড়িয়ে যায় এবং উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে কাউসারের হাতে থাকা হাঁসুয়ায় তার স্ত্রীর পা কেটে যায় । বিশাল বা অন্য কেউ সাবানাকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপ দেয়নি বলে জানান তারা।
এদিকে কাউসার এর নিকট ঘটনা সম্পর্কে জানতে মোবাইলে কল করলে তিনি রিসিভ না করে কেটে দেয়ায় তার ভাই মোস্তাক কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আমতা আমতা করতে জনগণের রোশানলে সেখান থেকে সটকে পরে।
এবিষয়ে বেলপুকার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। #