ছবি: মোহন, মোবাইলে ধারণকৃত
# মেহেরুল ইসলাম মোহন, লালপুর, নাটোর থেকে………………….
লালপুর বড় বোন মুক্তি ও ছোট বোন গোলাপি। তাদের বিয়ে হয়েছে নাটোরের লালপুর উপজেলার সালামপুর এলাকার ধরবিলা মাঠপাড়া গ্রামে। দু’ বোনের স্বামীর বাড়ী বেশ কাছাকাছি। গোলাপিকে প্রায়ই তার ননদ, জা এবং শাশুড়ী খারাপ ভাষায় গালিগালাজ মারধর সহ নানা ভাবে অত্যাচার করে।
এমতাবস্থায় গোলাপির স্বামীর অবর্তমানে বৃহস্পতিবার (২৬শে মে)সকালে শুরু হয় তার উপর অত্যাচার।পরে বিষয়টি জানতে পেরে এগিয়ে আসে গোলাপির আপন বড় বোন মুক্তি ও তার দেবর শামিউল এবং শাশুড়ী কমেলা।তারা সেখানে উপস্থিত হওয়ার সাথে সাথে বড় বোন মুক্তি কে মারধর শুরু করে গোলাপির জা (দেবরের স্ত্রী) বিথি ও তার শাশুড়ী। সেখান থেকে তারা গোলাপি কে সাথে নিয়ে কোন মতে বাড়িতে আসে। বাড়িতে আসার কিছুক্ষন পর আনুমানিক দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ধারালো হাসুয়া ও লাঠি শোঠা হাতে দলবল বেঁধে ১০-১৫ জন লোক কমলের বাড়িতে এসে হামলা,ভাংচুর ও লুটপাট করে এবং তাদের কে এলোপাথাড়িভাবে মারপিট করতে থাকে।
এ ঘটনায় ৪ (চার) জন গুরুতর আহত হয়েছে।আহত অবস্থায় এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে আসলে ২ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং অপর দু’জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।তারা দু’ জন বর্তমানে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় বড় বোন মোক্তার স্বামী কমল বাদী হয়ে লালপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগকারী কমল আলী চট্টগ্রামের একটি থানায় আনসার ব্যাটেলিয়ানে কর্মরত আছেন।অসুস্থতা জনিত কারণে সে বর্তমানে গ্রামের বাড়িতে ছুটিতে আছেন। কমল আলী নাটোরের লালপুর উপজেলার ধরবিলা মাঠপাড়া গ্রামের শামসুল ইসলামের বড় ছেলে বলে জানা গেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, কমলের স্ত্রী মুক্তি বেগম এর বোন গোলাপী বেগম এর শাশুড়ী ও তার ছোট ভাইয়ের বউ বিথী গোলাপীকে পারিবারিক কলহের ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বামীর (অবর্তমানে) মারধর করতে থাকাবস্থায় গোলাপীর বড় বোন মুক্তি তাকে রক্ষা করতে গেলে কমলের স্ত্রী মুক্তি ও তার মা কমেলা কে বেধড়ক মারপিট করে। পরে কমল উক্ত ঘটনা সম্পর্কে জানতে গেলে কামরুলের স্ত্রী বিথী (৩০),ছলিমের ছেলে ফারুক (২৪) এর নেতৃত্বে মৃত সিরাজ মন্ডলের ছেলে বাবলু (৩৫), বজলুর স্ত্রী জহুরা বেগম (৩৫), জবেদা বেগম (৫০), হাফেজ (৪০),উভয়ের পিতা মৃত সিরাজ মন্ডল,তারু (৬০), পিতাঃ মৃত রুব্বাস, ময়না (৩০),পিতাঃ মৃত জহির, মামুন (২০),সাইফুল উভয়ের পিতাঃ কলিম,রুবি বেগম (৩৭), স্বামী: হাফেজ হঠাৎ করে কমলের বাড়িতে এসে তার ছোট ভাই শামিউল কে হাসুয়া দ্বারা ডান কাঁধে ও বাম হাতে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।
এছাড়াও লাঠি ও হাতুড়ি দ্বারা শরীরে বিভিন্ন অংশে আঘাত করে। এমতাবস্থায় কমলের ভাই সামিউলের ডাক চিৎকারে তাকে রক্ষা করতে গেলে কমলকে সহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও বেধড়ক মারপিট করে এবার কমল ও তার ভাইয়ের চিৎকার শুনে তাদের নানী এগিয়ে এলে তাকেও হাসুয়া দ্বারা আঘাত করে গুরুতর রক্তারক্ত জখম করা হয়ে।
এছাড়াও ঘরের টিভি মনিটর ও অন্যান্য জিনিস পত্র ভাংচুর করে ও বাক্সের তালা ভেঙ্গে বাক্সে রক্ষিত গাভী বিক্রি,অটো গাড়ি ও জমি বিক্রয়ের ৩,৫০,০০০/- (তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা লুট করে যায়। এ বিষয়ে শুক্রবার (২৭শে মে) ঘটনা স্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বললে স্থানীয়রা জানান, গোলাপির বিয়ের পর থেকেই তাকে নির্যাতন করা হয়।তার প্রতিবাদ করতে গেলে কমলের পরিবারে এই ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে লালপুর থানার ওসি মনোয়ারুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে অভিযোগ তদন্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#