# মেহেরুল ইসলাম মোহন, লালপুর, নাটোর………………………………………
লালপুর থেকে সৌদি প্রবাসীর ইমো হ্যাক করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সংঘবদ্ধ ইমো হ্যাকিং চক্রের ৫ জন হ্যাকারকে আটক করেছে র্যাব। বুধবার দিবাগত(১লা মার্চ-২৩)রাত সাড়ে ১১ টার দিকে লালপুর উপজেলার বালিতিতা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ হতে তাদের আটক করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল,৭টি মোবাইল ফোন,৯ টি সিমকার্ড ও নগদ ৯হাজার ৬শত ৮০ টাকা জব্দ করা হয়।আটককৃতরা হলো- লালপুর উপজেলার আব্দুলপুর এলাকার মৃত মহসীন আলীর ছেলে রিদুয়ান আহম্মেদ পূর্ন (২৩), মোমিনপুর গ্রামের মিল্টন আলীর ছেলে হাসিবুল হাসান শান্ত(২৪), মোহরকায়া গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক বুধুর ছেলে শামীম হোসেন (২২), মনিরুল ইসলামের ছেলে শুভ আলী (২১) ও বাঘা উপজেলার চক নারায়নপুর গ্রামের কালাম উদ্দিনের ছেলে হৃদয় আলী (২১)।
বৃহস্পতিবার(২রা মার্চ)সকালে র্যাব এক প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে সংবাদ কর্মীদের জানায়, ঢাকা জেলার ভুক্তোভুগী আব্দুল মালেক(৩৭) র্যাব -৫ নাটোর ক্যাম্পে একটি লিখিত অভিযোগে করেন, গত ১৩ই ফেব্রুয়ারী-২০২৩ তারিখে তার বোনের স্বামী সৌদি প্রবাসী জাকির হোসেরে ইমো আইডি থেকে তার বোনের ইমো আইডিতে মেসেজ আসে যে স্বামী জাকির হোসেন সৌদি আবরে বিপদে আছে তার নগদ অর্থে প্রয়োজন এবং অর্থ প্রেরণের জন্য বিকাশ নম্বর দেয়। প্রতারকদের দেওয়া বিকাশ নম্বরে ৫৫ হাজার টাকা প্রেরণ করে। পরবর্তীতে কিছু সময় পর ভূক্তভোগী বুঝতে পারে যে, সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র তার স্বামীর ইমো একাউন্ট হ্যাক করে প্রেরিত বিকাশ নম্বরগুলো দিয়ে তার সাথে প্রতারণা করে বিকাশের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।
উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-৫ নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন ও কোম্পানী উপ-অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম দ্বয়ের নেতৃত্বে তথ্য প্রযুক্তি ও বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ইমো হ্যাক করে প্রতারনার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার সংঘবদ্ধ ইমো হ্যাকিং চক্রের সদস্য ০৫ জন হ্যাকার কে আটক করা হয়।
এ সময় আটককতৃরা পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে প্রবাসীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের “ইমো” ব্যবহারকারীদের ইমো হ্যাক করে এবং পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিচিত জন দের নিকট হতে প্রতারণা পূর্বক মোবাইল ফিন্যান্সিং সার্ভিস (বিকাশ) এর মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিলো বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে। পরে তাদের বিরুদ্ধে লালপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।#