বাকেরগঞ্জ, বরিশাল প্রতিনিধি………………………………………………………………
বরিশালের বাকেরগঞ্জে একই স্থানে ইউনিয়ন যুবদলের দুই গ্রুপ সমাবেশ আহ্বান করায় সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। এনিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে বেগ পোহাতে হতে পারে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে কলসকাঠী ইউনিয়নের কাঁচাবাজার সংলগ্ন স্থানে ইউনিয়ন যুবদলের দুই গ্রুপের সভা করার কথা রয়েছে। এক গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক এমপি ও বরিশাল জেলা বিএনপির আবুল হোসেন খান পন্থী ইউনিয়ন যুবদল ও আরেক গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খান রাজন পন্থী ইউনিয়ন যুবদল। দু’ গ্রুপের এ সমাবেশ ঘিরে ইতিমধ্যেই কলসকাঠীতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে বিএনপির চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামকে শক্তিশালী এবং দলকে সুসংঘটিত করতে জেলা যুবদলের নির্দেশে বাকেরগঞ্জ উপজেলা যুবদল ১৪টি ইউনিয়নে কর্মী সভা করার উদ্যোগ নেয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী ৬অক্টোবর কলসকাঠী ইউনিয়ন যুবদলের কর্মীসভা হওয়ার কথা রয়েছে। এই কর্মীসভাকে ঘিরে উপজেলা বিএনপির দু’টি গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে। সামনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। এ আয়োজনের মধ্যে কলসকাঠী ইউনিয়ন যুবদলের দু’ গ্রুপের কর্মীসভাকে ঘিরে রক্তপাতের আশঙ্কায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যেও চরম নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউনিয়ন যুবদলের এক নেতা বলেন, ইতিপুর্বে ইউনিয়ন যুবদলের পকেট কমিটি করা হয়েছে। যে কোন কিছুর বিনিময়ে প্রয়োজনের রক্ত দিয়ে আমরা এই কর্মীসভা সফল করব।
উক্ত কর্মীসভা সম্পর্কে কলসকাঠী ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দদের কাছে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউনিয়ন বিএনপির কয়েক নেতা বলেন, তারা এ কর্মী সভার বিষয় কিছুই জানেন না। উপজেলা যুবদল আহবায়ক এনায়েত হোসেন খান বিপু বলেন, যুবদলের সাংগঠনিক কর্মকান্ড শক্তিশালী করতে উপজেলা যুবদলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ইউনিয়নে কর্মী সভা করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এনিয়ে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে দলীয় ফোরামে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাকেরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ এস এম মাকসুদুর রহমান বলেন, কলসকাটি ইউনিয়ন যুবদলের কর্মী সভার বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। দু’ গ্রুপের পক্ষ থেকে এখনো কেউ কোনো লিখিত চায়নি। যুবদলের দু’টি গ্রুপ একই স্থানে সমাবেশ করতে গেলে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিলে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আমরা কাউকেই সমাবেশ করতে দেবো না।#