# নাজিম হাসান,রাজশাহী………………………………………………………্র
সারা দেশের মতো আইন অমান্য করে রাজশাহী জেলাজুড়ে বিদ্যালয়গামী শিশুদের ব্যাগে সরকার অনুমোদিত বই ও উপকরণ ছাড়া অন্য কিছু না দিতে অভিভাবক, প্রধান শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের প্রতি নির্দেশনা সিম্প্রতি পরিপত্র জারি করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করে সেটি সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে বলে একাধিক সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ফলে উচ্চ আদালতের রায় ও পরিপত্র জারি হলেও মানা হচ্ছে না এ আইন।
এলাকা সুত্রে জানা গেছে, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রাথমিক স্কুলের শিশুদের শরীরের ওজনের ১০ শতাংশের বেশি ভারি স্কুল ব্যাগ নিষেধ। কিন্তু জেলার কোন স্কুলে মানা হচ্ছে না এ আইন। অভিভাবকেরা জানান শিক্ষকের ভয়ে শিক্ষার্থীরা অনুমোদিত বইয়ের বাইরে বাড়তি বই নিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে। পরিপত্রে বলা হয় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের জন্য যে সব বই অনুমোদিত করেছে তা বহনে সমস্যা হবার কথা না।
পরিপত্রে ও আদালতের নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে নিয়ম অনুযায়ী অনুমোদিত বই বহন করলে শিশুদের ঘাড়ে ব্যাথা বা অন্য সমস্যা হবেনা। কিন্তু শিক্ষার্থীদের ব্যাগে গাইড বই থেকে শুরু যাবতীয় জিনিস পত্র থাকার কারনে ১০ শতাংশের চেয়ে কয়েক গুন বেশি ওজনসহ ব্যাগ বহন করতে হচ্ছে। শিক্ষকরাও এ আইন মানছেন না। ইচ্ছে করলেই শিক্ষকরা ব্যাগের ওজন কমিয়ে ফেলতে পারেন।
সূত্রে জানা গেছে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে হাইকোর্ট প্রাথমিক স্কুলের শিশুদের শরীরের ওজনের ১০ শতাংশের বেশিভারি স্কুল ব্যাগ বহন নিষেধ করে সুনির্দিষ্ট আইন প্রনয়ণ করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগ কে নির্দেশ দেন। বছর পার হতে চললেও আইনের জায়গায় রয়ে গেছে আইন।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায় জেলার বিভিন্ন উপজেলার ঝরে পড়া শিশুদের জন্যে আনন্দ স্কুল, কেজি স্কুল ও এনজিও স্কুল রেয়েছে। এসব কোন স্কুলের শিক্ষকরা এ আইন প্রয়োগ করছেন না।
এনিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, গত মাসের ১২ তারিখে শিক্ষদেরকে মিটিং করে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এখন থেকে এ বিষয়ে নিয়মিত অডিট চলবে যে সব স্কুলের শিক্ষার্থীদের ভারি ব্যাগ বহন দেখা যাবে সে স্কুলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।#