# নাজিম হাসান………………………………………….
রাজশাহী মহানগরীতে পৌষের শীতের দাপটে ফুটপাতে জমে উঠেছে শীতের গরম কাপড়ের কেনাকাটার ধুম। শীতের পোশাক কিনতে ফুটপাতে ভিড় জমাচ্ছেন নিন্ম আয়ের মানুষরা।
এছাড়া প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ফুটপাতের দোকানগুলোতে দেখা মেলে মধ্যবিত্ত,উচ্চ মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন আয়ের মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া বিভিন্ন শপিং মল ও বিপণি বিতান গুলোর চেয়ে দামে কম হওয়ায় ক্রেতাদের পছন্দ এ দোকান গুলো ভিড় হচ্ছে বেশী। এসব দোকান গুলোতে শীতবস্ত্র ছাড়াও নানা ধরনের কাপড় উঠেছে শহরের বিভিন্ন দোকানে। ফুলহাতা শার্ট, টিশার্ট, ট্রাউজার, মহিলাদের জ্যাকেডসহ টপস আর বিভিন্ন ডিজাইনের কার্ডিগান বা পশমী জামা এছাড়া হাতাকাটা সোয়েটার,লং জ্যাকেট,শাল, মাফলার,উলের মোটা কাপড়,জ্যাকেটসহ নতুন নতুন ডিজায়নের শীতের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। এ সকল শীত বস্ত্রের দাম কম হওয়ায় গ্রাম থেকে শহরে আসা লোকজন আনন্দের সাথে কাপড় চোপড় কিনতে স্বাচ্ছ্যন্দবোধ করছেন।
বর্তমানে পুরো মহানগরীরজুড়ে বিভিন্ন স্থানে দোকানগুলো পসরা সাজিয়ে বসেছে শীতবস্ত্রের। পাশাপাশি গরম কাপড় কেনার ধুম পড়েছে নগরীর ফুটপাতের দোকান গুলোতে। বিশেষ করে ফুটপাতে গড়ে ওঠা কাপড়ের দোকান গুলো হচ্ছে শিরোইল,সাহেব বাজার ও জজ কোটর্রের শহিদ মিনারের দোকান গুলোতে ক্রেতাদের ভিড় সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা গেছে। এখানে জ্যাকেট, কোট, লংকোট, উলের কোট,শর্টকোট, শর্ট জ্যাকেটসহ সব ধরনের পোশাকই পাওয়া যাচ্ছে।
গতকাল সোমবার বিকালে মহানগরীর শিরোইল ফুটপাতে কাপড় কিনতে আসা চারঘাটের আমজাদ,পুঠিয়ার বেলাল,বাগমারার সবুজ নামের লোকজন জানান, বেশী দামের দোকান গুলোর তুলনায় এখানে অনেক কম দামে ভাল কাপড় পাওয়া যায়। প্রতিবারের মতো এবারও এখান থেকে কাপড় কিনবো ভাবছি। তবে গতবারের চেয়ে শিত বস্ত্রের দাম একটু বেশি। এদিকে, শনিবার ভোরে সূর্যোদয় হলেও তার কিরণ বিকোশিত হতে পারেনি শীতল এই প্রকৃতিতে।
রবিবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশার কারণে আশপাশের কিছু দেখা যাচ্ছে না। দৃষ্টি সীমা ২শ’ মিটারের নিচে নেমে এসেছে। ভোর থেকে প্রধান প্রধান সড়ক গুলোতে হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখাগেছে। পরিস্থিতি এমন যে ঘন কুয়াশাও যেন আড়মোড়া দিয়ে প্রকৃতির সব কিছুকে ততই কোলের মধ্যে টেনে নিচ্ছে। এর ওপর বেড়েছে শীতের তীব্রতা। তাই শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে গরম কাপড়ের কেনাকাটার ধুম ফুটপাতের দোকান গুলোতে।#