ক্যাপশন: মেডিকেল ওয়ার্ডের প্রতীকী ছবি
রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি…………………………………………
রাজশাহী অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি ও তীব্র তাপদাহ। যার প্রভাব পড়ছে জনস্বাস্থ্যে। জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়াসহ নানা রোগের প্রদুর্ভাব বেড়েছে। ডাক্তারের চেম্বারের বাইরে হাসপাতালে দীর্ঘ হচ্ছে রোগীর সিরিয়াল।
চিকিৎসকরা বলছেন, তীব্র গরম, অস্বাস্থ্যকর খাবার ও পানি খাওয়ার কারণেই ঢাকাসহ হাসপাতালগুলোতে জ্বর, সর্দি, হিটস্ট্রোক, ডায়রিয়া, টাইফয়েড আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গরম বাড়লে আরও রোগী বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই গরমে সুস্থ থাকতে অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে না যাওয়া, সুতি কাপড় পরা এবং বেশি বেশি পানি পান করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অব্যাহত তাপ প্রবাহের কারণে হাসপাতালে চাপ বেড়েছে। হাসপাতালের বহির্বিভাগে শিশুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন আফরোজা বেগম। তিনি বলেন, তার বাচ্চার বয়স দেড় বছর। গত কয়েকদিন থেকে সর্দি কাশি জ্বরে ভুগছে। এলাকার ফার্মেসি থেকে ওষুধ খাওয়েছেন। কিন্ত সুস্থতা আসে নি। তাই সরকারি হাসপাতালে এসেছেন। কিন্তু এখানে এসে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
জরুরি বিভাগে শিশুকে ভর্তি করেছেন বাঘার বাসিন্দা নুরবানু বেগম। তিনি বলেন, দুই দিন আগে হঠাৎ করে বাচ্চা পাতলা পায়খানা করে। এরপর পায়খানার দ্বার দিয়ে শুধু পানি নামতে থাকে। বাধ্য হয়ে ওইদিন রাতেই হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। এখন অনেকটাই সুস্থ আছে।
চিকিৎসাকরা বলছেন, ডায়রিয়া পানিবাহিত রোগ। দূষিত পানি পান করার মাধ্যমে এ রোগ হয়। সাধারণত দিনে তিন বা এর চেয়ে বেশি বার পাতলা পায়খানা হতে শুরু করলে তার ডায়রিয়া হয়েছে বলে ধারণা করা গেছে। গরম পড়লেই ডায়রিয়ার সমস্যা মারাত্মক আকার-ধারণ করে। বিশেষ করে শিশু-কিশোররা এই রোগে-বেশি ভুক্তভোগী হয়। অস্বাস্থ্যকর ও অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপন, যেখানে-সেখানে ও পানির উৎসের কাছে মলত্যাগ, সঠিক উপায়ে হাত না ধোঁয়া, অপরিচ্ছন্ন উপায়ে খাদ্য সংরক্ষণ এবং ঘন ঘন লোডশেডিঙের কারণে এ সময় দোকান, রেস্তোরাঁ বা বাসায় পচন ধরা ফ্রিজের খাবার গ্রহণ ডায়রিয়ার অন্যতম কারণ। তাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহŸান স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদের।
রামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ বলেন, আবহওয়াজনিত কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা রাখা হয়েছে। রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, উপজেলা পর্যায়েও ডায়রিয়া রোগী আসছে। তবে মহামারি আকার ধারণ করে নি। আসলে মানুষ অস্বাস্থ্যকর খাবার বেশি খাচ্ছে।#