আটক কিশোর রিদয়। ছবি: সংগৃহীত

# বদরগঞ্জ( রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের বদরগঞ্জে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বিরোধকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী সরকার ও বিএনপি নেতা ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল হক মানিকের সমর্থকদের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে ইউনিয়ন বিএনপির নেতা আলহাজ্ব লাভলু সরকার রমেক হাসপাতালে নিহত হন।

গত শনিবার দুপুরে পৌর শহরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল দিবাগত রাত ৩টায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে পৌরসভার চাঁদকুঠি এলাকায় বাড়ি থেকে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য রিদয় নামে এক কিশোরকে আটক করে।

সম্প্রতি, গত শনিবার পৌর শহরের শহীদ মিনার সংলগ্ন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মহসীন হাজির ভাতিজা ও কালুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড সদস্য বাবুর একটি দোকানঘর ভাড়া নেন থানা পাড়ার বাসিন্দা ও সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামি লীগের সাধারণ সম্পাদক টুটুল চৌধুরীর সহকর্মী জাহিদুল ইসলাম। এদিকে দোকানের ডিডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও মালিক পক্ষ থেকে দোকানঘর ছেড়ে দেওয়ার নামে কালক্ষেপণ করতে থাকে ভাড়াটিয়া জাহিদুল। এ নিয়ে ইতোপূর্বে দুইজনের মধ্যে তর্কবির্তক ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে মালিকপক্ষের কষাঘাতে আহত হন জাহিদুল ইসলাম।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাড়াটিয়া জাহিদুল ইসলামের পক্ষ নিয়ে কালুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা শহিদুল হক মানিক ও ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি সরোয়ার জাহান মানিক দোকান মালিকের বিরুদ্ধে স্থানীয় শহীদ মিনারে একটি মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ ডাক দেন।

এদিকে দোকান মালিক বাবু মেম্বারের পক্ষ নেন বিএনপি নেতা সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ আলী সরকার ও হুমায়ুন কবির মানিক। ঘটনার দিন মোহাম্মদ আলীর সমর্থিত লোকজন মানববন্ধন শুরুর আগেই শহরে দোকান মালিকের পক্ষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ও সেই সঙ্গে মানববন্ধন মঞ্চ ভেঙ্গে দেন। এরপর মানিক চেয়ারম্যান সমর্থিত লোকজন ভাড়াটিয়ার পক্ষ নিয়ে মোহাম্মদ আলী সমর্থিত লোকজনের উপর হামলা করেন। এ সময় সাংবাদিকসহ মোহাম্মদ আলী সরকার পক্ষের ৫ জন গুরুতর আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। পরে আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় রমেক হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।

রমেক হাসপাতালে আহত মধুপুর ইউনিয়ন শাখার বিএনপি নেতা আলহাজ্ব লাভলু সরকার মারা যান। এ ঘটনায় রবিবার রাত ৩টায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে পৌরসভার চাঁদকুঠি এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের রিদয় নামে এক সদস্যকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

এদিকে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক পরিতোষ চক্রবর্তী তার ফেসবুক আইডিতে স্টাটাস দিয়ে জানিয়েছেন, বিএনপির মধ্যে এ উপজেলায় কোনো দ্বন্দ্ব ও গ্রুপ নেই। এটি কোনো দলীয় কিংবা রাজনৈতিক সংঘর্ষ নয়। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বিরোধকে কেন্দ্র করে মালিকপক্ষ ও ভাড়াটিয়াপক্ষের সমর্থিত লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম আতিকুর রহমান আমাদের সময়কে আটকের বিষয়ে নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘটনায় জড়িত বাকি অপরাধীদের গ্রেপ্তারে প্রশাসন মাঠে তৎপর রয়েছে। #