মোঃ মমিনুল ইসলাম মুন, বিশেষ প্রতিনিধি : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টা করলে ওই কেন্দ্রের সব ভোট বাতিল করা হবে।
সিইসি দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, “যারা কেন্দ্র দখলের স্বপ্ন দেখছেন, এবার তাদের সেই স্বপ্ন ভঙ্গ হবে। দাঁতভাঙা জবাব দিতে আমরা প্রস্তুত।” শনিবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টায় রাজশাহী আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আগে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সিইসি নাসির উদ্দিন জানান, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার করেছে। রমজানের আগেই আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য কাজ এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন হবে কি হবে না—এ নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের বক্তব্যের ভেতরে আমরা যাচ্ছি না। আমরা আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্বই পালন করছি।”
আইন-সংবিধান ও নিরাপত্তা প্রসঙ্গ নির্বাচন পদ্ধতি প্রসঙ্গে সিইসি জানান, আনুপাতিক বা পিআর পদ্ধতি সংবিধানে নেই। তাই কমিশন সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। তবে আইন পরিবর্তন হলে কমিশন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনীকে ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে নয়, বরং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অংশ হিসেবেই কাজে লাগানো হবে। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের পদায়নে পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনাও কমিশনের নেই।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও স্বচ্ছতা সিইসি জানান, আসন্ন নির্বাচনে প্রায় ৫ হাজার ৭০০ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের মধ্যে যারা অতীতে অনিয়ম করেছেন, তাদের এবার দায়িত্ব দেওয়া হবে না। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, “সরকার এখন পর্যন্ত আমাকে কোনো চাপ দেয়নি। যদি কখনো চাপ দেয়, আমি পদত্যাগ করব; চেয়ারে বসে থাকব না।”
আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে মন্তব্য বর্তমানে আওয়ামী লীগের বিচার প্রক্রিয়া চলছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবে না। নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি বিচারিক রায়ের ওপর নির্ভর করবে।
পরে সিইসি রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্বাচনের নানা দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। মতবিনিময় সভার সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।#