# মমিনুল ইসলাম মুন, বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি……………………………………….
রাজশাহীর তানোরে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে গ্রাম্যসালিশে মাত্র ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা, কানধরে ওঠবস ও নাকখত দিয়ে অভিযুক্তকে মুক্তি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) যোগীশো গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে কথিত সালিশের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়, বইছে মুখরুচোক নানা গুঞ্জন। কেউ কেউ বলছে এর আগেও মাইনুল একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে, আবার কেউ বলছে ঘটনা না ঘটলে সালিশ কেনো।
স্থানীয়রা জানান, যোগীশো গ্রামের মানিক উদ্দিনের পুত্র মাইনুল ইসলাম গত বৃহস্প্রতিবার দিবাগত রাতে বাড়িতে একা পেয়ে প্রতিবেশীর স্ত্রীকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে ঘরে ঢুকে। এ সময় ভিকটিমের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে মাইনুলকে আটক করে বিচারের জন্য ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলামের হাতে সোপর্দ করেন। কিন্ত্ত পরের দিন শুক্রবার বিচারের কথা বলা হলেও সকালে বাড়িতে তালা দিয়ে মাইনুল পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ৫জুন সোমবার দিবাগত রাতে ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযুক্ত মাইনুলের ভাই জিল্লুর রহমানের বাড়িতে সালিশ বৈঠক বসে। সালিশ বৈঠকে অভিযুক্ত মাইনুলের ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা, কানধরে ওঠবস ও নাকখত দিয়ে তাকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলাম বলেন, সমাজের সম্মান রক্ষায় ছোটখাটো ঘটনায় বিচার করতে হয়। তিনি বলেন, ধর্ষণের চেষ্টা নয় গভীর রাতে সে প্রতিবেশীর জানালায় উঁকিঝুঁকি দিয়েছিল মাত্র। এবিষয়ে জিল্লুর রহমান বলেন, গভীর রাতে প্রতিবেশীর জানালায় উঁকি দেয়ার অভিযোগে সালিশ বৈঠক বসে। তবে জরিমানার টাকা কি হয়েছে সেটা বিচারকগণ বলতে পারবেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে চাইলে মাইনুল ইসলাম বলেন, তার কিছু বলার নেই কিছু জানার থাকলে মেম্বার রেজাউল ইসলামের সঙ্গে কথা বলতে হবে।#