# ফারুক হোসেন নয়ন,বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের বদরগঞ্জে তিন মাসের মধ্যেই দুই বিয়ে হয়েছে এক শিক্ষার্থীর (১৫) এ ঘটনায় অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় এনামুল হক নামের একজন কারাগারে। ওই শিক্ষার্থী স্থানীয় এক উচ্চ বিদ্যালয় নবম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। ঘটনাটি ঘটেছে গোপালপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শিবপুর এলাকায়।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, সাত মাস মাস আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে এনামুল হকের সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীর। গত ৪ এপ্রিল ওই শিক্ষার্থী ও এনামুল হক বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে কোর্ট এফিডেভিট করে পরিবারসহ ঢাকায় চলে যান। পরে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বদরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। সেই মামলায় ঢাকা থেকে ছেলে মেয়েকে উদ্ধার করে আনেন বদরগঞ্জ থানা পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীকে বাবা মার হাতে তুলে দেন। আর এনামুল হক কে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন বিজ্ঞ আদালত। ঘটনার তিন মাস না যেতেই গত শনিবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় ওই শিক্ষার্থীকে রংপুরের নগরের পার্বতীপুর নামক জায়গায় বিয়ে দিয়ে দেন শিক্ষার্থীর বাবা-মা। বিয়ের দিন বদরগঞ্জ মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানান এনামুল হকের পরিবারের লোকজন। মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে চুপ করে থাকেন। পরে ওই শিক্ষার্থীকে বরপক্ষ শিক্ষার্থীর বাড়ি থেকে নিয়ে যান।
এই ঘটনায় এনামুল হকের মামা মহাসিন আলী বলেন, আমার ভাগ্যের সঙ্গে পাশের বাড়ির একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক হয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় তারা কোট এফিডেভিট বিয়েও করে। পরে মেয়ের বাবা বদরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আমাকে সহ আমার চাচা ও ভাইয়ের নাম দিয়েছে। আমরা বিষয়টি জানিও না। ইচ্ছে করেই আমাদের ফাঁসানোর জন্য মামলায় নাম ঢুকিয়েছে। সেই মামলায় আমরা জেল খেটে জামিন নিয়েছি। মেয়ের বিয়ের দিন বিভিন্ন জায়গায় ফোন দিয়েছিলাম কেউ বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। যে বাল্যবিবাহের জন্য আমাদেরকে জেল খাটতে হয়েছে। আবারও সেই বাল্য বিবাহ দিয়েছে মেয়েটির বাবা-মা। আমরা জানতে পেরেছি গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদে ডিভোর্সের কাগজ পাঠিয়েছে ওই মেয়ে।
এ বিষয়ে মেয়ের বাবার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আমার মেয়েকে রংপুরে একটি জায়গায় বিয়ে দিয়েছি। বাল্যবিবাহ কথা বললে তিনি জানান, আমার মেয়েটির তিনমাস আগে একটি ঘটনা ঘটেছিল। সেজন্য তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দিয়েছি।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মশিউর রহমান ও ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য সবুর আলীর জোকসাকে এ বাল্যবিবাহটি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তবে কাজী পরিচয়টি পাওয়া যায়নি।
গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যানের শামসুল আলম জানান, বাল্যবিবাহের কথা শুনে ঘটনাস্থলে গ্রাম পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। সেখানে গিয়ে বিয়ের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। তার আগেই বরপক্ষ এসে মেয়েকে নিয়ে চলে গেছে বলে জানিয়েছেন। #