নাজিম হাসানঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলে। এ সময় কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি। সকালের শুরু থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের ভিড় বাড়তে থাকে। ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিয়েছেন। নির্ধারিত সময় শেষে অনেক কেন্দ্রে এখনো ভোটারদের লাইন দেখা গেছে। লাইনে থাকা এসব ভোটারদের ভোটদানের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পাঁচ মিনিট আগে এখনো যারা ভোট দেননি, তাদের লাইনে দাঁড়ানোর আহবান জানানো হয়। এরপর কেন্দ্রের গেট বন্ধ করে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করা হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে ভোট গণনার কাজ শুরু হয়।
জানা গেছে, রাকসু নির্বাচনের প্রচার- প্রচারণা শেষ হয় মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টায়। নির্বাচনে ছাত্রদল ও শিবির সমর্থিত প্যানেলসহ মোট ১১টি প্যানেল অংশ নিয়েছে। সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ৫টি পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন ৫৮ জন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি হল সংসদের ১৫টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন মোট ৫৯৭ জন প্রার্থী। রাকসু ও সিনেট নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ জন এবং পুরুষ ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন।
এদিকে,রাকসু নির্বাচনে ৮ অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট প্যানেল। সকালের দিকে ভোটগ্রহণের পরিবেশকে শান্তিপূর্ণ ও সন্তোষজনক উল্লেখ করলেও দুপুরের পর শিবির প্যানেলের নেতারা ৮টি অনিয়মের অভিযোগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ২টায় রাবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পেছনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন শিবিরের সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের জিএস প্রার্থী ফাহিম রেজা। অভিযোগে তিনি বলেন, ভোট দেওয়ার পরপরই অমোচনীয় কালি মুছে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন অনুমতি দিলেও ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবন, রবীন্দ্র বাণিজ্য ভবন ও স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু ভবন ভোটকেন্দ্রের শিক্ষার্থীদের চিরকুট হাতে নিয়ে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে।#