মমিনুল ইসলাম মুন, বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহী মহানগর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে প্রেমের প্রলোভনে ফেলে যুবতীকে গণধর্ষণের মামলার মূলহোতা **আরিয়ান শাফী (২৬)সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৫।
সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম ২২ বছর বয়সী এক তরুণী। তার সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় ঘটে মূলহোতা আসামি আরিয়ান শাফীর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলাপচারিতায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর ধারাবাহিকতায় গত ৩০ আগস্ট ২০২৫ বিকেল ৫টার দিকে ভিকটিমকে দেখা করার নামে রাজশাহীর মতিহার থানাধীন ভদ্রা ব্রিজ এলাকায় ডেকে নেয় আরিয়ান। পরে কৌশলে কুমারপাড়া আলুপট্টি মোড়স্থ একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে পূর্বপরিকল্পিতভাবে থাকা সহযোগী আসামি শান্ত ও পিয়ামের সঙ্গে মিলে ভিকটিমকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিমকে হত্যার হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এমনকি ৩ সেপ্টেম্বর আসামিরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। এ ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলে ভিকটিম বাদী হয়ে বোয়ালিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নং–১০, তারিখ–০৪/০৯/২০২৫, ধারা–নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ সংশোধনী/২০২০ এর ৯(৩))।
এ ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় ৭ সেপ্টেম্বর ভোরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৫, সদর কোম্পানির একটি বিশেষ দল চন্দ্রিমা থানাধীন উজিরপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
এসময় এজাহারনামীয় আসামি– আরিয়ান শাফী @ আরিফ (২৬), পিতা–মোঃ সাজ্জাদ আলী, সাং–উজিরপুকুর শান্ত (২৫), পিতা–মোঃ আলম, সাং–ভদ্রা জামালপুর, থানা–চন্দ্রিমা পিয়াম (২৫), পিতা–মোঃ আসিফ হাসান সোহেল, সাং–কাদিরগঞ্জ গ্রেটার রোড, থানা–বোয়ালিয়া —কে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা অপরাধের সত্যতা স্বীকার করেছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক তাদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।#