নিজস্ব প্রতিনিধি……………………………………
রাজশাহীতে এক হিজড়া সর্দারের বিরুদ্ধে আদায়কৃত অর্থ আত্মসাৎসহ শিষ্যদের সাথে দুর্ব্যবহার ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার রাতে এমন অভিযোগে নিয়ে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়াসহ বিভিন্ন থানায় উপস্থিত হয়ে হিজড়ারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই হিজড়া সর্দারের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত ওই হিজড়া সর্দারের নাম আকরাম হোসেন ওরফে হীরা। সে চারঘাট থানাধিন শলুয়া ইউনিয়নের খোকা পরামানিকের সন্তান। বর্তমানে তিনি রাজশাহী নগরীর মতিহার থানার পেছনে নিজ বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান ও নাতি নিয়ে বসবাস করেন।
রবিবার রাতে বোয়ালিয়া থানায় নির্যাতনের শিকার এনি, সোনিয়া, নূরী, পিংকি, টুকটুকি, ঐশ্বরিয়া, বুবলি, ময়ূরী, গোলাপী ও পাকিজা সহ প্রায় ১০০ জন হিজড়া অভিযোগ করে জানান, হীরা তাদের হিজড়া গুরু। তার অধীনে প্রায় সাড়ে তিনশ’ হিজড়া প্রতিদিন রাজশাহী ও আশপাশের উপজেলার বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাঁদা আদায় করে।
হিজড়ারা প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা তুলে এনে হীরার হাতে তুলে দেন। দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর ধরে এভাবে নগরীর বাড়ি বাড়ি থেকে হীরার নেতৃত্বে চাঁদা তুলছেন হিজড়ারা। তবে রবিবার দুপুর তিনটার দিকে পাঁচ হাজার টাকা তুলে এনে দিলে হীরা তাদেরকে গালিগালাজ ও মারধর করেন।
এমন দুর্ব্যবহার তাদের সাথে প্রায়ই করা হয়। হীরার দুর্ব্যবহার তাদের কাছে দুঃসহ হয়ে ওঠে। এখন তারা হীরার হাত থেকে মুক্তি চায় এজন্য তারা পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
বোয়ালিয়া থানার সামনে উপস্থিত হিজড়ারা আরো জানায়, প্রতিদিন তাদের দেয়া অর্থের পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। যার পুরোটাই হীরার দখলে রয়েছে। হীরা নিজেকে হিজড়া বলে পরিচয় দিলেও তার স্ত্রী ও এক ছেলে এক মেয়ে এবং নাতি রয়েছে।
হীরার বিরুদ্ধে কোন হিজড়া প্রতিবাদ করলে সে ওই হিজরা বিরুদ্ধে তার পেটুয়া বাহিনী লেলিয়ে দেয়। এসবের প্রতিকার চান শান্তিপ্রিয় হিজড়ারা। নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে তারা এখন পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।
মহানগর পুলিশের একটি সূত্র জানায়, রাজশাহীতে হিজড়াদের উৎপাত ও চাঁদাবাজির বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ পাওয়া যায়। হিজড়ারা যদি উপযুক্ত তথ্যের প্রমাণ সহ অভিযোগ করে, তাহলে সংশ্লিষ্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে পুলিশ।#