1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৮ অপরাহ্ন

রাজশাহীর গোদাগাড়ী ইউএনও’র বিরুদ্ধে পুকুর ইজারায় ব্যাপক  দুর্নীতির অভিযোগ

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ১৫৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

# আবুল কালাম আজাদ…………………………………..

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জানে আলমের বিরুদ্দে  পুকুর ইজারায় দুর্নীতির ব্যপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

 

দুটি পুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জলমহালের বিজ্ঞপ্তি তালিকায় প্রকাশ না করে অদৃশ্য কারণে পদ্মা মৎস্যজীবি সমিতির নামে গোপনে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত খাদিম ও আওয়ামী লীগ নেতা নজরুলের নামে দলিল সম্পাদন করে দিয়েছেন।

 

নির্বাহী অফিসারের এমন দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারী রাজশাহী জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেছেন উপজেলার রাজাবাড়ীহাট এলাকার মো. ইমরান আলী নামের একটা ব্যাক্তি।

 

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, গোদাগাড়ী উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বাংলা ১৪২৯- ১৪৩১ সন মেয়াদে ইজারা প্রদানের জন্য গত ২ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ইং তারিখ ০৫.৪৩.৮১৩৪.০০০, ১১,০০৪.২২- ৭০/১ নং স্মারকমূলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন এবং গত ১মার্চ ২০২২ ইং তারিখ ১৪৩৩ টি পুকুরের ইজারাযোগ্য তালিকা প্রকাশ করেন ও গত ১৭ই মে ২০২২ ইং তারিখে অনুষ্ঠিত জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় ৪৬ টি পুকুর অনুমোদনের সিদ্ধান্ত হলে গত ১৮ মে ২০২২ ইং তারিখ ৪৬টি খাস পুকুরের অনুমোদিত তালিকা প্রকাশ করেন।

 

ওই টেন্ডার কার্যক্রমের বিজ্ঞপ্তি, ইজারাযোগ্য প্রকাশিত তালিকা, রেজুলেশন ও অনুমোদিত তালিকায় গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. জানে আলম এর স্বাক্ষর রয়েছে।

 

টেন্ডার কার্যক্রম পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ০১ মার্চ ২০২২ ইং তারিখের ইজারাযোগ্য তালিকার ১৪৬ নং ক্রমিক নম্বরের পুকুর ২০৭ নং দূর্গাপুর মৌজার ৫৫ নং দাগের ০.৩৩ একর ও ৪৫৯ নং হইতে ৪৬২ ক্রমিক নম্বর পর্যন্ত ২৫৯ নং মাছমারা মৌজার ৪ টি পুকুর রয়েছে যাহার দাগ নং- ২০, ৪২৩, ২১৯ ও ১৪৫, পরিমাণ- ১.০৮, ০.৪৭, ০.৭৩ ও ০.১০ একর। গত ১ মে ২০২২ ইং তারিখের অনুমোদিত ৪৬ টি খাস পুকুরের তালিকায় দেখা যায়, ৯ নং ক্রমিকের পুকুর ২০৭ নং দূর্গাপুর মৌজার ৬২ নং দাগের ৩.৯৩ একর ও ৩১ নং ক্রমিকে ২৫৯ নং মাছমারা মৌজার ১৩৬ নং দাগের ০.৯৬ একর পুকুর অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু ইজারাযোগ্য খাস পুকুরের প্রকাশিত তালিকায় উল্লেখিত পুকুরের তফসিলই ঘোষণাই হয়নি।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জানে আলম মোটা অংকের বিনিময়ে অতি চালাকির সঙ্গে তালিকাবিহীন পুকুরটি অনুমোদন দেখিয়ে পরবর্তীতে চুক্তিনামা সম্পাদন করে দেন।

 

গোদাগাড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), নিজে অর্থ জমাকারী হিসেবে মৎস্যচাষীর নিকট হতে টাকা আদায় করে গত ২২ আগস্ট ২০২২ ইং তারিখের ২৩ নং চালানের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, গোদাগাড়ী শাখায় ২০৭ নং দূর্গাপুর মৌজার ৬২ নং দাগের ৩.৯৩ একর পুকুরের বাংলা ১৪২৯ সনের জন্য খাস আদায়ের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করা হয় এবং একই খাস পুকুরসহ ২টি পুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জানে আলম নিয়ম বহির্ভূত ভাবে, বাংলা ১৪২৯-১৪৩১ সনের চুক্তিনামা দলিল সম্পাদন করে দেন।

 

এমন দুর্নীতির তদন্ত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.জানে আলমের অপসারণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। এসব অভিযোগর অনুলিপি রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার , রাজশাহী দুর্নীতি দমন কমিশন ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছেও পাঠানো হয়েছে।

 

এ বিষয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জানে আলমের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ফোনে এভাবে কিছু বলা যাবে না। পুকুর ইজারা দেওয়ার ক্ষেত্রে এ ধরণের কোনো সুযোগ নেই। পরিপূর্ণ একটা কমিটি আছে তাদের অনুমোদনের পরই পুকুর ইজারা দেওয়া হয়। আর বিজ্ঞপ্তির বাহিরে আমরা কোনো পুকুর ইজারা দেই না।

 

এর আগে এই ইউএনওর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভ্রাম্যমান আদালতে সাজা প্রদান, ওয়াকাফ এস্টেরের মাটিতে ঘর নির্মাণ এবং পুকুর ভারাট করায় পরিবেশ আদালতে মামলাসহ নানান অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট