ক্যাপশন: পুরুস্কার প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা।
নাজিম হাসান: :
রাজশাহী মহানগরের ৫৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২ হা: ৩শ’৩ জন বইপ্রেমী শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার। শনিবার জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের উদ্যোগে এবং গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
উৎসবে স্বাগত বক্তব্যে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন বইপড়া কর্মসূচিতে বছরের পর বছর অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও পৃষ্ঠপোষকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ। তিনি বলেন, বই পড়া মানে জ্ঞানের দরজা খুলে দেওয়া। এটা মানুষকে মুক্তভাবে চিন্তা করতে শেখায়। পাঠাভ্যাস বাড়াতে হবে আমাদের শিশুদের মধ্যেই। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পাখি বিশেষজ্ঞ ও লেখক ইনাম আল হক।
ইনাম আল হক বলেন, ‘আমার জীবনের প্রথম শিক্ষক ছিলেন আমার মা। আমি বিশ্বাস করি, নারীর ভাষা ও জ্ঞান দিয়েই পরিবার ও সমাজকে আলোকিত করা সম্ভব।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. আবদুন নূর তুষার, নাটোরের অধ্যাপক অলোক মৈত্র, লেখক ও গবেষক অধ্যাপক মাজহারুল ইসলাম তরু, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার রাজশাহী অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক আবদুর রশিদ এবং গ্রামীণফোনের রাজশাহী সার্কেলের রিজিওনাল হেড মাহমুদুল হাসান।
পুরস্কার প্রদান পর্বে ৩৮টি স্কুলের ১ হা: ৬শ’ ৬৪ জন শিক্ষার্থী সরাসরি মঞ্চ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করে, যার মধ্যে ছাত্রী ছিল ১ হা: ২শ’ ৪৪ জন এবং ছাত্র ছিল ৪শ’ ২০ জন। বাকি ১৮টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষক বা সংগঠক।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে ‘স্বাগত পুরস্কার’ পেয়েছে ১ হা: ১শ’ ১৭ জন, ‘শুভেচ্ছা পুরস্কার’ পেয়েছে ৭শ’ ২৮ জন, ‘অভিনন্দন পুরস্কার’ পেয়েছে ৩শ’ ৮৩ জন এবং ‘সেরাপাঠক’ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে ৭৫ জন শিক্ষার্থী। আয়োজনে এবং পুরস্কারের বইগুলোর পৃষ্ঠপোষকতা করেছে গ্রামীণফোন লিমিটেড। #