1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
শ্যামনগরে  কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির আলোচনা সভা  রাজশাহীতে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভা  বাগমারায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ২ ফার্মেসিতে জরিমানা রাজশাহীর তানোরে হাটের জায়গা জবরদখল রাজশাহীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে রাসিকের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা অব্যহত দুর্গাপুরে সাঁড়াশি অভিযানে ছাএলীগ নেতা সহ গ্রেফতার ১০জন খুলনায় সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে নবনিযুক্ত উপপরিচালক এর সৌজন্য সাক্ষাৎ ৩ ডিসেম্বর মহাসমাবেশ উপলক্ষে বটিয়াঘাটা বিএনপির প্রস্তুতি সভা  পোরশায় বুদ্ধিজীবি দিবস ও মহান বিজয় দিবস /২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে প্রস্ততি মূলক সভা রূপসায় ঝুলন্ত শিশুর লাশ উদ্ধার, হত্যা না আত্মহত্যা!

বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় পাঁচ গুণেরও বেশি: জাপানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৯৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

এসএন ডেস্ক……………………

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের দেশ আর দারিদ্র্য পীড়িত নয়। বরং, এটি এখন উন্নয়নের বিস্ময়কর ঘটনা হিসেবে বিবেচিত। এখানে দেড় দশকে মাথাপিছু আয় পাঁচ গুণেরও বেশি বেড়েছে। প্রকৃতপক্ষে, মানব সম্পদ উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা, নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

 

তিনি বলেন, ‘জাপান আমাদের বিশ্বস্ত উন্নয়ন অংশীদার। বাংলাদেশ তার উন্নয়নের জন্য জাপানের অবিচল সমর্থন পেয়েছে এবং আমাদের স্বাধীনতার পর জাপানের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে সরকারি উন্নয়ন সহায়তা পেয়েছে।

 

জাপানকে বাংলাদেশের দীর্ঘকালের পরীক্ষিত বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, স্বাধীনতা অর্জনের দুই মাসের মধ্যেই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়া কয়েকটি দেশের মধ্যে এই দেশটি তাঁর হৃদয়ের খুব কাছের।

 

জাপান আমাদের হৃদয়ে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে’ শিরোনামে নিজের লেখা একটি নিবন্ধে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন এবং তাঁর চার দিনের টোকিওতে সরকারি সফরের দ্বিতীয় দিন ২৫ এপ্রিল সেদেশের বৃহত্তম ও প্রাচীন ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা ‘দ্য জাপান টাইমস’এই নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। তিনি লিখেছেন, আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫১তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আমার দেশ, বাংলাদেশ এবং জাপানের মধ্যে বিদ্যমান দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে আমি আবার টোকিওতে এসেছি।

 

শেখ হাসিনা বলেন, সবচেয়ে অবিস্মরণীয় ঘটনা ছিল জাপানি স্কুলের শিশুরা তাদের টিফিনের টাকা জমা করে সেই টাকা ঘূর্ণিঝড় এবং যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত আমাদের লোকদের জন্য সাহায্য করেছিল। তারপর থেকে জাপান আমাদেও দীর্ঘকালে পরীক্ষিত বন্ধু হিসেবে রয়ে গেছে। জাপান আমার হৃদয়ের খুব কাছের একটি দেশ, ঠিক যেমন এটি আমার পরিবার এবং আমাদের জনগণের কাছে।

 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার ছোট বোন শেখ রেহানা জাপানের সাথে বিশেষভাবে সম্পর্কিত কারণ,  সে আমাদের পিতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আমাদের ছোট ভাই শেখ রাসেলের সঙ্গে ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে প্রথম জাপান সফর করেছিল।

 

তিনি বলেন, জাপানের প্রতি তাঁর পিতার স্পর্শকারতার উত্তরাধিকার লালন করার পাশাপাশি দেশটির বিস্ময়কর উন্নয়নের প্রতি তাঁর গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, অতএব, আমি জাপানের অমূল্য অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে বারবার এখানে আসি। এগুলো আমাকে এই মহান দেশের ভাবমূর্তির মতো বাংলাদেশকে গড়ে তোলার জন্য আমার শরীর ও আত্মাকে কাজে লাগাতে এবং আত্মনিয়োগ করতে উৎসাহিত করে। এখন আমি অনুভব করি যে, আমাদের দুদেশের সম্পর্ক একটি ঈর্ষণীয় স্তরে জোরদার করা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি যে, আমাদের ব্যাপক অংশীদারিত্ব থেকে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্বের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে।

 

শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘তাদের ফিরে আসার পর, তারা প্রায়ই তাদের জাপানের স্মরণীয় অভিজ্ঞতার কথা বলতেন। সেগুলো আমাদের স্মৃতিতে রয়ে গেছে, যা আমাদেরকে এখন আরও বেশি বেদনার্ত করে, সেই ঐতিহাসিক সফরের পর রেহানা এবং আমি ছাড়া আমাদের পরিবারের সকল সদস্যকে মাত্র ২২ মাসের মাথায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর বঙ্গবন্ধু জাপানের উন্নয়ন দেখে মুগ্ধ এবং জাপানকে মডেল হিসেবে অনুসরণ করতে চেয়েছিলেন।

