# মমিনুল ইসলাম মুন, বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি…………………………..
রাজশাহীর তানোরের আলোচিত কোয়েল আদর্শ কলেজের ১০ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অডিট আপত্তি দিয়েছে। এসব শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্রের নানা অসংগতি পরিলক্ষিত ও মুল সনদ দেখাতে না পারায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা কমিটি তাদের বিরুদ্ধে অডিট আপত্তি দিয়েছেন।
জানা গেছে, দেশব্যাপী জাল সনদধারী শিক্ষক-কর্মচারীদের চিহ্নিতকরণসহ শিক্ষাখাতের নানা অনিয়ম অনুসন্ধান শুরু করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, বিগত ২০১৬ সালের ১০ জানুয়ারী পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের একটি টিম কোয়েল আদর্শ কলেজ পরিদর্শন ও শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ১০ জন প্রভাষকের বিরুদ্ধে অডিট আপত্তি দিয়েছেন। এরা হলেন শাফিউল ইসলাম প্রভাষক পদার্থ, আব্দুর রাজ্জাক প্রভাষক বাংলা, আমির আজম প্রভাষক ইংরেজী, কিফাত আলী প্রভাষক সমাজ কর্ম, মাহাবুল আলম প্রভাষক গণিত, ফাতেমা বেগম কম্পিউটার, চিত্তরঞ্জন প্রভাষক ইতিহাস, সিরাজুল ইসলাম প্রভাষক ভুগোল ও হাফিজুর রহমান সহকারী গ্রন্থগারিকসহ মোট ১০ জন।
অন্যদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা শাখা ২০২২ সালের ১৫ মার্চ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও বাস্তবায়ন কমিটি সিদ্ধান্তের আলোকে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ব্রডশিট জবাব পর্যালোচনা করে নিম্ন বর্নিত প্রভাষকদের নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে নিম্নরুপ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এমতাবস্থায় পরিদর্শন প্রতিবেদনে বর্নিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেনো বর্নিত প্রভাষকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না জানতে চেয়ে ২০২২ সালের ১০ আগষ্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা শাখা থেকে স্মারক নং (৩৭, ০০, ০০০০, ০৮৭, ১২, ০৮৩, ২০-২৮৩) উপসচিব মোহাঃ লিয়াকত আলী স্বাক্ষরিত পত্র কোয়েল আদর্শ কলেজ অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানকে পত্র দেয়া হয়। এবং পত্র প্রাপ্তির ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে দালিলিক প্রমাণসহ সুনিদ্রিষ্ট ও সুস্পষ্টভাবে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা মোতাবেক অনুরোধ করা হয়।
এসবের পাশাপাশি অবগতির জন্য পত্রের অনুলিপি মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, পরিচালক পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর, সিনিয়র সিস্টেম এ্যানালিস্ট আইসিটি সেল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, চেয়ারম্যান গর্ভনিংবডি ও অতিরিক্ত সচিব (নিরীক্ষা-আইন) এর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা বরাবর প্রেরণ করা হয়। কিন্ত্ত এখন পর্যন্ত কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই পত্রের কোনো জবাব দেননি।
স্থানীয়রা জানান, প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার অভিলাষ পুরুণে রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রতিষ্ঠিত কোয়েল আদর্শ কলেজের অনেক শিক্ষককে নিয়ে মুখরুচোক নানা গুঞ্জন রয়েছে। অনেকে বলছে, ভুইফোড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সার্টিফিকেট কিনে কেউ কেউ চাকরি করছেন এমন আলোচনা রয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে কলেজ অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান বলেন, এসব শিক্ষকদের সনদের মুল কপি দেখতে চেয়ে পত্র দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আগামি সোমবারের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মুল কপি সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রেরণ করা হবে।#