নাটোরের লালপুরে ইউপি চেয়ারম্যান তোফার নির্দেশে বোয়ালিয়া পাড়া বিলে পুকুর খনন
-
প্রকাশের সময় :
শুক্রবার, ২৪ জুন, ২০২২
-
২৯০
বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
#লালপুর প্রতিনিধি …………………………..
নাটোরের লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের বোয়ালিয়া পাড়া বিলে ৮নং দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফার নির্দেশে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী।
সোমবার(২০ জুন) দুপুরে দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের বোয়ালিয়া পাড়া বিলে গিয়ে দেখা যায়, বোয়ালিয়া পাড়া বিলে ফসলি জমিতে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুকুর খনন কাজের যন্ত্র (ভেকু) চালক/ড্রাইভার রায়হান শেখ জানান, আমি ভেকুর ড্রাইভার আমাকে দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা মাস চুক্তি কন্ট্রাকের মাধ্যমে এই বিলে পুকুর খনন কাজের জন্য নিয়ে এসেছে।আমি ঐ চেয়ারম্যান এর নির্দেশেই অর্থের বিনিময়ে পুকুর খনন কাজ করে যাচ্ছি এবং যাবো।আপনারা যা কিছু বলার চেয়ারম্যান তোফাকে বলেন,আমার কিছু করার নেই।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, যে জমিটিতে বর্তমানে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন কাজ চলছে সেই জমিটা বোয়ালিয়া পাড়া গ্রামের মৃত খোকা সরকারের ছেলে মকবুল হোসেনের জমি। আমরা তাকে অনেকবার ফসলি জমিতে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন কাজ করতে বারন করার পরেও তোফা চেয়ারম্যান এর ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তিনি এলাবাসীর সাথে চ্যালেঞ্জ করে পুকুর খনন কাজ চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে জমির মালিক মকবুল মাষ্টার বলেন, আমি আমার ব্যাক্তিগত স্বার্থে দুড়দুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফার নির্দেশ অনুযায়ী আমার জমিতে আমি পুকুর খনন করছি এতে কারো কিছু করার নেই বলে সাফ কথা জানিয়ে দেন তিনি। ফসলি জমিতে পুকুর খনন যে অবৈধ এটা আপনি জানেন কি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন জবাব দেননি। এ বিষয়ে ঘটনাস্থল থেকে ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফার ব্যাক্তিগত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেন নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ২/৩ জন ব্যাক্তি বলেন, বোয়ালিয়া পাড়া বিলের পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি ক্যানেল মুরদহ ব্রিজ হয়ে সালামপুরের চন্দনা নদীতে গিয়ে মিলিত হয়। কিন্তু মুরদহ ব্রিজের পশ্চিমাংশে কিছু অবৈধ ভাবে পুকুর খনন করার কারণে ক্যানেলটির পানি নিষ্কাশনের পথ প্রায় বন্ধের পথে এরপরও যদি একের পর এক অবৈধ ভাবে পুকুর খনন কাজ চলতে থাকে তাহলে অত্র এলাকার ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হবে। এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, প্রশাসনদের অবৈধ ভাবে পুকুর খনন কাজের বিষয়ে অবগত করলে তারা দিনের বেলায় ভেকুর ব্যাটারী খুলে নিয়ে যায়, আবার সেই রাতেই দেখা যায় আবারও ঐ একই স্থানে আবারও ভেকু চলে, বন্ধ তো হয় না কখনো?
এলাকাবাসীর দাবি উক্ত বিলের কোথাও যেন আর কখনো অবৈধ ভাবে পুকুর খনন না হয় এবং প্রশাসন চোর-পুলিশ না খেলে যেন এ বিষয়ে কঠোর ভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। উল্লেখ্য যে,কাজটি আগামী ২৬/০৬/২০২২ ইং তারিখ পর্যন্ত চলমান থাকবে এখনো চলছে ভেকু।#
এডিট: সান
এই সংবাদটি শেয়ার করুন
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