# মমিনুল ইসলাম মুন, বরেন্দ্র অঞ্চল থেকে…………………………..
রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী মান্দার চৌবাড়িয়া হাটে আরসিসি(ঢালায়) রাস্তা নির্মাণ কাজে নিম্নমাণের সামগ্রী ব্যবহারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, সিডিউল মোতাবেক রড না দেয়া, ভরাটে মাটি মিশ্রি বালুর ব্যবহার, রাস্তার পুরাতন ইট দিয়ে এজিং এবং ঢালায়ে পরিমাণ মতো সিমেন্ট না দেয়াসহ নানা অনিয়ম করা হচ্ছে। এতে রাস্তার স্থায়িত্ব নিয়ে সাধারণের মনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, চৌবাড়িয়া হাটের কড়াইতলা থেকে আয়োরপাড়া পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার রাস্তা (এর মধ্যে ২০০ মিটার আরসিসি ঢালায়) মেরামত কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় শোয়া ৩ কোটি টাকা। ঠিকাদারি কার্যাদেশ পেয়েছেন নওগাঁ জেলা সদরের জনৈক জনি।
এদিকে গত ১০ জানুয়ারি মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা যায়, চৌবাড়িয়া হাটের কড়ইতলা থেকে ২০০ মিটার রাস্তার আরসিসি ঢালায় কাজ চলমান রয়েছে। কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, রড বিছানো হয়েছে অনেক ফাঁক ফাঁক করে। পুরাতন রাস্তা উল্টানো ইটের খোয়া ব্যবহার এবং পর্যাপ্ত পাথর সিমেন্ট ব্যবহার হচ্ছে না। ঢালায়ে অধিকাংশ সময় এলজিইডির তদারকির কথা থাকলেও কোনো কর্মকর্তা থাকে না। অনিয়মকে ঢাকার জন্য রাতর আঁধারে সন্ধ্যার আগে ও পরে রড বিছানো হয় এবং শীতের সকালে ঢালায় দেওয়া হচ্ছে।
তারা বলেন, কাজের নিয়ে কিছু বললেই ঠিকাদার জনি ও তার মিস্ত্রিরা বলে রাস্তার কাজ হচ্ছে এটাই অনেক, যে বরাদ্দ হয়েছে তাতে এই কাজ করলে এমনিতেই লাখ লাখ টাকা লোকসান হবে, সব কিছুর দ্বিগুন দাম, যে কাজ হচ্ছে সেটাই অনেক, ঠিকাদার কাজ করবে না, কর্তৃপক্ষের অনুরোধে কাজ করছেন।
এবিষয়ে জানতে ঠিকাদার জনির ব্যক্তিগত (০১৭৮৯৭৮৭৮৯৬) মুঠোফোন নম্বরে একাধিক বার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ না করায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মান্দা উপজেলা এলজিইডির এসও রায়হান আলী এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ১০ মিলি রড ব্যবহার করা হচ্ছে, নিয়ম মতই কাজ হচ্ছে। তবে অফিসের কেউ নেই অনেক জায়গায় রড কম দেয়া হচ্ছে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এমন হওয়ার কথা না, এমন হলে ঢালায়ের সময় তুলে নিয়ম মতো দেওয়া হবে। তবে কাজের কাছে কেন কোন দায়িত্ববান কর্মকর্তা থাকেন সহজেই অনুমেয়। এলাকাবাসি উর্ধবতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।#