মমিনুল ইসলাম মুন, বরেন্দ্র অঞ্চল থেকে…………………………………
রাজশাহীর তানোরের সরনজাই ইউপির শুকদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে জনবল নিয়োগকে কেন্দ্র করে সভাপতি-প্রধান শিক্ষক ও অভিভাবক মহল মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। এতে বিদ্যালয়ে পাঠদান ব্যাহত হবার পাশাপাশি এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানান, পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব সাইদুর রহমান সরকার ওরফে আবু সাঈদের দৌরাত্ম্য শিক্ষক-কর্মচারীগণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।। সভাপতির অপসারণ ও নতুন সভাপতি নিয়োগের দাবিতে কয়েক গ্রামের অভিভাবকগণ একট্টা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গ্রামবাসির মতামত উপেক্ষা করে গোপণে সাইদকে সভাপতি করা হয়েছে, একইভাবে সাইদ গোপণে পুর্ণাঙ্গ কমিটি করেছে। আবার কয়েক জনের কাছে থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে সভাপতি আবু সাইদ কাউকে না জনিয়ে একক ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় (তিন নম্বর) ইউপি সদস্য আব্দুল আলিম, অভিভাবক সেলিম রেজা, জাইদুর রহমান ও আব্দুল জব্বার বলেন, দুর্নীতিবাজ সভাপতি সাইদকে অপসারণ করা না হলে তারা তাদের ছেলে-মেয়েদের এই স্কুলে পড়াবেন না। কারণ তারা স্থানীয় প্রতিষ্ঠানে স্থানীয় সভাপতি চায়। প্রয়োজনে তারা মানববন্ধনসহ আন্দোলনে যাবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক বলেন, সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) আব্দুর রহিমের সনদ জাল ও চাকরিচ্যুতর হুমকি ও মানুষিক চাপ দিয়ে এক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সভাপতি। এ ঘটনায় মানুষিক চাপ সইতে না পেরে ওই শিক্ষক গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে শয্যাশয়ী। অন্যদিকে সভাপতি-শিক্ষক-কর্মচারি ও অভিভাবক মহলের ত্রিমূখী দন্দে স্কুলের পাঠদান ব্যাহত ও চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক কেরামত আলী বলেন, স্কুলে কোনো রেজুলেশন হয়নি, এমনকি তাকেও না জানিয়ে সভাপতি পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এঘটনা জানাজানি হলে অভিভাবক মহল বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। এবিষয়ে সভাপতি আলহাজ্ব সাইদুর রহমান সরকার আবু সাঈদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সময় স্বল্পতার কারণে প্রধান শিক্ষকে জানাতে পারেননি, তবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর তাকে জানানো হয়েছে।#