 

জাপানি বিনিয়োগ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। সাম্প্রতিক ওডিএ ঋণ প্যাকেজে জাপান বাংলাদেশকে অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি সহজ শর্তে ২ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে।  শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দ্বিমুখী দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য ২০২১-২০২২অর্থবছরে প্রথমবারের মতো ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে।

 

এছাড়াও তিনি বলেন, ঢাকায় মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ট্রেন লাইন, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর, ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল এবং আড়াইহাজারে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ জাপান বাংলাদেশের কয়েকটি বড় অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

 

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের এমআরটি লাইনের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় কাজ করার সময় কিছু জাপানি প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞকে ২০১৬ সালের জুলাই মাসে ঢাকায় সন্ত্রাসীদের হাতে মর্মান্তিকভাবে নিহত হন।

 

তিনি নিবন্ধে লিখেছেন, ‘এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে অন্ধকার পর্বগুলোর একটি। আমি অনেক দুঃখের সাথে তাদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করছি এবং আবারও তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। এই দুঃখজনক ঘটনা সত্ত্বেও আমাদের জাপানি বন্ধুরা প্রকল্প থেকে সরে আসেনি বরং এর পরিবর্তে নিষ্ঠার সাথে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। জাপানের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় ঢাকায় দেশের প্রথম এমআরটি লাইন-৬, স্থাপন করা হয়, যা গত ডিসেম্বরে উদ্বোধন করা হয়েছে।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুঃখজনক হলো, আমরা যখন মহামারি থেকে পুনরুদ্ধার হচ্ছিলাম, ঠিক তখনই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং পরবর্তী নিষেধাজ্ঞা এবং পাল্টা নিষেধাজ্ঞা আমাদের উন্নয়নের উপর আঘাত হানে। এর ফলে জ্বালানী, খাদ্য এবং অন্যান্য পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করেছে, সেইসাথে সাপ্লাই চেইনের ব্যাঘাত আমাদের মত দেশগুলোকে ভয়ঙ্কর বিপদের দিকে ঠেলে দিয়েছিল।

 

তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে, কোভিড-১৯ মহামারির আগে, বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রায় এক দশক ধরে গড়ে ৬ দমমিক ৫ শতাংশ এবং ২০১৮ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। শেখ হাসিনা আরো বলেন, যদিও মহামারি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছিল। দেশটি এই মহামারির মুখোমুখি হওয়ার কারণে মানুষের জীবন এবং জীবিকার ভারসাম্যের মধ্যে এর একটি প্রভাব পড়ে।

 

তিনি বলেন, তাছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব আমাদের কাঙ্খিত লক্ষে পৌঁছাতেও সমস্যায় ফেলেছে।
তিনি লিখেছেন, গত বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশের প্রায় এক তৃতীয়াংশ এলাকা ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আঘাত  হেনেছিল। এতে অনেক মানুষ প্রাণ হারায়। পাশাপাশি, ফসল, বাড়িঘর এবং মাছের খামারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

 

এর মধ্যে রয়েছে এফডিআই সম্পর্কিত আর্থিক নীতি, ট্যাক্স সুবিধা, রপ্তানির জন্য প্রণোদনা এবং একটি তরুণ, প্রতিযোগিতামূলক শ্রমশক্তি। তিনি আরো বলেন, ১শ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা একটি আকর্ষণীয় উদ্যোগ যা দেশীয় এবং বিশেষ করে বিদেশী উভয় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

 

মজার ব্যাপার হলো, বাংলাদেশ কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে অত্যন্ত সৌভাগ্যবান। এটি পশ্চিমে ভারতীয় উপমহাদেশকে পূর্বে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাথে সংযুক্ত করেছে। প্রায় ১৭ কোটি জনসংখ্যার নিজস্ব অভ্যন্তরীণ বাজার নিয়ে বাংলাদেশের গ্রাহক ভিত্তি ৩ বিলিয়ন।

 

তিনি বলেন, ‘অতএব, এটি ধীরে ধীরে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে। আমাদের উভয় দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য বাংলাদেশে জাপানিদের আরো বেশি বিনিয়োগ দেখে বাংলাদেশ খুব খুশি হবে।

 

রোহিঙ্গা ইস্যু সম্পর্কে তিনি বলেন, গত ছয় বছরে বাংলাদেশ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত প্রায় ১১ লাখ মিয়ানমারের নাগরিককে দেখাশোনা করতে গিয়ে উভয়সঙ্কটে পড়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নিবন্ধে লিখেছেন, ‘গণহত্যার মুখে রোহিঙ্গা নামে পরিচিত এই লোকদের বাংলাদেশ মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছিল। তাদের দীর্ঘ উপস্থিতি স্থানীয় সম্প্রদায়ের জীবন ও জীবিকাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। এখন তারা বাংলাদেশসহ সমগ্র অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। জাপান, এই অঞ্চলে তার ফলপ্রসু প্রভাবের মাধ্যমে মধ্যস্থতা করতে পারে এবং এই রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে তাদের স্বদেশে ফিরে যেতে সাহায্য করতে পারে।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট