1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৩৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
 লালপুরে এক হাইস্কুলে ২ প্রধান শিক্ষকের গোতাগুতিতে, শিক্ষাদান ব্যাহত ঝিনাইদহে চুরি মামলায় ৬ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬ ইউএনও কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট’/২০২৫ আজ মুখোমুখি হচ্ছে বাঘার দুই পৌরসভার দুই প্রশাসক রূপসায় প্রিমিয়ার ফুটবল লীগের ৬ষ্ঠ খেলা অনুষ্ঠিত শিবগঞ্জে সাবেক ছাত্রদল ঐক্য পরিষদের কার্যকরী সভা অনুষ্ঠিত কৃষকদের বাদ রেখে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা সম্ভব নয় : খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার সাপাহারে পুনর্ভবা নদী হতে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার ধোবাউড়ায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মাঝে ছাগল ও গৃহ নির্মাণ উপকরণ বিতরণ রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাব নির্বাচন: প্রভাব নয়, যোগ্যতায় আলো ছড়াচ্ছেন সোহাগ আলী সোনামসজিদ স্থলবন্দরে চাল আমদানিতে ধীরগতি, বাজারে দামে ঊর্ধ্বমুখী 

বাগেরহাট খান জাহান (রহঃ) দিঘির পুরুষ কুমিরের মৃত্যু রহস্যজনক

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৩
  • ২১৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

# মোঃ শেখ শহিদুল্লাহ্ আল আজাদ, খুলনা ব্যুরো……………………………………

বাগেরহাট জেলায় অবস্থিত ঐতিহাসিক হযরত খান জাহান (রহঃ) এর মাজার এর দিঘিতে থাকা দুটি কুমিরের একটি মারা গেছে। ১৯ শে অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রশাসনের নির্দেশে দিঘি থেকে কুমিরের মরদেহ উপরে ওঠানো হয়। এর আগে দুপুরের দিকে দিঘির দক্ষিণ-পশ্চিম কোনে পুরুষ (বড়) কুমিরটির মরদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, উপজেলা প্রশাসন, মাজার কর্তৃপক্ষ, খাদেমসহ দর্শনার্থীরা মাজার প্রাঙ্গণে ভীড় করেন। কুমিরের মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রানি সম্পদ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ডা. লুৎফর রহমান।

এর আগে ২০২১ সালের ১২ জুন এই কুমিরটি বেশ অসুস্থ্য হয়ে পড়েছিল। তখন সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের করমজল বন্য প্রাণি প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির ও স্থানীয় খাদেমদের সহায়তায় কুমিরটিকে উপরে তোলা হয়েছিল। প্রাণি সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে কুমিরটিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকে মোটামুটি সুস্থ্য ছিল পুরুষ কুমিরটি। স্থানীয় ফকিরদের দাবি কুমিরের একটি চোখ অন্ধ ছিল।

এদিকে কুমিরের মৃত্যু নিয়ে খাদেম, ফকির ও স্থানীয়দের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। চেতনা নাশক ও ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দীর্ঘদিন এক পাড়ে আটকে রাখার অভিযোগ করেছেন কয়েকজন। উক্ত বিষয়ে ফকির দারা নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, এখানে কুমিরকে ঘুমের বড়ি খাইয়ে বশ করা হয়। শেষ পাঁচ ছয় মাস ধরে এই কুমির দিঘির দক্ষিণ-পশ্চিম পাড়ের দিঘি সংলগ্ন এফ এম মোস্তফা ফকিরের বাড়ির পুকুরে ছিল। দীর্ঘদিন কুমির এক জায়গায় থাকে না। ওষুধ দিয়ে তারা ব্যবসার জন্য কুমির আটকে রেখেছিল।

পীর হযরত খাজা খান জাহান আলী মাজারের প্রধান খাদেম ফকির শের আলী বলেন, কুমিরগুলো আসলে দিঘির প্রাণ ছিল। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যক্তি এই কুমিরকে টাকা কামানোর মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতেন। কুমিরকে আটকে রেখে দর্শনার্থী ও ভক্তদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হত। ৬-৭ মাস ধরে কুমিরটিকে একজনের বাড়ির পুকুরে আটকে রাখা হয়েছিল। এতদিন ধরে কুমির এক জায়গায় থাকে না। আমরা এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগও করেছি। এই কুমির মেরে ফেলা হয়েছে। কুমিরের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন এই খাদেম।

খুলনা বিভাগীয় প্রানি সম্পদ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. লুৎফর রহমান বলেন, কুমিরটি তিন বছর আগেও একবার অসুস্থ্য হয়েছিল। তখন আমরা চিকিৎসা দিয়েছিলাম। এরপরে মোটামুটি ভাল ছিল। আমরা কুমিরের মরাদেহ্ ময়নাতদন্ত করব। মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করব।

বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। মাদরাজ থেকে আনা দুটি কুমিরের পুরুষ কুমিরটি মারা গেছে। এখানে খাদেমদের অভিযোগ রয়েছে, আমরা তদন্ত করছি। এছাড়া কুমিরের ময়নাতদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সুলতানী শাসন আমলে খ্রিস্টীয় ১৪ শতকের প্রথম দিকে হযরত খান জাহান আলী (রহ.) বাগেরহাটে খলিফতাবাদ নগর বা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন। এ সময় তিনি এই অঞ্চলে ৩ শত ৬০ দিঘী খনন করেন। এর মধ্যে সব থেকে বড় ঠাকুর দিঘি। যে দিঘীর পাড়ে তার সমাধী রয়েছে। এই দিঘীতে তিনি দুটো মিঠাপানির প্রজাতির কুমির ছেড়ে ছিলেন। যাদের নামছিল কালাপাহাড় ও ধলাপাহাড়। খানজাহান (রহ) এর মৃত্যুর পর মাজারের খাদেম ও ভক্তরা ওই কুমির দুটিকে নিয়মিত খাবার দিতেন। দীর্ঘদিন পর্যন্ত ওই কুমির যুগলের বংশ ধরেরা এখানে বসবাস করে আসছিল। কিন্তু বিভিন্ন সময় মারা যাওয়ার কারণে

কালাপাহাড় ও ধলাপাহাড়ের বংশ ধরেরা শঙ্কায় পড়ে। সর্বশেষ ২০০৬ সালে দিঘির কুমির ‘কালা পাহাড়’ এবং ২০১৫ সালে ‘ধলা পাহাড়’ কুমিরটি মারা যায়। ধলা পাহাড় নামক কুমিরটির চামড়া বাগেরহাট যাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে। এরই মাঝে মাজারে কুমিরের ঐতিহ্য ধরে রাখতে ২০০৫ সালে ভারতের মাদ্রাজ ক্রোকোটাইল ব্যাংক থেকে ৬টি কুমির এনে মাজারের দিঘিতে ছাড়া হয়। নিজেদের মধ্যে মারামারি করে দুটি কুমির মারা যায়। দুটি কুমির সুন্দরবনের করমজলে পাঠানো হয়। অবশিষ্ট দুটি কুমির এতদিন এই মাজারে ছিল। এদের মধ্যে নারী কুমিরটি কয়েকবার ডিম পাড়লেও, কোন বাচ্চা হয়নি। পুরুষ কুমিরটি অস্বাভাবিক মৃত্যুতে নারী কুমিরটি সঙ্গি হারা হয়েছে।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট