মমিনুল ইসলাম মুন …………………………………………………..
রাজশাহীর তানোরে বিএনপির আলোচনা সভার মঞ্চে সভাপতিত্ব নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট ও মৃদু ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রধান অতিথি সাবেক মেজর শরিফ উদ্দিন কৌশলে সভামঞ্চ ত্যাগ করেন। কিন্ত্ত বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা কথিত সভাপতি প্রভাষক জাহিদকে গণধাওয়া করে, এ সময় সে প্রাচীর টপকে বিধস্ত অবস্থায় ফসলী মাঠের মধ্যদিয়ে ভৌঁ-দৌড়ে শেঁয়াল ছুটা হয়ে ছুটে পালায়।
জানা গেছে, গত ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) মাদারিপুর জিয়া পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটেছে । এখবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভে ফেটে পড়েন নেতাকর্মীরা। তারা সভা পন্ড ও মারপিটের জন্য সাবেক মেজর শরিফ এবং আহবায়ক আখেরুজ্জামান হান্নানসহ তানোর পৌর সদরের কিছু অতি উৎসাহী নেতাদের দায়ী করছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন বিএনপি দু’গ্রুপের মধ্য বিরাজমান মতবিরোধ নিরসনের লক্ষ্যে সাবেক মেজর শরিফ উদ্দিনকে প্রধান অতিথি করে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। স্থানীয় কোনো নেতার নামে স্লোগান, চিঠি বা ব্যানার করা যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু কামারগাঁ ইউপি বিএনপির একাংশের সভাপতি চাপড়া মহিলা কলেজের প্রভাষক জাহিদ, সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক ও সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউরের স্বাক্ষরিত চিঠি করা হয় ও তাদের নাম দিয়ে ব্যানার সাঁটানো হয়।
এদিকে সভার শুরুতেই প্রভাষক জাহিদকে মঞ্চের সভাপতিত্ব ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা মঞ্চে জুতা-স্যান্ডেল নিক্ষেপ ও লাঠি-সোঁটা নিয়ে চড়াও হয়। আবার কেউ কেউ পলিথিনে দুর্গন্ধযুক্ত পানি ও পচাঁ ডিম নিক্ষেপ করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা নিশ্চিত করেছে। এ সময় শরিফ উদ্দিন কৌশলে সটকে পড়লেও প্রভাষক জাহিদ বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের ধাওয়ায় ভৌঁ-দৌড়ে শেঁয়াল ছুটা ছুটে ফসলী মাঠের মধ্যে দিয়ে পালিয়ে যায়।
এবিষয়ে কামারগাঁ ইউপি বিএনপির বড় অংশের সভাপতি খলিলুর রহমান খলিল জানান, যেখানে মেজর শরিফ জানিয়ে দিয়েছেন কোন চিঠি ব্যানার করা যাবে না। কিন্তু জাহিদ প্রভাষকের পক্ষে ইউপির তেমন নেতাকর্মী না থাকলেও পৌর সদরের কিছু নেতাদের ইন্ধনে এসব ঘটনার জন্ম দিচ্ছেন। আবার মঞ্চে জাহিদকে সভাপতিত্ব করার ঘোষণা দেওয়া মাত্রই চরম উত্তেজিত হয়ে পড়েন নেতাকর্মীরা। তবে, মেজর পালিয়ে যাননি তিনি বক্তব্য দিয়ে দ্রুত সভা শেষ করেন। এটা অত্যান্ত দু:খজনক ঘটনা বলে আক্ষেপ করেন তিনি।
অপর অংশের সভাপতি প্রভাষক জাহিদ বলেন, আমি মেজরের সাহেবের কাছে ছিলাম। মারপিট হয়নি ধাক্কাধাক্কি হয়েছে বলে এড়িয়ে গেছেন তিনি। মারপিটের কথা স্বীকার করে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক তালন্দ ইউপি চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান হান্নান বলেন, উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন বিএনপির দুটি পক্ষ রয়েছে। মঞ্চে সভাপতিত্ব নিয়ে কথাকাটা কাটির এক পর্যায়ে ঠ্যালাঠেলি হয়েছে বলে এড়িয়ে তিনি যান।এবিষয়ে অবঃ মেজর জেনারেল শরিফ উদ্দিনকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও রিসিভ হয়নি।#